আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন কেটে দেই তিতাসের সেই মরন বাধ। ফারাক্কায় যেতে না পারি, আখাউড়া তো যেতে পারবো।

ব-দ্বীপ মানে বদ্‌ দের দ্বীপ না কিন্তু। দয়া করে কেউ ভুল বুঝবেন না। যদিও বাংলাদেশের অবস্থা দেখে ভুল বোঝা স্বাভাবিক। ধনীর সুন্দরি রক্ষিতা হওয়ার চাইতে গরীব কৃষানি হওয়া অনেক ভাল। তিতাস নদীর অবস্থাটা দেখার পর মনে পরল কথাটা।

পাকিস্তানের সাথে কেন যুদ্ধ করলাম? মেনে নিতাম তাদের সব। কি হত? আজ তাহলে এক পারমানবিক শক্তিধর দেশের অংশ হতাম। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মর্যাদাকর (!) যুদ্ধের যোদ্ধা, সিএনএন, বিবিসির হাইলাইটেড খবরের অংশ হতে পারতাম। কিন্তু কেন হটালাম পাকিস্তানকে? সেই একই কথা। বড়লোকের রক্ষিতা হতে চাই নি।

চাই নি তার লোভ লালসার কাছে নিজের সব অধিকার বিকিয়ে দিতে। তার জন্য অবশ্য মাশুলও দিতে হয়েছিল। আমার ভাইয়েরা নিশ্রংশ ভাবে মড়ল, বোনেরা ইজ্জতের সাথে সাথে নিজের জানটাও দিয়ে গেল। আর আমরা ভাইয়েরা,সন্তানেরা কি পেলাম? একটি সুন্দর বাসস্থান। যে বাসস্থানে আমার সন্মান আছে, আমার অধিকার আছে, আমার মন, আমার স্বপ্ন, আমার ইচ্ছা সবকিছুরই যেখানে আছে বিশেষ অগ্রাধিকার।

কিন্তু আজ কি হল। চারিদিকে তাকিয়ে নিজেকে সেই পাকিস্তান আমলের চাইতে ভিন্ন কিছু দেখতে পারছিনা। হুম একটু ভিন্নতা আছে। পাকি আমলে আমাদের মুখের ভাষা সরব ছিল আর এখন আমরা নিরব। বলতে গেলে আমাদের সরকার ও রাজনিতীবিদেরা নিরব।

কিন্তু আর সব কিছু এক। ট্রানজিট থেকে শুরু করে সীমান্ত হত্যা, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আগ্রাসন সব কিছুই কি আমাদের পাকিস্তানের আচরন মনে করিয়ে দিচ্ছে না?আমরা কি দিন দিন একটি সুখি কৃষানির জীবন জীবন থেকে এখন ভারতের রক্ষিতায় পরিনত হচ্ছি না, যেখানে আমাদের নিজেদের কোন অগ্রাধিকার নেই? যেখানে ভারতের সব লোভ ও লাভ ও লালসার কাছে আমাদের নিজেদের ভাল ভন্দ, সুখ দুঃখ ভবিষ্যত সব কিছুই বিকিয়ে গেছে? সরকার কেন নিরব? নিরবতো থাকবেই। একাত্তরে জামায়াত কেন পাকিস্থান কে সাপোর্ট করেছিল? কারন পাকিস্থানের সাথে যুদ্ধে যদি বাংলাদেশ পরাজিত হত তাহলে রক্ষিতা পুর্ব পাকিস্তানের ক্ষমতাধর পতিতার দালাল হত জামায়াত। আজ আওয়ামিলীগও সেই ভুমিকায়। কি দরকার পরেছে আওয়ামীলীগের ভারত বিরোধিতার? তাদের নেত্রী শেখ হাসিনার একটি বড় সাপোর্ট হচ্ছে ইন্ডিয়া।

