আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্রপতি জিয়া ও সাত্তারের আমল : বিএনপির জন্মই তার আজন্ম পাপ

১/ অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া জনমতের প্রতি তোয়াক্কা না করে, গণতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সামরিক আইনের মধ্যে সামরিক ফরমান দিয়ে সংবিধান সংশোধন করেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত জাতীয় চার মূলনীতিকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবন থেকে নির্বাসিত করা হয় এবং পাকিসত্মানি আমলের সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের ধারায় দেশকে পরিচালিত করা হয়। গৌরবম--ত জন্মের উৎস থেকে বিচ্ছিনড়ব করে জাতিকে উল্টো পথে পরিচালনা করার দায় এই দলটির। ২/ অস্ত্রের জোরে রাষ্ট্রপতি সায়েমকে হটিয়ে দিয়ে এবং জাতির প্রতি ওয়াদা ভঙ্গ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত করে সেনা কর্মকর্তা জিয়া স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি হন। একইভাবে প্রহসনের নির্বাচন করে রাবারস্ট্যাম্প পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন।

৩/ রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় সামরিক আদেশে রাজনৈতিক দলবিধি ঘোষণা করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সেনাশাসক জিয়া। এতে সামরিক সরকারের অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করার বিধান চালু হয়। ৪/ সামরিক বাহিনী থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করার হীন উদ্দেশ্য নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে ক্যু পাল্টা-ক্যু সংঘটিত করা হয়। প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে শত শত সামরিক অফিসার ও জোয়ানদের ফাঁসি কাষ্ঠে ঝোলানো হয়। ঠান্ডা মাথায় এমন খুন করার ঘটনা সাম্প্রতিক ইতিহাসে বিরল।

৫/ ক্ষমতা কুক্ষিগত ও দীর্ঘস্থায়ী করা এবং মুক্তিযুদ্ধের ধারা থেকে দেশকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা নাম ভাঙিয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়া প্রশাসনকে পাকিসত্মানিকরণ ও সামরিকীকরণ করেন। ৬/ যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদর- আলশামসদের দল করার সুযোগ প্রদান এবং তাদের রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের বিভিনড়ব ক্ষেত্রে পুনর্বাসিত করা হয়। ৭/ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং চাকরি প্রদান করা হয়। সপরিবারে জাতির জনকের হত্যাকারীদের রক্ষার উদ্দেশে ইনডেমেনিটি অধ্যাদেশ চালু করে আইনের শাসন ও মানবতাকে দেশ থেকে নির্বাসিত করার প্রচেষ্টা শুরু হয়। ৮/ ক্যান্টনম্যান্টে বসে রাষ্ট্রপতি জিয়া রাষ্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতি করার ধারা চালু করেন।

৯/ অন্ধ সাম্প্রদায়িক ও ভারত বিরোধী প্রচারণাকে পাকিসত্মানি আমলের মতোই জনগণকে বিভ্রান্ত ও বিভক্ত করে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার কাজে ব্যবহার করা হয়। ১০/ গ্রাম সরকার গঠন ও যুব কমপ্লেক্স স্থাপন এবং এসব প্রতিষ্ঠানকে লুটপাটের আখরায় পরিণত করা হয়। ফলে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুদূর গ্রাম পর্যন্ত দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিস্তার ঘটে। ১১/ আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির স্থলে তথাকথিত বাংলাদেশি সংস্কৃতি প্রচলনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়। ১২/ ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’ - এই ঘোষণা দিয়ে লুটপাটের অর্থনীতি চালু করা হয়।

দেশপ্রেমিক উদ্যোক্তা শ্রেণিকে নিরুতসাহিত করতে খেলাপী ঋণের সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষণ করা হয়। ১৩/ ‘রাজনীতি রাজনীতিবিদদের জন্য ডিফিকাল্ট’ করার প্রকাশ্য ঘোষণা প্রদান করা হয়। এই লক্ষ্য থেকে একদিকে সামরিক-বেসামরিক আমলা, পুঁজিপতি ও পেশাজীবীদের অপরদিকে ক্ষমতালোভী সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদদের ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে বিএনপি দলীয় রাজনীতিতে নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ওপর থেকে রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠিত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাজনীতিতে অর্থ ও অস্ত্রের আমদানি করা হয়। ১৪/ অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়া জনমতের প্রতি তোয়াক্কা না করে, গণতন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সামরিক আইনের মধ্যে সামরিক ফরমান দিয়ে সংবিধান সংশোধন করেন।

এই সংশোধনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত জাতীয় চার মূলনীতিকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবন থেকে নির্বাসিত করা হয় এবং পাকিসত্মানি আমলের সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের ধারায় দেশকে পরিচালিত করা হয়। (চলবে) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.