আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্রিকেটে ডিআরএস পদ্ধতি এবং মুস্তফা কামালের সময়োচিত বোধোদয়

আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্ত বেশির ভাগই যাচ্ছে দুর্বল দলগুলোর বিরুদ্ধে- বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ও আইসিসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পাওয়া আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে আম্পায়ারের অনেকগুলো সিদ্ধান্তই বাংলাদেশের বিপক্ষে গিয়েছে বলে আলোচিত হয়েছে সর্বত্র। এমনকি ভাষ্যকাররাও এমনটি বলেছেন। যদি ওই সিদ্ধান্তগুলো না হতো তবে সিরিজটি আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারতো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা তা পারিনি।

মানুষমাত্রেই ভুল হতে পারে। আইসিসি’র পরিচালক হিসেবে আমি আম্পায়ারদের বিপক্ষে বলতে পারি না। কিন্তু আমি দেখেছি যে ভুল সিদ্ধান্তের বেশির ভাগই যায় দুর্বল দলগুলোর বিপক্ষে। ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে একটি বল তামিম ইকবালের হেলমেটে লেগে স্লিপে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে গেলে আম্পায়ার তাকে আউট দিয়ে দেন। মুস্তফা কামাল বলেন, গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত আইসিসি’র বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, ডিআরএস পদ্ধতিতেই কিছু ত্রুটি থাকায়, ওই ত্রুটি দূর না করা পর্যন্ত ডিআরএস বাধ্যতামূলক করা যাবে না।

তবে মুস্তফা কামাল এও বলেছেন, পরবর্তী টিভি স্বত্ব (বাংলাদেশ ক্রিকেটের) বিক্রির সময় ডিআরএস পদ্ধতিকে শর্ত হিসেবে জুড়ে দেয়া হবে। আইসিসি ডিআরএস বাধ্যতামূলক করতে পারেনি শুধুমাত্র ভারতের কারণে। আইসিসি আসলে নামে আইসিসি, কামে এটি বিসিসিআই'র একটি অঙ্গ সংগঠন। বিশ্বের সবগুলো ক্রিকেট দল ডিআরএস চায়, চায় না শুধু বিসিসিআই, সেজন্যই ওটি বাধ্যতামূলক করা যায়নি। কিন্তু কোন দু'টি দেশ যদি তাদের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ডিআরএস পদ্ধতি ব্যবহার করে, তবে আইসিসি তাতে আপত্তি জানাবে না।

এবং মুস্তফা কামাল যখন উপলব্ধি করেছেন, আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তগুলো ছোট দলের বিপক্ষে যায়, তখন অবশ্যই তার উচিত হবে বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজগুলোতে ডিআরএস পদ্ধতি ব্যবহারে সচেষ্ট হওয়া। এ ছাড়া, আমাদের ক্রিকেট সম্প্রচারের পরবর্তী স্বত্ব এমন একটি টিভি চ্যানেলের কাছে বিক্রি করা উচিত যাদের অন্ততঃ দু'টি চ্যানেল আছে এবং ভারতের স্বত্ব যাদের কাছে নেই। নিও ক্রিকেট ভারতের স্বত্ব হাতছাড়া করেছে। এখন তাদের কাছেই যদি থাকে, তাতে আপত্তি নেই। কারণ, এখন আর তারা কোন অজুহাতেই বাংলাদেশের লাইভ খেলা হাতছাড়া করবে না।

তবে সবচেয়ে ভালো হয় ইএসপিএন গ্রুপকে দিলে। ওদের তিনটি চ্যানেল রয়েছে। ইএসপিএন, স্টার স্পোর্টস ও স্টার ক্রিকেট। বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর প্রথম পাঁচ বছর স্বত্বটি ওদের হাতেই ছিল এবং আমার মনে হয় নিও ক্রিকেটের চেয়ে ওদের পারফরমেন্স ভালো ছিল। যাই হোক, খতম করার আগে মুস্তফা কামালকে তার উপলব্ধির জন্য ধন্যবাদ।

এখন কাজে কর্মে তার প্রতিফলন দেখতে চাই। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।