আমি আলিঙ্গন করলাম শীতের সকালবেলাকে।
পাহাড়ের সম্মুখভাগে ছিল সব জড়তা, নড়ছিলনা কিছু তখনো। ঘাসেরা যেন মৃত।
গিরিপথে নামেনি তখনো ছায়ারা। এগোলাম উষ্ণ জীবন্ত নি:শ্বাসের ফোয়ারা জাগিয়ে
দিয়ে, লজ্জাবতীরা দেখছিল অবাক চোখে পলকহীনভাবে।
আমার প্রথম অভিযানেই ছিল হিমেল হাওয়ার আমন্ত্রন। ম্লান আলোয় ঢাকা পথের
নাম না জানা ফুলটি চুপিসারে বলেছিল তার সতেজতার রহস্য।
জলপ্রপাতটি যেন এক বয়ে চলা জীবন, মিশকালো ও অচেনা এক, বন্য কেশরাশি
উদোম করে দিচ্ছিল ঠায় দাড়িয়ে থাকা ফার বৃক্ষগুলোর ভেতর, যেন প্রতিটি ক্ষনে
নূতনভাবে ব্যাপটাইজ করা। আমি চিনতে পারলাম আফ্রোদিতিকে।
আফ্রোদিতি! আমি ঘোমটাগুলো খুললাম পর পর সব, আইভিলতার ন্যায় প্যাঁচিয়ে।
তৃনভূমে চূড়ান্ত অপরাধী হল সে। বললাম, আর কতকাল ফানুস দেখাবে?
ঝাউবনের শেষ প্রান্তে আমি তাকে ঘেরাও করলাম তার ঘোমটাগুলো দিয়ে। নীরব
নিথর সে, মৃদু স্পর্শের ছোঁয়ায় অর্ফিয়ূসের সুর লহরী শ্রৃঙ্গার তুলল। চাঁদটি বুঝল
হয়তোবা বুঝলনা, আনমনেই বনভূমিকে আচ্ছন্নতায় ভরিয়ে তুলল।
আহ! নূতন জীবনের উত্থান!
আমি সব রহস্য জেনে গেছি, আমি সব রহস্য উন্মোচন করেছি।
রহস্য সব ধর্মীয়
প্রাকৃতিক, মৃত্যু, জন্ম, আগামী, অতীত, মহাবিশ্বতত্ব, শূন্যতা। এ আমি যেন চলেছি
ছুটে ছায়ামূর্তিপ্রবাহের অধীশ্বর হয়ে, চির অবিনশ্বর হয়ে।
অবশেষে দেবী জেগে ওঠে নিজেতে রূপান্তরিত হয়ে।
আমিও জেগে ওঠি আমার কাব্য পংক্তিমালা নিয়ে।
হায় দেবী, হায় ইশ্বরী, হায়! দিবকরের এ চুমোয়
চুমোয় মধ্যগগন যায়।
হায়,লীলালাস্যের ইশ্বরী হায়!
আমিও নির্বাক জেগে উঠি কনশাসে অথবা সাবকনশাসে!
*****
১২ই অগ্রহায়ন,১৪১৮
মতিঝিল, ঢাকা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।