আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শীতের রিক্ততা ,অচিন পাখি আর ঝরাপাতার গল্প

"জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে..একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিসঙ্গ্তায় ডুবেছি"-(শঙ্খনীল কারাগার)হুমায়ূন আহমেদ " শৈত্যপ্রবাহ টা ইদানিং বড্ড বেড়েছে” এটাই ভাবছিল অচিন পাখিটা ,ভাবতে ভাবতে সে যে তেপান্তরের মাঠের কাছাকাছি চলে এসেছে সেটা আর খেলায় করা হয় নি । কেন যেন আজকাল তার মন টা অনেক আলাভোলা হয়ে গিয়েছে শুধুই অন্যমনষ্ক হয়ে পড়ে। কি আর করা, এই বিশাল তেপান্তরের মাঠ টা তো তার পার হতে হবে,সাথে কেউ ও নেই ও যে তার সাথে সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে এই নিশ্চল সময় টা পার করে দেয়। এই হিম কাপুনি থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্য সে চোখ টা বন্ধ করে মাঠের কোনাকোনি উড়তে শুরু করলো , পিছনের স্মৃতি গুলোও তাকে আকড়ে ধরলো ………………….. অচিন পাখি ..... একসময় চিন্তা করার কেউ ছিল না , তারপর অবশেষে একজন এলো । কিন্তু যেকোন সৃষ্টির ই মনে হয় চাহিদা অসীম সেটা অর্থনীতির ভাষায় ই হোক আর দেনা পাওনার এর কাব্যিক ভংগীতেই হোক ।

আর তা তো মানতেই হবে, তাই বহু বছর পর যিনি এসেছিলেন তিনি যখন তার চাহিদার সাথে যোগান এর হিসাব মিলাতে পারলেন না তখন তিনি চলে গেলেন । কেনই গেলেন বা তার জন্য পথ চেয়ে বসে দুঃখী থাকা অচিন পাখির কাছে সেটাও প্রকাশ করে গেলেন না। এবং যথাযথ ভাবেই আবার সেই নিয়তি । হুম নিয়তি , নিয়তি নাকি লেখাই থাকে,সেটা এমন লেখা যা কেউ খন্ডাতে পারে না। তবে অনেকে মাঝে মাঝে খন্ডায় তা শুনে মনে হয় যেন তা রূপকথার কল্পনাতেই সম্ভব যেখানে লিখা থাকে “অতপর তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল”।

কেউ কেউ আবার সেই নিয়তি নিজেই লিখে নিয়ে আসে । আসলে এই নিয়তি কোথায় লেখা থাকে তা কেউ জানেই না , তাই ধরেই নিলাম কপাল টাই হল নিয়তি লেখার জায়গা। কোন এক লোককাহিনী তে ছিল যে শিশু জন্মের পর তাকে আতুরঘরে থাকা অবস্থাতেই তার নিয়তি বা ভাগ্য নাকি লিখে যেত দেবতারা , কপালের সেই লিখন জানার জন্য রাজা রা দাসীদের আতুরঘরের পথে বসিয়ে রাখতেন যাতে তারা দেবতা দের থেকে ভবিষ্যত রাজপুত্রের ভাগ্যা টা জেনে নিতে পারেন , হয়তো এতেই মঙ্গলছিল নাহলে কি আজ কাঞ্চনবালা কিংবা মধুবালা লেখা হত । হায় আশ্চর্য তোমার সৃষ্টি তার চেয়েও আশ্চর্য তুমি । কে সে কাকে বললাম ।

কে জানে ? নিজেই হয়তো জানি না…. । ফিরে এলো আবার সেই নিয়তি তে , হিংসা হচ্ছে তাদের কে যারা সুখে থাকছে এখন। মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় তাদের নিয়তি মানে কপাল টাকে একটু ছুয়ে দেখতে । দেখি তো তোমার নিয়তি কে খণ্ডালো। তুমি ? নাকি অন্য কেউ যাকে তুমি নিজেই চিনো না ? একজন ফেলে চলে গেল আবার আরেকজন আসলো ।

আবার বসন্ত ফিরে এলো ডালে ডালে পাতায় পাতায় প্রকৃতি মুখরিত হয়ে উঠলো , কিন্তু হঠাৎ একদিন অচিন পাখিটি নিজে আবিষ্কার করলো যে যুগ পাল্টাবার সাথে তার পরিবর্তন টা সে বুঝতে পারেনি আসলে। আসলে যে বসন্ত এসেছে সেটা যতটা না তার মনে তার চেয়ে বেশি সে দেখছে তার ভিতর টা। যার কারণে সে ভেবেছিল তার জীবনে আবার বসন্ত ফিরে এসেছে। তাহলে! হায় হায়, এতোদিন সে কি করলো? মিথ্যে আশা, মিথ্যে প্রলোভন দিয়ে কি নতুন সংঙ্গীনি কে ভুল বোঝলো ? এখন কি সে যদি যে জানতে পারে তার নিজের জীবনে আসলে বসন্ত আসেনি ,তাহলে সে কি তা মেনে নিতে পারবে ? পারবে কি সে ওই নিষ্ঠুর আঘাত সহ্য করতে যেটা সে আগে পেয়েছিল । যে মাঘের শীত এসে তার জীবনের রস , শক্তিতে চিরদিনের মাঘের রিক্ততায় নিয়ে গিয়েছে।

হয়তো পারবে না, সে নিজেকে জিজ্ঞেস করে , ওহ! না ভুল বললাম সে তার নিয়তি কে জিজ্ঞেস করে এ কেমন নিয়তি গো ? নিয়তি বলে "এটাই যে নিয়তি বৎসঃ । এখানেই জীবনের রহ্স্যময়তা । তুমি জীবনের রহস্যময়তা নিয়ে চিন্তা কর । দেখবে তুমিই তোমাকে মানে তোমার নিয়তি কে চালিয়েছ। " অচিন পাখিটি আবার সংশয়ে পড়ে যায় , হঠাৎ সে আবিষ্কার করে সে এতোক্ষণ একটা খোলা মাঠের মাঝেই ঘুরপাক খাচ্ছিল।

হয়ত মাঠের মাঝেই সে ৃষ্টিবিভ্রম করে । আবার সে চেষ্টা করে তার পথ খুজে বাড়ি ফিরতে ,পিছন থেকে তেপান্তরের মাঠের খল খল হাসির শব্দ শুনতে পায় । ফেসবুকের নোট এর লিঙ্ক ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।