আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বারো হাত কাঁকড়ের তের হাত বিচি

এই ব্গের যাবতীয় কর্মকান্ড জুনায়েদ খানের অনুর্বর মস্তিষ্কের অহেতুক পাগলামি ! বৈ কিছু নয়। লাইব্রেরী থেকে শুধু এই জরিমানার ভয়েই বই উঠাতে চাই না। জরিমানার অঙ্কটা এরকমঃ ৭৫ পয়সা/২ টাকা ৩৫ পয়সা/৭ টাকা ৯০ পয়সা... বড়জোর ১১ টাকা ৭৫ পয়সা! তাও আবার পুরো সেমিস্টার রেখে দিলে!না না, এ টাকা নিয়ে আমার আপত্তি নেই। আপত্তি জরিমানা পরবর্তী সমস্যা নিয়ে। এই জরিমানা শুধু জরিমানা নয়, সাথে আরো অনেক কিছু! লাইব্রেরীতে সাধারনত ১৪ দিনের জন্য বই ইস্যু করা হয়।

১৫তম দিনে বই জমা দিলেই গুণতে হয় ৭৫ পয়সার বিশাল এক জরিমানা!তারপর... সে এক বিশাল কাহিনী! বই জমা নিয়ে কর্তব্যরত কর্মকর্তা প্রায় ৫ মিনিট ধরে ক্যালকুলেটর দিয়ে জরিমানার পয়সা হিসেব করবেন। তারপর একটা কাগজে জরিমানার পরিমাণটা লিখে হাতে ধরিয়ে দিবেন। এই কাগজটা নিয়ে আমাকে যেতে হবে হাফ কিলোমিটার দূরে, হোয়াইট হাউজে! সেখানে গিয়ে একটা ফর্ম পূরণ করে সেকশন অফিসারের(ক্যাশ) সাইন নিতে হবে। তারপর আবার হাফ কিলোমিটার দূরে হেঁটে সেই ফর্ম খানা নিয়ে ব্যাংকে যেতে হবে। আর ব্যাংক মানে দু-এক মিনিটের বিষয় নয় সেটা তো বুঝতেই পারছেন।

যাহোক ব্যংকে ৭৫ পয়সার বদলে এক টাকা জমা দিয়ে সেই ব্যাংক রিসিট নিয়ে আবার যেতে হবে লাইব্রেরীতে! তারপর সব কেটেকুটে কর্তব্যরত কর্মকর্তা লাইব্রেরী কার্ডে ‘PAID’ লিখে দিলেই মুক্তি! এ বিষাক্ত অভিজ্ঞতাটা আমার আছে। তাই বই উঠালে জমা দেয়ার ব্যাপারটা কষ্ট করে হলেও মনে রাখার চেষ্টা করি। গত ২৪ জুন নিতান্ত বাধ্য হয়েই দু’টি বই উঠিয়েছিলাম। জমা দেয়ার তারিখ চেক করতে গিয়ে দেখি ডেট এক্সপায়ারড! স্পষ্ট করে লেখা আছে- ‘ফেরৎ দেয়ার তারিখঃ ৩০ জুন, ২০১৩’(!) ছোট খাট একটা শক খেলাম। বইগুলো ইস্যু করা হয়েছিল মাত্র ৭ দিনের জন্য!এটা কর্মকর্তার ভুল নাকি নতুন নিয়ম বুঝতে পারছি না।

তবে যেটাই হোক না কেন, আমি যে এত কাহিনী করে আর বই জমা দিচ্ছি না সে ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত! ফরমালিটিস নামক ফাইজলামীর একটা মাত্রা আছে! হুহ! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।