আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি

...চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায় .... আজ যে বড়লোক কাল সে ভিক্ষা চায়............

১ম পর্ব। বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বাংলাদেশের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি। তিনি ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ থেকে ২১ এপ্রিল ১৯৭৭ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি। আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম বর্তমান রংপুর জেলায় জন্ম গ্রহণ করেন ১৯১৬ সালে।

তিনি রংপুর জেলা স্কুলে পড়ালেখা করেন এবং পরবর্তীতে কারমাইকেল কলেজে অধ্যয়ণ করেন। এরপর তিনি কলকাতা প্রসিডেন্সি কলেজে পড়ালেখা করেন ও ইউনিভার্সিটি ল' কলেজ থেকে আইনে ডিগ্রি লাভ করেন। কলকাতা কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করার পর ১৯৪৭ সালে সায়েম ঢাকা চলে আসেন। ঢাকায় এসে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে প্রাকটিস শুরু করেন। বাঙ্গালি রাজনীতিবিদ এ.কে. ফজলুল হকের সাথেও তিনি কাজ করেন।

একসময় তিনি ঢাকা হাই কোর্ট বার এসোসিয়েশনের নির্বাচিত মহাসচিব ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট হন। ১৯৬২ সালের ৩ জুলাই তিনি বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিচাপতি সায়েমকে ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি দেশের প্রথম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ও ৬ নভেম্বর এর সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিচাপতি সায়েমকে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি হয়ে তিনি সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সামরিক আইন জারি করেন এবং নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ঘোষণা করেন।

১৯৭৬ সালের ২৯ নভেম্বর তিনি সামরিক আইন প্রশাসকের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিয়োগ করেন। ১৯৭৭ এর ২১ এপ্রিল তিনি দূর্বল স্বাস্থ্যের কারণে জিয়াউর রহমানের হাতে রাষ্ট্রপতির পদ ছেড়ে দিয়ে অবসরগ্রহণ করেন। তিনি অবসর জীবনে রচনা করেন আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘At Bangabhaban : Last Phase' (১৯৮৮)। এ বইটিতে ১৯৯৭ সালের ৮ জুলাই তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।

১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা মনসুর রহমান কলকাতায় এক সরকারি দফতরে রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। জিয়াউর রহমান বগুড়া ও কলকাতার বিভিন্ন স্কুলে শৈশবে অধ্যয়ন করেন ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তার পিতা করাচিতে বদলি হলে সেখানকার একাডেমি স্কুল থেকে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি করাচি’র ডি.জে. কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে জিয়াউর রহমারন সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন।

পরবর্তীতে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধসহ বিভিন্ন যুদ্ধে অসীম সাহসিকতার জন্য বিভিন্ন খেতাব লাভ করেন। বিভিন্ন সময়ে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭০ সালে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে চট্টগ্রামে বদলি হন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি হত্যার অভিযানে লিপ্ত হলে তাদের হাতে শেখ মুজিবুর রহমান বন্দী হন এবং রাজনৈতিক নেতারা আত্মগোপনে চলে যায়। এ সময় জনগণ কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে হয়ে পড়ে। এই সঙ্কটময় মুহুর্তে মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যরা পাকিস্তান সেনাবাহীনির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।

২৬ মার্চ রাতে জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। মুক্তিযুদ্ধের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় তিনি সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে স্বাধীনতার পর ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। স্বাধীনতার পর তাকে সেনাবাহিনীর বিগ্রেড কমাণ্ডার নিযুক্ত করা হয়। এরপর বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে ১৯৭৫ সালে চীফ অফ আর্মি স্টাফ পদ লাভ করেন।

ঐ বছর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে ৭ নভেম্বর সংঘটিত ‘সিপাহী-জনতার বিপ্লব’ তাকে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে। ১৯৭৬ সালের ১৯ নভেম্বর তাকে প্রধান আইন প্রশাসক নিয়োগ দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল স্বাস্থ্যগত কারণে রাষ্ট্রপতি সায়েম পদত্যাগ করলে তার পদে অধিষ্ঠিত হন তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্টিত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান এক সরকারি ঘোষণার দ্বারা সংবিধানে সংশোধনী এনে সংবিধানের মুখবন্ধে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ ও সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিবর্তে ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ সংযোজন করেন। তিনি জাতি-বর্ণ-ধর্ম-লিঙ্গ-সংস্কৃতি নির্বিশেষে সকল নাগরিকের ঐক্য ও সংহতির ওপর গুরুত্বারোপ করে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের’ তত্ত্ব প্রদান করেন এবং তা জনপ্রিয় করে তোলেন।

