আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক বোন রাঁধেন-বাড়েন, আরেক বোন খান

অভিনয়শিল্পী স্বাগতা রান্না করতে পছন্দ করেন। এই কথা তাঁর পরিবারের বাইরেও অনেকে জানেন। বাড়িতে বেশির ভাগ সময় তিনিই রান্না করেন। আর ঈদের দিন তো বটেই। যদিও তাঁর ছোট বোন সংগীতশিল্পী সভ্যতার মায়ের হাতের তৈরি লাচ্ছা সেমাই বেশি প্রিয়।

তবে স্বাগতার হাতের রান্নাও সভ্যতা ভালোবাসেন। সভ্যতা নিজে তেমন একটা রান্না করেন না, বোনকে রান্নার কাজে অবশ্য সাহায্য করেন। তবে বোনের রান্নার সমালোচকও তিনি।
ঈদের দিন দুই বোন একটু দেরিতেই ঘুম থেকে ওঠেন। গোসল করে নতুন পোশাক পরে মায়ের হাতের সেমাই খেয়ে শুরু হয় দিন।

দুপুরে পোলাও, কোরমা ও গরুর মাংস খাওয়া হয় সব সময়। কোনো কোনো ঈদে দেখা যায়, বাবা তেহারি কিংবা বিরিয়ানি রেঁধে ফেলেন। বাবার কাছ থেকেই তেহারি রান্নার প্রণালি স্বাগতা শিখেছেন।
স্বাগতা বলেন, ‘সময় পেলেই বাসায় রান্না করি। মাকেও সাহায্য করা হয়।

সব ধরনের রান্নাই করা হয়। ঈদের দিন দুপুরের ভারী ধরনের খাবারের পদগুলো মা-বাবা মিলে রান্না করেন। তখন মিষ্টিজাতীয় কোনো পদ হয়তো আমি তৈরি করি। ’ কিছু দিন স্বাগতা এক শুটিংস্পটে অভিনয়শিল্পী বাঁধনের কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি ‘সেমাইয়ের সঙ্গে ডিমের হালুয়া’ শিখেছেন। ঠিক করেছেন এবার ঈদে মিষ্টির এই পদ তিনি রান্না করবেন।


তিন ভাইবোনের মধ্যে সভ্যতা ছোট। আদরটাও তাই একটু বেশি। বড় বোনের রান্না করার সময় পাশে দাঁড়িয়ে দেখেন। কখনো এটা-সেটা এগিয়ে দিয়ে সাহায্য করেন। বড় বোন ভালোবেসে নতুন নতুন পদ তৈরি করে ছোট বোনকে খাওয়ান।

সভ্যতা বলেন, ‘রান্নার দায়িত্ব আপুরই। মা ও আপুর হাতের রান্না ভালো লাগে। ঈদের দিনে মা-বাবা ও আপু মিলে রান্না করে। খাওয়ার কাজটা আমার ও ভাইয়ার। ’ এবারের ঈদেও ব্যতিক্রম হবে না।



গরুর মাংসের তেহারি
উপকরণ: চিনি গুঁড়া চাল ১ কেজি, গরুর মাংস ২ কেজি, ঘি ৫০ গ্রাম, সয়াবিন তেল পরিমাণমতো, গুঁড়ো দুধ ৪ টেবিল চামচ, এলাচি ৩টি, দারুচিনি ৩টি, লবঙ্গ ২-৩টি, জয়ফল একটির চার ভাগের এক ভাগ, জয়ত্রী ১ গ্রাম, তেজপাতা ২-৩টি, পেঁয়াজের কুচি ও বাটা মিলে আধা কেজি, চিনাবাদাম ৬টি, পোস্তদানা ১ চা-চামচ, কিশমিশ ৬টি, আদা বাটা পরিমাণমতো, গোলমরিচ পরিমাণমতো ও লবণ পরিমাণমতো।
প্রণালি: দুই কেজি গরুর মাংস কেটে ধুয়ে তাতে তেল, লবণ, পেঁয়াজ বাটা ও কুচি আধা কেজি দিতে হবে। এরপর তাতে আদা বাটা, দারুচিনি, লবঙ্গ দিন। জয়ফল, জয়ত্রী, চিনাবাদাম ও পোস্তদানা একসঙ্গে বেটে মাংসে মাখিয়ে নিন। চুলায় কড়াইয়ে মাংস বসিয়ে দিন।

সেদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনে পরিমাণমতো পানি দিন। তবে মাংস যেন ঝোল না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। আরেকটা পাত্রে তেল ও ঘি, তেজপাতা, এলাচি, লবঙ্গ ও লবণ দিন। এতে ধোয়া চাল হালকা ভেজে নিন। ১ কেজি চালের জন্য দেড় লিটার পানি সেদ্ধ করে নিন।

এই পানি চালের পাত্রে দিন। এতে ৪ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ দিয়ে নাড়ুন। পানি শুকিয়ে এলে পোলাও অল্প আঁচে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। নামিয়ে পরিবেশনের সময় প্রথম স্তরে পোলাও দিন। এর পরের স্তরে গরুর মাংস দিন।

এভাবে পরপর কয়েকটি স্তরে পোলাও ও গরুর মাংস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। চাইলে পেঁয়াজ বেরেস্তা করে চারপাশে ছিটিয়ে দিন।

ডিম ও সেমাইয়ের বাঁধন
উপকরণ: লম্বা সেমাই ১ প্যাকেট, কোরানো নারকেল আধা কাপ, চিনি ৩ কাপ, লবণ পরিমাণমতো, এলাচি পরিমাণমতো, লবঙ্গ পরিমাণমতো, পানি পরিমাণমতো, তরল দুধ ১ লিটার, ডিম ৪টি ও ঘি ৪ টেবিল চামচ।
প্রণালি: এক প্যাকেট লম্বা সেমাই ঘিয়ে ভেজে নিন। এতে ১ কাপ পানি দিয়ে চিনি, লবণ, কোরানো নারকেল ও গরম মসলা দিন।

তরল দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। বাটিতে কুসুমসহ ডিম, চিনি, সামান্য লবণ, এলাচি, লবঙ্গ, দারুচিনি ও ঘি দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর চুলায় ঘন দুধে এই মিশ্রণ দিয়ে বারবার নাড়ুন। আস্তে আস্তে শুকিয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। এরপর সেমাইয়ে ডিমের মিশ্রণ দিয়ে দিন।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।