আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসংগ: সেলফুন আর ব্লগার আশকারি,টিনটিন,শিপু ভাই আর জিশান শা ইকরাম

ঠিক এভাবে লেখাটা লিখব কখনও ভাবিনি,কিন্তু কিছু বিষয় থাকে যা প্রকাশ না করলে মন থেকে নিজেকে ক্ষমা করা যায়না। মানুষের জীবনে কিছু সময় আসে,কিছু ঘটনা ঘটে যার রেখাপাত রয়ে যায় মনের গভীরে। ব্লগ বিষয়টা একসময় শুনতাম,পেপারে পড়তাম কিন্তু কখনও আগ্রহ হয়নি বিশদ ভাবে জানার। পুরান একজন ব্লগার সাদিক তাল কাছের এক বড়ভাই,একসাথে আড্ডা দিতাম ধানমন্ডি৩২ এ,তার ফেবুতে একটা কবিতা পেয়েছিলাম,কার যে লেখা এখনও খুজে বেড়াই লেখককে,কথাটা এমন, হৃদয়,তুমি এত মুর্খ কেন একটু ভুল বাতাসে বেকে যাও একটু ভুল স্পর্শে কেদে ফেল টোটাল হয়ত লিখতে পারিনি,তবে বিষয়টা এমন ছিল,যাইহোক এটা কার লেখা খুজতে খুজতে পেয়ে যাই সামুর লিন্ক। পরিচয় হল সামুর সাথে,কেন জানি রেজি: করে ফেললাম,কেন জানি বেশ তাড়াতাড়ি সেফ হয়ে যাই।

কি লিখব,বুঝতে পারিনা,সবার মত ১৮+ জোক ছিল ভরসা। আমার খুব আগ্রহ সবসময় দুনিয়ার আজব সব বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি,সেটা কোন ঘটনা হোক বা ছবি কেন জানি সব সেফ করে রাখি। হঠাৎ মাথায় আসল আমার সংগ্রহ করা বিষয়গুলি সবার সাথে শেয়ার করা যায় কিনা,শুরু করলাম শেয়ার করা,সবার বেশ সাড়া পেলাম। যত দিন গেল বুঝতে শিখলাম সামুর আস্তিক-নাস্তিক,ভাদা,ছাগু,সুশীল,লুল ইত্যাদি বিষয় গুলি। আর সমান তালে পড়তে লাগলাম পুরানো পোস্ট।

মোটামুটি একটা ধারনা হল সামুর বিষয়ে। একটা সময় আগ্রহ জাগল ভার্চুয়াল সব নিকের সাথে সামনাসামনি বা ফোনে যোগাযোগ করার কিন্তু কোন ওয়ে পাচ্ছিলামনা। সবথেকে খারাপ বিষয় হয়ে গেল ঢাকা থেকে আমার হঠাৎ গ্রাম ঘোরার শখটা,আব্বাকে অনেক কস্টে রাজী করিয়ে চলে আসলাম দাদাবাড়ী আর নানাবাড়ীর এলাকায়। ইচ্ছা হল দাদাবাড়ীতে নতুন করে বাড়ী করার,শুরু করলাম কাজ। এর মধ্যে কি করে জানি অনেক ব্লগারকে খুব আপন করে নিতে পারলাম,নাম লিখলে অনেক সময় লাগবে।

খুব কাছের খুব পরিচিত মনে হতে লাগল সবাইকে আর এই মায়ায় জড়ালাম ঢাকা থেকে আসার পর,কি করে জানি ব্লগার শিপু ভাইয়ের সাথে সেলফোনের নাম্বারটা বিনিময় হয়ে গেল আর আজকের লেখাটার সুত্রপাত এখান থেকেই। আর যে জন্য এই লেখা তা হল খুব লজ্জার এক ইতিহাস,ঘটনার পর থেকে খুব অশান্তি লাগছে,আর এই ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছে সামুর প্রিয় একজন ব্লগার জিশান শা ইকরাম আজ বিকালে একটা কল আসল,তাকিয়ে দেখলাম নাম্বারটা,খুব পরিচিত নাম্বার,আমার বন্ধু হাসিবের আর ওর বাড়ী গোপালগন্জ। আমার সেলফোনটা কিছু দিন আগে পানিতে পড়ে যাওয়ায় সব নাম্বারই গায়েব। তো হাসিবের নাম্বার সেভ করা নাই কিন্তু ডিজিট গুলা প্রায় মুখস্ত,তো কল রিসিভ করেই হাসিবের সাথে কথপোকথন শুরু,সাথে যথারীতি গোপালে বলে সম্বোধন,ওপাশ থেকেই বন্ধুসুলভ কথা,আমি কোথায়। তারপর ওপাশ থেকে বলল সামুর কথা।

