আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খাদ্যগুণে সমৃদ্ধ মাশরুম

প্রাণখোলা হাসির শব্দ শুনতে ভালোবাসি তবে সে হাসি হতে হবে স্বর্তস্ফূর্ত এবং মুখ খুলে। মুখ টিপে হাসার চেয়ে অট্টহাসিই আমাদের সত্যিকার প্রভাবিত করে এবং হাসির সংক্রমণ ঘটায়। মাশরুম অত্যন্ত স্বাস'্যপ্রদ একটি খাবার। দেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দমনে মাশরুমের জুড়ি নেই। এতে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টি বায়োটিক ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।

নিরামিষভোজিদের জন্য এটা একটা মজাদার খাবার। পাশাপাশি মাশরুম পাসতা, ওমলেট, বিফ রোল, চিকেন স্যান্ডউইচ কিংবা ফিশ ফ্রাইয়ে ব্যবহার করলে স্বাদের সাথে বাড়ে খাবারের পুষ্টিগুণ। মাশরুমে ভিটামিন বি আছে প্রচুর পরিমাণে। ভিটামিন বি খাদ্যকে গ্লুকোজে রূপান-রিত করে। আর গ্লুকোজ থেকেই তৈরি হয় আমাদের দেহের শক্তি।

। ভিটামিন বি খাদ্যবিপাক প্রক্রিয়াকেও সক্রিয় করে। মাশরুম কোলেস্টোরাল শূন্য। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও খুবই সামান্য। এতে যে এনজাইম ও ফাইবার আছে তা দেহে উপসি'ত বাকি ব্যাড কোলেস্টোরালের বসতিও উজাড় করে দেয়।

মাশরুম একমাত্র সবজি ও দ্বিতীয় খাদ্য উপাদান (প্রথম কডলিভার ওয়েল) যাতে ভিটামিন ডি ভোজ্য আকারে পাওয়া যায়। অন্য কোনো খাদ্য উপাদানে ভোজ্য আকারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় না। মাশরুমকে চিকিৎসকেরা এক সময় প্রাকৃতিক ইনসুলিন, আবার আরেক সময় প্রাকৃতিক অ্যান্টি বায়োটিক হিসেবে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। দেহের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ ও দেহের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন দূর করতে ভালো কাজ করে মাশরুম। মাশরুমে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম ও সেলেনিয়াম।

সেলেনিয়াম উপাদানটি শুধু মাছেই পাওয়া যায়। যারা পুরোপুরি নিরামিষভোজি তারা মাশরুমের মাধ্যমে এই উপকারী উপাদানটি গ্রহণ করতে পারেন। মাশরুমে আরো আছে এরগোথিওনেইন নামে এক ধরনের শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা মানবদেহের জন্য ঢালের মতো কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি অনেক ব্যাকটেরিয়াও দমন করে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.