আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১ ও কিছু কথা (১৮+)

অ আ ক খ "পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১১-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনে পর্নোগ্রাফি বহন, বিনিময়, মুঠোফোনের মাধ্যমে ব্যবহার করা, বিক্রি প্রভৃতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসবের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিশেষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার হবে। এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি নিয়ে মিথ্যা মামলার শাস্তি দুই বছর।

"(আইনের ফোরাম অবশ্যই বাজারি নীল ছবি নয়,তা কেবল সদ্য ব্রেকাপ ঘটে যাওয়া তরুণ- তরুণীর অথবা সেলিব্রেটি কিংবা মিডিয়া ব্যক্তিদের বাস্তব অভিনীত ফিল্ম) কিন্তু যে লাইভ দৃশ্য ঘটার পরে পর্নগ্রাফি তৈরী হয়, তার বিরুদ্ধে তো কোন আইন নেই আর নিজ ইচ্ছায়, বাস্তবে ঐই দৃশ্যে যারা অবৈধ পারফর্ম করেন তাদেরতো কোন শাস্তির আওতায় আনা হল না। এর জবাবে প্রগতিশীল নৈতিকতার সোজা উত্তর মানুষ তার ব্যাডরুমে কার সাথে কি করবে তা রাষ্টের দেখার বিষয় না, তা নিতান্তই এক জনের ব্যক্তি স্বাধীনতা । তাহলে, কে তার মোবাইলে কি বহন করবে, ব্লু-টুথের মাধ্যমে কি ছড়াবে এটাও তার ব্যক্তি স্বাধীনতা । একটা ভিডিও স্ক্যান্ডাল পর্ণোগ্রাফি ছড়ানোর পর ক্ষতি হয় বড়জোর দুইটি পরিবারের আর এইটা দেখে সচতেন হয় অসংখ্য জন -তারা জানতে পারে সমাজে কিভাবে কি ঘটতে পারে ? সবার নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এক নয় । কর্পোরেট মিডিয়ার এক বিরাট অংশ মানুষের যৌন প্রবৃত্তি কোন ধর্ম বা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করার পক্ষে নয়,তারা চান নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যৌন স্বাধীনতা ভোগ করুক ,কিন্তু যেহেতু বৃহত্তর জনগোষ্ঠি শাশ্বত , চিরন্তন ধ্রব নৈতিকতায় বিশ্বাসী তাই ওনারা ভুলেও মুখে এই কথা বলার সাহস পান না।

কিন্তু মানুষকে মিডিয়ার চাকচিক্য জগত দ্বারা তারা আকর্ষণ করে লাক্স-চ্যানেল আই সুপার স্টার অথবা মিস ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে তৈরী করেন নিজেদের ভোগ বস্তু কিন্তু ভিডিও ক্লিপ গুলো ইদানিং তাদের অরুণ চৌঃ ও নির্জরদের চেহারা মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিচ্ছে, যারা মিডিয়ার জোরে দেশের রোল মডেল তারা ইমেজ হারাচ্ছেন,তাই একারণে যে কোন ভাবে হউক তথাকথিত মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের ইমেজ রক্ষা করতে হবে, আর সেই সাথে টেলি নাটকের প্রযোজক-পরিচালকদের যারা টিভিতে যে নাটক তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেন ঐ নাটকের শুটিং-এ ভর্তুকি দিয়ে থাইল্যান্ডে বা সিংগাপুরে গিয়ে সহ দলে ১৫ লাখ টাকা খরচ করেন । শেষকথা আইন করতে হলে শুধু বিপণন, বহনকারীদের জন্য নয়, তা অবশ্যই অরুণ ও নির্জরদের নিয়ন্ত্রণ ও শাস্তির জন্য । নাহলে "নষ্টরা কখনো আইডল হতে পারে না" আর তাদের রূপ প্রকাশে ..................। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.