তাছাড়া তিনি বহুদলীয় রাজনীতির পুনপ্রবর্তন ও গণমাধ্যমকে হারানো স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি দেশে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় মনোযোগ দেন। দেশের স্বার্থে বিভিন্ন নীতিগ্রহণ করে অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তার নেতৃত্বে গঠিত হয় বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করে বিএনপি।

এর পর সংবিধানের ৫ম সংশোধনী আইন বলে সামরিক আইন প্রত্যাহার করা হয়। ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে তিনি নিহত হন। বিচারপতি আব্দুস সাত্তার বিচারপতি আব্দুস সাত্তার বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি ছিলেন। প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি প্রথমে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এসময়ে তার বয়স ছিল ৭৬ বছর। পরে তিনি ১৯৮১ সালের ২১ সেপেম্বর দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬৬% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার শাসনকালে সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ১৯৮২ সালে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তার জায়গায় সামরিক আইন জারীর মাধ্যমে প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রীয় মতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দখল করেন।

এ এফ এম আহসান উদ্দিন চৌধুরী ময়মনসিংহ জেলার বোকাইনগরে ১৯১৫ সালের ১ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন এ এফএম আহসান উদ্দিন চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও বিএল ডিগ্রি লাভ করে ১৯৪২ সালে বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৮ সালে ঢাকা হাইকোর্টের এবং ১৯৭৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন আহসান উদ্দিন। ১৯৭৭ সালে তিনি চাকরি থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করেন।

মাত্র কয়েকদিন পরে তথা ২৭ মার্চ জেনারেল এরশাদ আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদে অভিষিক্ত করেন। ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর এরশাদের চাপে পদত্যাগ করেন এবং রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন সামরিক শাসক এরশাদ। বিচারপতি আহসান উদ্দিন বিভিন্ন সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজে জড়িত ছিলেন। ২০০১ সালের ৩০ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ লেফটেনেন্ট জেনারেল (অবঃ) হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বাংলাদেশের সাবেক সেনা প্রধান ও রাষ্ট্রপতি, এবং জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা।

তিনি বর্তমানে জাতীয় পার্টি (এরশাদ)-এর চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদ সদস্য। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি ১ তারিখে তিনি রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রংপুর জেলায় শিক্ষাগ্রহণ করেন এবং ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯৬০-১৯৬২ সালে তিনি চট্টগ্রাম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কেন্দ্রে অ্যাডজুটান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

১৯৬৬ সালে তিনি কোয়েটার স্টাফ কলেজ থেকে স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি শিয়ালকোটে ৫৪ বিগ্রেডের মেজর ছিলেন। ১৯৬৯ সালে লেফটেনেন্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি লাভের পর ১৯৬৯-১৯৭০ সালে ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডেন্ট ও ১৯৭১-১৯৭২ সালে ৭ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরুর সময় এরশাদ ছুটিতে রংপুর ছিলেন। কিন্তু, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করে তিনি পাকিস্তান চলে যান।

পাকিস্তান থেকে আটকে পড়া বাঙালিরা যখন ১৯৭৩ সালে দেশে ফিরে আসে তখন তিনিও ফিরে আসেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর সময় আগ্রা ক্যান্টনমেন্টে স্টাফ কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। পাকিস্তান থেকে দেশে ফেরার পর ১৯৭৩ সালে তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অ্যাডজুটান্ট জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১২ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে তিনি কর্নেল ও ১৯৭৫ সালের জুন মাসে সেনাবাহিনীতে বিগ্রেডিয়ার পদে পদোন্নতি পান। ১৯৭৫ সালেই তিনি মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান ও Deputy Chief of Army Staff হিসেবে নিয়োগ পান। ৩০ মে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হবার পর, এরশাদের রাজনৈতিক অভিলাশ প্রকাশ হয়ে পড়ে।

২৪ মার্চ ১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে মতা দখল করেন। ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ সাল নাগাদ তিনি প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেন। ঐ দিন তিনি রাষ্ট্র মতা রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ.এফ.এম আহসানুদ্দিন চৌধুরীর কাছ থেকে নিজের অধিকারে নেন। এরশাদ দেশে উপজেলা পদ্ধতি চালু করেন এবং ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই দলের মনোনয়ন নিয়ে ১৯৮৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জামায়াত এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে যদিও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই নির্বাচন বয়কট করে। সাধারণ নির্বাচনে তার দল সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন লাভ করে। বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে তিনি ১৯৮৭ সালের ৭ ডিসেম্বর এই সংসদ বাতিল করেন। ১৯৮৮ সালের সাধারন নির্বাচন সকল দল বয়কট করে। এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দেশের জনগনকে সাথে নিয়ে সকল বিরোধী দল আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে মতা থেকে অপসারণ করে।

