আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখের মাইয়া বড় বে-আব্রু হয়ে পড়েছে!!!

আমি যদি আরব হতাম মদিনারই পথ এই পথে মোর হেটেঁ যেথেন নূরনবী হজরত যুদ্ধপরাধের বিচারে নিয়ে সরকারের লাফালাফি আর হাম্বি তম্বি শুনে মনে হচ্ছিল কি জানি কি ব্স্তা বস্তা তথ্য প্রমাণ নিয়ে ট্রাইবুনালে হাজির হবে। কিন্তু এখন দেখছি সব ভূয়া। তারা সাক্ষী হিসেবে পিরোজপুরের এক জেল খাটা চোর বাটপার মাহবুবুল আলম হাওলাদার কে হাজির করেছে যার কিনা মুক্তিযুদ্ধা সার্টিফিকেটটা পর্যন্ত ভূয়া। আমারদেশের সংবাদ আরো জানলাম যে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঐ বেটার বালটা পর্যন্ত ওটে নাই। মানে ঐ সময় সার্টিফিকেট অনুসারে চোরজাদার বয়স ছিলো মাত্র ১২ বছর।

যাইহোক ১২ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করলেও এতগুলো বছর মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে নাম লেখাতে না পারায় অবশেষে গত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তা বগল দাবা করেন। আর সার্টিফিকেট নেয়ার সময় কোথায় কেননা তিনি তো তার প্রথম স্ত্রীর সাথে যৌতুক যৌতুক খেলায় ব্যস্ত ছিলেন। যৌতুক দাবি করায় তার প্রথম স্ত্রী মামলা করেছিলেন এটা স্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন তিনি ঐ সময় তার প্রথম স্ত্রীর নামে মামলা করেছিলেন পরে তার স্ত্রী ও একখানা মামলা দেন। প্রথম স্ত্রী ফিরোজা বেগমের দায়ের করা যৌতুক মামলা এবং অপর একটি চুরির মামলায় জেল খাটার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। পাঠক প্রশ্ন করতে পারেন আমি কেন শুধু আমারদেশ নয়াদিগন্ত ইত্যাদি হতে রেফারেন্স দিচ্ছি।

গত ৭ নভেম্বর এ মহান চোরজাদা যখন আদালতে সাক্ষ্য দেন তার পরের দিন দেশের সব কয়টি পত্রিকায় তা ফলাও করে ছাপা হয়েছে । কিন্তু এখন যখন তাকে জেরা করা হচ্ছে তখন আর আমাদের প্রগতিশীল পত্রিকা গুলো আর এসব ছাইপাশ ছাপাচ্ছে না। কারনটি যার যা ইচ্ছা অনুমান করে নিন। তবে আমি মনেকরি এসব ছেপে তারা সরকরারে পশ্চাদ্বেশের জ্বালা বাড়াতে চায়নি। কারন এ সরকারের খড়গ কখন কার উপর নেমে তা আল্লাহই ভালো জানেন।

গতকাল খুব সাহসী হয়ে কয়েকটি টিভি চ্যানেল অধ্যাপক গোলাম আযমের এক্সক্লসিভ সাক্ষাতকার প্রচার করায় মাননীয় পাটমন্ত্রী মহোদয়ের চুলকানি শুরু হয়ে গিয়েছে। অধ্যাপক গোলাম আযমের এক্সক্লসিভ সাক্ষাতকার এসব দেখেশুনে আমার এক বন্ধুর কথা খুব কানে বাজছে। যে গতকাল বিকেলে আমাকে এসব নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে দেখে বলেছিলো শুনো বন্ধু! ৭১এ সারা বাংলাদেশে যারা গনহত্যা চালিয়েছে সেই পাক বাহিনীর কসাই টিক্কা খান রাও ফরমান দের তো কিছুই ছিড়তে পারে নাই শেখ মুজিব। বরং স্বসম্মানে ফেরত পাঠাইছে। আর এখন শেখের মাইয়া আইসে বিচার করতে।

আমি তাকে বললাম যে দেখো! দেশের শেয়ারবাজার, অর্থনীতি, পদ্ধা সেতু আর টিপাইমুখ নিয়ে হাসিনা সরকারের যা অবস্থা এইবার বিচার যা হওয়ার হউক ফাঁসি কিন্তু দিয়ে দিবে। সেজন্য ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বানিয়েছে নিজামুল হক নাসিম যে কিনা গণআদালতে ফাঁসি দেয়ার রিহার্সেল করে এসেছে। হাসিনার পায়ের নিচে এখন মাটি নেই। যুদ্ধাপরাধের বিচার ইস্যুটা এখন হাসিনার ভান্ডারের শেষ সম্বল। তবে ট্রাইবুনালের কান্ডকারখানা এখন সার্কাসের তামাশায় রুপান্তরিত হয়েছে।

বিচারের নামে চলছে ভন্ডামি। সবমিলিয়ে শেখের মাইয়া বড় বে-আব্রু হয়ে পড়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.