আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুভকামনা আগামীর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ বিএনপি'র এই রোডমার্চের প্রতি

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই বর্তমান সরকারের আমলে দেশের সার্বিক বিশৃঙ্খল ও আতংকজনক পরিস্থিতি নিয়ে দেশের সিংহভাগ জনগনই একমত। অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা, পররাষ্ট্রনীতি এই ৩টি প্রধান সেক্টর যে পুরোপুরিই ব্যর্থ সেটার প্রমান প্রতিদিনের সংবাদপত্রের পাতায় পাতায় রয়েছে। ব্যর্থতা ও জনদুর্ভোগের নতুন নতুন মাত্রা অর্জন হচ্ছে। আগামী নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটারদের বিবেচনা প্রভাবিত করার জন্য এখনই বিএনপি'র বিশেষ সময়। যদিও বিএনপি'র তেমন কিছুই করতে হচ্ছে না।

রাস্তায় নামলেই সরকারী বাহিনী পুলিশের রুদ্রমূর্তি আর আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগে দেশব্যাপী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালানো সন্ত্রাসী তৎপরতাই জনসাধারনকে বিএনপিমুখী করে তুলছে। যার প্রমান চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন! এই অবস্থায় দেশের প্রধান বিরোধী দলের প্রতি মানুষের আগ্রহের মাত্রা এবং মুখাপেক্ষিতা স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাওয়ার কথা এবং খুলনামুখী রোডমার্চে ও রোডমার্চ শেষের মহাসমাবেশে তার প্রমানও পাওয়া যায়। এই মুহুর্তে দেশবাসী বিপুল আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে বিএনপি নেতৃবৃন্দের দিকে সরকারের যৌক্তিক সমালোচনা এবং আগামীর পরিকল্পনা জানার জন্য। বিএনপি'র উচিত আগামী নির্বাচন কেন্দ্র করে এই রোডমার্চকেই প্রচারনায় রুপান্তর করে তাদের পরিকল্পনা দেশবাসীর সামনে হাজির করা। যেন বিএনপি'র পরিকল্পনার সাথে আওয়ামী পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পার্থক্য নির্ধারন করতে পারে।

এবং নিশ্চিত প্রতিটি জনগণই আওয়ামী লীগের ব্যর্থতাই খুঁজে পাবে। তাছাড়া এই রোডমার্চ সামনে রেখে আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুদ্ধাপরাধী ( রাজাকার বিচার ) বিচারের বিষয়ে বিএনপি'র একটি পরিষ্কার বক্তব্য থাকা দরকার। রাজাকার বিচারে তাদের আন্তরিকতা প্রকাশ ও প্রমান দেশবাসী এবং মূলত মধ্যবিত্ত তরুন সমাজের প্রয়োজন। প্রথম আলো পাঠকগণ লক্ষ্য করুন: মজার বিষয় হচ্ছে, বিএনপি'র বিরোধীতায় আওয়ামী লীগ এবং প্রথম আলো'র প্রতিযোগীতা খুবই আতংকের বিষয়। একটি দেশের জাতীয় গণমাধ্যম যখন প্রধান বিরোধী দলের বিপক্ষে পরিষ্কার স্ট্যান্ড গ্রহন করে তখন জনগণ হিসেবে আতংকিত হবার অনেক কারন থাকে।

তবে, সেজন্য সবাইকে অনুরোধ করবো, রোডমার্চ এবং বিএনপি'র সম্পর্কিত প্রথম আলো'র যেকোন খবর গ্রহনের আগে অন্যান্য পত্রিকার খবরগুলোর সাথে যাচাই করে গ্রহন করবেন। কারন , একটা উদাহরন দেই, রোডমার্চ উপলক্ষে আনুমানিক খরচ নিয়ে প্রথম আলো'র প্রতিবেদন। যা পড়লে মনে হবে কোন জঙ্গী সংগঠনের অথবা মাদকাসক্তদের কার্যক্রম সফল করার জন্য একদল মানুষ অবৈধ টাকা যোগান দিচ্ছে যা বিরাট খারাপ কাজ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এত বৃহৎ একটি কর্মসূচি পালন হচ্ছে খুবই সচ্ছতার সাথে যেখানে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং তৃণমূল পর্যায় থেকে সবাই খরচ বহন করছে। একটি কর্মসূচি নিশ্চয়ই মাগনা হবে না! যেটি স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক এবং বৈধ প্রক্রিয়া! প্রথম আলো বরং রিপোর্টটি করে মূলত খরচের উৎস সম্পর্কে জানিয়ে সচ্ছতা নিশ্চিত করলো।

তবুও সাবধান করে বললাম কারন খবর উপস্থাপনা এবং শিরোনামে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। তাই জাতীয় রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই মুহুর্তে ভবিষ্যত সম্পর্কিত বিএনপি'র বক্তব্য ও রোডমার্চ সংশ্লিষ্ট খবরের উপর চোখ রাখুন। তবে এজন্য শুধুমাত্র প্রথম আলো'র উপর ভরসা করে ঠকে যাবেন কি না, সেটাও ভেবে দেখুন! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।