আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢামেকে শিশু রিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন, মা’সহ গ্রেফতার ২

বুকের ভেতর অনবরত লিখে চলেছি, অনুভূতি গুলোকে ভাষায় ফেলতে চাই। আমি বাকরুদ্ধ। ছিঃ! ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ এবং পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া শিশু রিয়ার লাশের রহস্য উদঘাটন করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় মা’সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এরা হচ্ছে, শিশুটির মা রোজিনা এবং তার কথিত প্রেমিক সুলতান মাহমুদ (২৬)।

রোববার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। ডিবি জানায়, শিশু রিয়া হত্যার ঘটনায় শাহবাগ থানায় ৫ জানুয়ারি (মামলা নং-১১, তারিখ-০৫/০১/২০১২, ধারা-৩০২ পেনাল কোড) রুজু হয়। ঘটনাটি পত্রপত্রিকায় ব্যাপক আলোচিত হলে শাহবাগ থানার পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও ঘটনার রহস্য উদঘাটনে একাধিক অভিযান পরিচালনা করতে থাকে। সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ’র নেতৃত্বে একটি দল মৃত শিশুর মা’র কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার দেলপাড়া কলেজ রোডস্থ তার ভাইয়ের বাসা থেকে শিশু রিয়ার মা রোজিনার কথিত প্রেমিক সুলতান মাহমুদকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের সময় রিয়ার মুখ চেপে ধরার কাজে ব্যবহৃত রুমালটি উদ্ধার করে র‌্যাব।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিবি আরো জানায়, সুলতানকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। সে বলে, ‘মোবাইলের মাধ্যমে রোজিনার সাথে তার পরিচয় হয় এবং গত দেড় বছর থেকে পরকীয়ার সম্পর্ক চালিয়ে আসছে তারা। রোজিনা তাকে প্রায়ই বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। এর একপর্যায়ে সুলতান জানায় সন্তানসহ রোজিনাকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। তখন রোজিনা জানতে চায় সন্তান ছাড়া তাকে বিয়ে করতে রাজি আছে কিনা, সে তখন বলে সন্তান ছাড়া তাকে বিয়ে করবে।

পরে ছোট মেয়েটাকে ঝামেলা মনে করে তারা ওকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথমে ২ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেলে আলট্রাসনোগ্রাম করতে এসে বিস্তারিত পরিকল্পনা করে কোথায় হত্যা করবে এবং হত্যার পরে লাশ কোথায় রাখবে? রোজিনা নিজে তখন সুলতানকে স্থান দেখিয়ে দেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ জানুয়ারি তারা ঢাকা মেডিকেলের বর্হিবিভাগে এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নাম করে টিকিট কেটে মেয়েকে বাইরে রেখে মা রোজিনা ডাক্তারের রুমে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সুলতান শিশু রিয়াকে নিয়ে নিউক্লিয়ার বিল্ডিংস’র ৩য় তলার সিঁড়িতে নিয়ে রুমাল দিয়ে মুখ চেপে এবং দেয়ালের সাথে ঠেসে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ সিঁড়ির উপর ফেলে চলে যায়। উল্লেখ্য, ৩ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রথমে রিয়া (২ বছর ৬ মাস) নামে একটি শিশু নিখোঁজ হয়।

তবে অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার আল্ট্রাসাউন্ড সেন্টারের ৩য় তলার সিঁড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় রিয়া’র নিথর মৃতদেহ। খবরঃ বাংলানিউজ24.com ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।