আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধানমন্ডি লেক নিয়ে বানিজ্যিকীকরনের ষড়যন্ত্র

দুনিয়াতে শুধু দুই প্রকার মানুষ আছে। একদল ভাল, একদল খারাপ। এর বাইরে আর কোন বিভেদ নাই। রাজধানী ঢাকার প্রানকেন্দ্র ধানমন্ডি লেকের উন্মুক্ত ব্যবস্থা বন্ধ করে বানিজিকীকরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ‘ইমপ্রুভমেন্ট অব ড্যামেজ স্ট্রাকচার অ্যান্ড সিভিক অ্যামিনিটিস ইন ধানমণ্ডি লেক’ নামক এক প্রকল্পের আওতায় উন্মুক্ত চলাচল বন্ধ করে টিকেট ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে বলে ঘোষনা দিয়েছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন।

প্রকল্পটি ২০১২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। নতুন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ঢাকাবাসীকে টিকিট কেটে ঢুকতে হবে ধানমন্ডি লেকে। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, ডিসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসানুল হক মিয়া, স্থপতি মো. ইকবাল হাবিব, এসডব্লিউও পশ্চিম’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ, লেক প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর এম এম ইকবাল সফিসহ বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। ডিসিসির স্থপতি ইকবাল হাবীব জানিয়েছেন, “লেকের বর্তমান অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ওয়াকওয়ে মেরামত, কিছু কিছু জায়গায় ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ফুটওভার ব্রিজ, শিশু পার্ক, গভীর নলকূপ, বৃক্ষরোপন, বৈদ্যুতিক ব্যস্থার উন্নয়ন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

” এ ছাড়াও লেকের পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে ঝরণা তৈরি করা এবং পানিতে অক্সিজেন দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আর উন্নয়ন কাজ শেষে ধানমণ্ডি লেকে প্রবেশের জন্য টিকিটের ব্যস্থা করা করা হবে। ” মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে গত এপ্রিলে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের বেশকিছু কাজ হয়েছে। আর কিছু কাজ করা বাকি রয়েছে।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বলা যেতে পারে, লেকের ২ নম্বর সেক্টর সংলগ্ন জায়গায় অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্পটির জন্য সরকার দিয়েছে ২১ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ডিসিসি’র পক্ষ থেকে দুই কোটি ৩৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে ধানমন্ডি লেকের এই উন্নয়ন প্রকল্পকে সাধুবাদ জানালেও টিকেট ব্যবস্থা চালু করার এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলাবাগান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির এক নেতা জানান, মূলত লেক নিয়ে বানিজ্যিকীকরনের লক্ষ্যেই এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমিতি(সাপুব)র সভাপতি রায়হানুল ইসলাম লিংকন জানান, পুরো ধানমন্ডিতে বিনোদনের জায়গা একমাত্র জায়গা এই লেক।

এই লেক নিয়েও বানিজ্য শুরু হলে তাদের উন্মুক্ত বিনোদনের আর কোন জায়গা থাকবে না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.