আর বাংলাদেশের জনগন তার কি হয়? কিছুই না, এই দেশেরই মানুষ যখন তার বাবাকে হত্যা করে তখন কেউ এর প্রতিবাদ করে নাই, রাজনীতিবিদদের ম্যাক্সিমাম হত্যাকারিদের কাছে আনুগত্য প্রকাশ করেছিল। সেই সময় তাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। তার বাবা মারা যাওয়ার পর পয়ত্রিশ বছরে মাত্র ২ টার্ম তিনি ক্ষমতায়, তাহলে ওনার কি ঠেকা পরেছে ভারতের কথা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কথা ভাবা?আর দেশপ্রেমের কথা যা বলে তা শুধু ভোট পাওয়ার জন্য বলে। বাংলাদেশিরা ওনারে কি কোন নিশ্চয়তা দেয় আজীবন ক্ষমতার আর পাওয়ারফুল ব্যাকআপের? তার দলের সব চাটা আর তেলবাজের দল তাদের নেত্রীর পা না চাটলে ক্ষমতা সাধ পায় না। তারাই বা কেন এসবের প্রতিবাদ জানাবে? প্রতিবাদ না করার জন্যইতো আবুল রাজ্জাকের মত রাজনীতিবিদ নিরবে মরে যান আর আবুলেরা হয় মন্ত্রী।

আর বিএনপি? তারা কি পারে না সবাইকে ডাক দিয়ে খাল কাটা কর্মসুচির মত বাধ কাটা কর্মসুচি পালন করতে? করবেনা, কারন তারা পতিতার দালাল হতে না পারুক, ভারতের বিরোধিতা না করেও যদি পতিতা সাপ্লাইয়ারের মত তাদেরকে খুশি করে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পরিস্কার করা যায় তাতে মন্দ কি? খালেদা জিয়া তার দুই ছেলে নিয়ে চিন্তিত। বাংলাদেশের এই বজ্জাত জনগনের সামনেই তার দুই ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। তার কি প্রয়োজন বজ্জাত বাংগালির কথা ভাবা? বজ্জাত বাঙ্গালি কি তাকে নেক্সট ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়? একই কথা তার দলের পা চাটা রাজনীতিবিদদের। তাদের কি প্রয়োজন নেত্রীর কথার বাইরে যাওয়া? যদি ভবিষ্যত মন্ত্রীত্ব নস্ট হয়ে যায়? আর এই সব রাজনীতিবিদদের নস্ট লোভের কারনের আমার মা আমার দেশকে রক্ষিতার মতন আচরন সহ্য করতে হচ্ছে। ভারত থেকে শুরু করে ক্ষমতাধর যে কোন দেশই আমার মাকে অপমান করতে দ্বীধা করেনা।

তারমধ্যে এখন সবচেয়ে আগ্রাসি ভারত। ১৯৭১ সালে লোভি পাকিস্তানিদের কাছ থেকে মায়ের ইজ্জত বাচিয়েছিলাম। রাজনীতিবিদেরা যতই স্বাধিনতার চেতনার কথা বলুক আর ব্যবসা করুক যুদ্ধ কিন্তু করেছিলাম এই আমরাই। বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরাই। আজ ২০১১ সালের শেষে ২০১২ সালের নতুন যুদ্ধ এই আমাদেরই করতে হবে, কোন নস্ট রাজনীতিবদের আমাদের মায়ের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া যাবে না।

১৯৭১ সালের জামাত, ২০১১ সালের আওয়ামিলীগ বিএনপি সব একই সাপ, সবার দাতেই বিষ। আমাদের উচিত এখনি সোচ্চার হওয়া। গরিব হই, সাধারন জীবন যাপন করি কিন্তু একজন গরীব কৃষানির মত স্বাধিন, সন্মানের ও অধিকারপুর্ন জীবন কাটাই, কোন ধণি বদমাসের লোভ লালসার শিকার কোন রক্ষিতা হয়ে নয়। আসুন তিতাসকে বাচানোর মাধ্যমে শুরু করি আরেক ৭১। চলুন সবাই মিলে কেটে দেই সেই মরন বাধ।

ফারাক্কায় যেতে না পারি, টিপাইমুখ ড্যাম নির্মানে বাধা না দিতে পারি, আখাউড়া তো যেতে পারবো। ছবিটা ব্লগার সাধারন মানুষ ০০৭ এর কাছ থেকে পাওয়া ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.