আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের হারিয়ে যাওয়া একটি হাঁড়!

মেরুদন্ডহীন একটি আজব দেশের আজব লোকালয়ে আমাদের বসবাস। আশ্চর্য এ জনপদে আমরা জনসাধারণ হাঁটি, ফিরি, খাই দাই, ঘুমাই আর ধান্দা করি। সুন্দর আর আপাতঃ সুস্হ্য একদল জনগোষ্ঠীর একটি ভাইটাল হাঁড় হারিয়ে যাওয়া সত্বেও কি করে সকল শরীরবৃত্তিয় কাজগুলো ঠিক ঠিক সম্পাদন করে যাচ্ছি, তা গবেষকদের গবেষণার বিষয় হতে পারে... মাঝে সাঝে মনে হয়, তবে কি আমার বোধেই ভুল? আবার ভাবনা চিন্তাগুলো নেড়ে চেড়ে দেখি, নাহ্ কোনভাবেই মেরুদন্ডের হাঁড়ের উপস্হিতি নিশ্চিত করা যায় না। একজন ইরানী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের সাথে দেখা হয়েছিলো মসজিদুল হারামে। ভাষার ব্যবধান না থাকায় (তিনি এবং আমি কথা চালানোর মত ইংরেজী জানাতে), ইরান সম্পর্কে যে একগাদা প্রশ্ন মনে জমে ছিলো তা জিজ্ঞেস করে নিলাম।

সাধ্যমত সততার সাথে তিনি জবাব দিলেন। তারপর, আমার আগ্রহের প্রত্যুত্তরে, বাংলাদেশ সম্পর্কেও জানতে চাইলেন, এবং অবধারিতভাবে চলে আসলো ভারত বাংলাদেশের প্রসঙ্গ। যখন বলে চলছিলাম, এদেশেই এমন লোকের, এমনকি বুদ্ধিবেচা লোকের অভাব নেই- যারা ফারাক্কা, টিপাই কিংবা শুকিয়ে যাওয়া নদীগুলো নিয়ে টু শব্দটি করেনা, এবং যাবতীয় বিবেচনাবোধ চুলোয় বিসর্জন দিয়ে সে দেশকে বন্ধুও ভাবে... বলতে বলতে আমার নিজের কাছেই নিজের কথাগুলো অবিশ্বাস্য ঠেকছিলো। তার চোখেও ছিলো সে অবিশ্বাস, যদিও ভদ্রতার আড়ালে আর খুব একটা খোঁড়াখুঁড়ি করে আমাকে বিপদে ফেলেননি! যারা টিভি, নেট আর মুভি'র ভার্চুয়াল জগতে বুঁদ হয়ে বেঁচে আছে, তারা মৌতাতে বেঁচে বর্তে থাকুক, কিন্তু আমাদের মত আপাদমস্তক প্রাচীনপন্হীদের যে পায়ের তলায় একদলা ধুলোমাটিকাদা জড়ানো একটা ভূখন্ড লাগে, যেটাকে ম্যাপে, জমিনে আর হৃদয়ে দেশ বলে ধারণ করি, এবং সে দেশটি বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো নাম হলে মনপসন্দ হয়না, তাদের কি হবে? তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি বরং কি প্রক্রিয়ায় অনিবার্য্যভাবে অজগরের পেটের ভেতরে চালান হয়ে যায় আস্ত হরিন! বাংলাদেশ আর ভারত, কে অজগর আর কে হরিণ, সেটি বরং পাঠকের বিবেচনাবোধের উপরেই ছেড়ে দেই! এরকম আত্নবিধ্বংসী বাংলাদেশের আরেকজন অসচেতন নাগরিক হিসেবে বরং জানিয়ে যাই, কেনো সবার জানা এই কথাগুলোর পুনরায় চর্বিত চর্বন! আর বেশী কিছু করতে চাইনা, কারণ এর চেয়ে বেশী কিছু করা আমাদের জাতিগত নীতিবিরুদ্ধ! ** আপডেট: যে লেখাটির প্রেক্ষাপটে এ লেখাটির অবতারণা, খুব সংগত কারণেই মডারেশনের খাঁড়া নেমে এসেছে সে লেখাটির উপরে। তাই, বাধ্য হয়ে লিংকটি পরিবর্তন করে দিলাম।

সে লিংকটিও যদি হাওয়া হয়ে যায়, তাহলে বিকল্প ব্যবস্হা করতে হবে... ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।