মতা হারানোর পর জেনারেল এরশাদ গ্রেফতার হন। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি জেল থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন এবং রংপুরের পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচিত হন। বি.এন.পি সরকার তার বিরুদ্ধে কয়েকটি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। তার মধ্যে কয়েকটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং সাজাপ্রাপ্ত হন। ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনেও তিনি পাঁচটি আসন থেকে নির্বাচিত হন।

ছয় বছর অবরুদ্ধ থাকার পর ৯ জানুয়ারি ১৯৯৭ সালে তিনি জামিনে মুক্তি পান। তার প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টি ২০০০ সালে তিনভাগে বিভক্ত হয়ে পরে, যার মধ্যে একটি অংশের তিনি এখনো চেয়ারম্যান। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি ৩টি আসনে প্রতিদ্বন্বিতা করে ৩টিতেই বিজয়ী হয়েছেন। তার দলও আশাতীত সাফল্য লাভ করেছে। বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ সালে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমাল গ্রামে।

তাঁর পিতার নাম তালুকদার রিসাত আহমেদ। শাহাবুদ্দিনের শিক্ষা জীবন কাটে ঢাকা বিশ¡বিদ্যালয়ে যেখান থেকে তিনি ১৯৫১ সালে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তদানিন্তন পাকিস্তানি সিভিল সার্ভিসের (সিএসপি) প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি প্রথমে লাহোরের সিভিল সার্ভিস একাডেমী এবং পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে জনপ্রশাসনে উচতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। শাহাবুদ্দিন আহমেদের কর্মজীবনের সূচনা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে। এর পর তিনি গোপালগঞ্জ ও নাটোরের মহকুমা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরবর্তীতে তিনি সহকারী জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতি পান। এর পর ১৯৬০ সালে তিনি প্রশাসন হতে বিচার বিভাগে বদলী হন। তিনি ঢাকা ও বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে এবং কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি তিনি হাই কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৯০ সালের ১৪ জানুয়ারি তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।

১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে গণ অভ্যুত্থানের পর বিচারপতি শাহাবুদ্দিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের ৯ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ও তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। আবদুর রহমান বিশ্বাস বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস ১৯২৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর বরিশালের শায়েস্তাবাদ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার স্কুল ও কলেজ জীবন কাটে বরিশালে।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রিও লাভ করেন। প্রথমে আবদুর রহমান বিশ্বাস স্থানীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সভাপতি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে তিনি কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। এই কাজের জন্য সরকার ১৯৫৮ সালে তাকে সেচ্ছাসেবি সমাজ কর্মি হিসেবে স্বীকৃতি দান করে।

৫২ ভাষা আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬২ ও ১৯৬৫ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান আইন সভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত তিনি সংসদ সচিব হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি জাতিসঙ্ঘের ২২তম সাধারণ সভায় অংশ করেন। ১৯৭৪ ও ১৯৭৬ সালে তিনি বরিশাল বার ‌অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৭৭ সালে তিনি বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে আবদুর রহমান বিশ্বাস সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯-৮০ সময়ে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রিসভায় পাট মন্ত্রী ছিলেন এবং ১৯৮১-৮২ সালে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের মন্ত্রী সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯১ এর ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনে তিনি আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৪ এপ্রিল ১৯৯১ সালে তিনি সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন।

দেশে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা চালু হবার পর ১৯৯১ এর ৮ অক্টোবর দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তিনি দেশের এক সামরিক ক্যু প্রতিহত করেন। ১৯৯৬ সালের ৮ অক্টোবর তার রাষ্ট্রপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হলে তিনি অবসর নেন। প্রফেসর একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী প্রফেসর একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী কুমিল্লার মুনেফ বাড়ি এলাকায় তার মামা বাড়িতে ১৯৩২ সালের ১ নভেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলায়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বদরুদ্দোজা চৌধুরী ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এপ্রিল ১৫, ১৯৭৯ সালে তিনি জিয়াউর রহমান সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। এসময় তিনি স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