মাথায় আকাশ ভেংগে পড়ল,সাথে সাথে সেলফোনের নাম্বার ভাল করে দেখে ভীড়মি খেলাম,সব ঠিক থাকলেও ২টা ডিজিট উলটপালট। আমিতো লজ্জায় নাই। কোনক্রমে কলদাতার নাম জান্তে চাইলাম,বলল জিশান শা ইকরাম। আমিতো লজ্জায় মাটির ভিতরে ডেবে যেতে লাগলাম। জিশান শা ইকরাম,যিনি অসংখ্যবার উৎসাহ দিয়েছে,ক্যাচালে জড়িয়েছি,সোজা বলে দিয়েছে আমার কাছ থেকে সে ঐরকম আশা করেনা,ক্যাচাল ছেড়ে পালিয়েছি।

নতুনদের জন্য যে মানুষটা বিশাল হৃদয় নিয়ে হাজির সবসময় আর তার সাথে কথা শুরু আমার কি একভাবে। খুব খারাপ লাগছে,স্যরি জিশান মামা,অনেক স্যরি। আপনার করা একটা মন্তব্যের জবাব এখনও দিতে পারিনি শুধু জবাবটা সাজাতে পারিনি বলে,যাইহোক আবারও স্যরি। আরো কয়েকজন ব্লগারের সাথে কথা হয়েছে,তাও শেয়ার করছি এই স্যরি বলা পোস্টে: আশকারি: কোন এক পোস্টে জানলাম তার দাদাবাড়ি খুলনায়,এর সুত্র ধরে কমেন্টে কমেন্টে পরিচয়,ফেবুতে এ্য্যড,সেল ফুন নাম্বার বিনিময়। এরপর আবিষ্কার করলাম এই পাজীর দাদা বাড়ি আমার বাড়ী থেকে হাটা পথে ২ মিনিটের দুরত্বে,হয়ে গেল প্রিয় একটা ছোট ভাই।

টিনটিন: ২দিন সকালে এক নাম্বার থেকে ফুন আসল,প্রথম কথায় জানতে চাইল,আমি কি হতভাগা? যাইহোক অনেক কথা হল,পিকনিকের যাব কিনা আলোচনা হল,কথার শেষ পর্যায়ে আমি বললাম,ইনশাল্লাহ,খুলনা গেলে দেখা হবে। সাথে সাথে তিনি জানতে চাইল,আমি কি ইনশাল্লাহ বলেছি কিনা??আমি বললাম হ্যা। তার কথা,তার মানে আস্তিক,ভাল। এই বিষয়টায় আমি খুব মজা পেয়েছি,ভাল লেগেছে তার কথা বলার আন্তরিকতা। দেখা হবে কবে সেই আশায় আছি।

শিপু ভাই: তার ব্যাপারে কিছু বলার নাই,শুধু এক কথায় বলব সিরিয়াস কেয়ারিং। হুট হাট ফুন দিয়ে কেমন আছি জানতে চাওয়া আর ঢাকায় কবে ফিরব সেইটা জানতে চাওয়া। তার ফুন পেলেই মনে হয় এখনই ঢাকায় ফিরি। অল্প দিনে কেন জানি আপন করে নিয়েছে আমাকে। আর তার প্রতি অনেক শুভকামনা আমার সেল নাম্বারটি অনেকের সাথে শেয়ার করার জন্য,কারন সে নাম্বারটা না দিলে কথা বলা হতনা টিনটিন বা জিশান মামার সাথে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।