আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাকৃবিতে ৯২ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারছে না

যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মোবাইল ফোনে আবেদন করার সময় এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষার সাল, বোর্ড অথবা রোল নম্বর লিখতে ভুল করার কারণে এ বছর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ৯২ জন আবেদনকারী আগামী ৩ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় অনার্স ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারছে না৷ তবে এ বিষয়ে বাকৃবি ও টেলিটক মোবাইল অপারেটর কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে৷ জানা গেছে, টেলিটক মোবাইল থেকে ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করার পরও ওই মোবাইল ফোন অপারেটর থেকে ভুল চিহ্নিত করে ফিরতি কোন মেসেজ দেয়া হয় নি৷ বরং সাথে সাথে ফিরতি মেসেজে অভিনন্দন জানিয়ে আবেদনের সিরিয়াল ও পিন নাম্বার প্রদান করে নির্ধারিত ৫৫০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে৷ অনেক আবেদনকারী নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে দ্বিতীয় বার সঠিক তথ্য লিখে মেসেজ পাঠালেও তা আর গ্রহণ করা হয় নি৷ এদিকে আবেদন করার শেষ তারিখ গত ১ নভেম্বর থাকলেও ১৫ নভেম্বর টেলিটক থেকে ওই সব আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হয়৷ ভুল তথ্যের কারণে তারা বাকৃবির ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য মনোনীত হন নি বলে জানানো হয়৷ পরে ওই শিক্ষার্থীদের একাংশ গত ১৬ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষার আহ্বায়ক বরাবর সঠিক তথ্য প্রদান ও উপযুক্ত কাগজপত্র প্রদর্শন করে আবেদন করলে তাদেরকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়৷ কিন্তু গত ১৭ নভেম্বর রাতে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির এক মিটিং শেষ পর্যন্ত তাদেরকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়৷ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমএ সামাদের একগুয়েমিতার জন্য তাদেরকে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা গেছে৷ এদিকে গত কয়েক বছর ধরে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে কোন আবেদনকারী প্রবেশপত্র না পেলে তাদেরকে সার্টিফিকেট ও ছবি প্রদানের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন বিকল্প প্রবেশপত্র দেয়া হতো৷ এবার মানবিক দিক বিবেচনা না করে এসব আবেদনকারীকে ভর্তি পরীক্ষা দেয়া থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে৷ এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির ডাটা এনালিষ্ট অধ্যাপক মো. মমিনুল হক বিডিক্যাম্পাসনিউজ.কম কে বলেন, 'ভুক্তভোগী ৯২ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৩০ জন সঠিক তথ্য প্রদান করে আবদন করলে আমি তা ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় উপস্থাপন করি৷ কিন্তু তা আর পাশ হয় নি৷ তাই এখন আর কিছু করার নেই৷' ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমএ সামাদ এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হন নি View this link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।