২০০১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় আসার পর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। এর কিছুদিন পর ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০২ সালের ২১ জুন দলের অভ্যন্তরের অন্যান্য নেতাদের চাপে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ হতে পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে, তিনি এর আগের মাসে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে তার মাজারে না গিয়ে তার প্রতি অশ্রদ্ধা পোষণ করেন। এরপর তিনি বিএনপি ত্যাগ করেন এবং তার পুত্র বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মাহি বি চৌধুরিকে সাথে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল বিকল্প ধারা গঠন করেন।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভালো ফলাফল করতে ব্যর্থ হওয়ায় দলের সংবিধান অনুসারে তিনি বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ব্যারিস্টার জমিরুদ্দিন সরকার জমিরউদ্দিন সরকার ১৯৩১ সালের ১ ডিসেম্বর পঞ্চগড় জেলার তেতুঁলিয়া থানার নয়াবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মৌলভী মুহম্মদ আজিজ বক্স একজন জোতদার ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ¡বিদ্যালয় থেকে এমএ ও এলএলবি পাশ করেন। পরে লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করে এসে ঢাকা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।

তিনি এক কন্যা ও দুই পুত্রের জনক। জমিরউদ্দিন সরকার বাংলাদেশের ৮ম জাতীয় সংসদের স্পীকার ছিলেন। তিনি দুইবার বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার মোট ৪ বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। তবে এবারের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনি হেরে যান।

এর আগে তিনি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিগত ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেশ কিছু দিন দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী পদত্যাগ করার পর নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সংবিধান অনুযায়ী তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক বিএনপি সরকারে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০-৮২ সময়কালে তিনি প্রথমে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯১-৯৬ সময়কালে তিনি ভূমি, শিক্ষা এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত স্বল্পকালীন বিএনপি সরকারে তিনি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৫ সালে ছাত্র থাকা অবস্থায় তৎকালীন ছাত্র ফেডারেশনের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। পরে তিনি ছাত্র ইউনিয়ন ও ন্যাপের সমর্থক ছিলেন। ১৯৭১ সালে হাইকোর্টে আইনজীবীদের যে গ্রুপটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন জমিরউদ্দিন সরকার ছিলেন তাদের একজন।

আইন পেশায় সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত তাকে পাঁচবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠান। দল গঠনের প্রথম পর্যায়ে জিয়াউর রহমান জাগদল গঠন করলে তিনি তাতে যোগ দেন। তিনি ছিলেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল বা জাগদল-এর ওয়ার্কিং কমিটির প্রথম সারির সদস্য। পরে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি এর স্থায়ী কমিটির সদস্য হন। প্রথমবার গণপূর্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি বর্তমান সংসদ ভবনের অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন।

গত চার দশকে ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকার বহু দেশ সফর করেছেন এবং আন্তর্জাতিক বহু আইন সম্মেলন ও সেমিনারে সভাপতিত্ব করেছেন। ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৩১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলার নারায়ণগঞ্জ গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৌলভি মুহাম্মদ ইব্রাহিম। ১৯৪৮ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ মুন্সিগঞ্জ উচ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করেন এবং ১৯৫০ সালে মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ থেকে ইন্টারমেডিয়েট পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫০ ও ১৯৫২ সালে যথাক্রমে বি.এস.সি ও এম.এস.সি পাশ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকোনিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে যথাক্রমে এম.এস. ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৬৪ সালে সহযোগী অধ্যাপক ও ১৯৭৩ সালে অধ্যাপক হন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের প্রভোস্ট ছিলেন। অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৬৮-৬৯ ও ১৯৭৬-৭৯-এ দুই মেয়াদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ছিলেন।

তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ নাগাদ পর পর দুই বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল এবং বোর্ড অফ এডভান স্টাডিস এর সদস্য ছিলেন। এছাড়াও অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৯১ সালে তত্ত্বাবধ্যায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তখন তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১-৯৩ সময়ে তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ও ১৯৯৫-৯৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেবার আগ পর্যন্ত তিনি স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ২০০২ সালের সেপ্টেম্বরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ২০০৬ সালের ২৯ অক্টোবর দেশের এক ক্রান্তিকালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি এই পদ ত্যাগ করেন এবং তার পরদিন বাংলাদেশ ব্যাংক এর সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও পরিস্থিতির কারণে তাকেই এ পদে বহাল থাকতে হয়।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মুহাম্মাদ বাকীবিল্লাহ


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.