আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এটাকে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাপ্রীতি বলা হয়না, ভিন্নমতকে দলীয় বিচারক ও লাঠির আঘাত কোন শান্তির মডেল? তামাশা.....

www.theeconomist2011@yahoo.com বিএনপি’র গত ৪ দলীয় জোট সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির কথা বলে বর্তমান যে আ্ম্লীগ সরকার এখন গদীয়ান-তাদের সাথেই ছিলেন কর্নেল(অবঃ) অলি বীর বিক্রম, পেয়ারে সাথী। সে-কি মাখামাখি আম্লীগ এবং এলডিপির, যেমন ছিলো খিলাফতের সাথে!!! সম্প্রতি কর্নেল অলি মহাজোট সরকারের খোয়ার থেকে বেরিয়ে আসে। চারদলীয় জোটের সাথে আন্দোলনে নীতিগত ভাবে আন্দোলনে অংশ নিতে শুরু করে। সম্প্রতি স্থানীয় আম্লীগ এক মহিলা এমপির সাথে অলির বিরোধ দেখা দেওয়ায় এক কর্মীসভায় সেই মহিলা এমপির বিরোধীতা করে মন্তব্য করেন তিনি। সংগত কারনে সেই মহিলা এমপি অপমানজনক বিবেচনা করে সেই বক্তব্যের বিষয়ে আদালতে সন্মানহানির মামলা করেন।

এ পর্যন্ত সব ঠিক আছে। যে কেউ অপমানিত হলে সন্মানহানির মামলা করতে পারেন। আজ ছিলো সেই মামলার হাজিরা। কিন্তু একি! বিচারের রায়ের প্রতি কোনো সন্মান জানানোর প্রয়োজন বা তাগিদ আম্লীগের থাকতে নেই? নিজেদের পিপি, জিপি এবং বিচারকদের প্রতিও আর বিশ্বাস না রাখার প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে বিচার নিজেদের হাতেই তুলি নেওয়ায় বিশ্বাসী হয়েছে। তারা হামলা চালালো আদালত চত্বরে অলির উপর।

স্তব্ধতায় রক্তাক্ত জনতা অলিকে নিয়ে যান আইনজীবী সমিতির অফিসে। সেখানেই অবস্থান এবং সাংবাদিক সম্মেলনে জানা যায় গতরাতে থানার ওসির সাথে আম্লীগ নেতাদের মিটিংয়ের সিদ্ধান্তই আজকের বাস্তবায়ন। এর দায় আম্লীগ ও সরকার এড়াতে পারবেনা। গত সরকারের দূর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হওয়া যে কয়জন ব্যক্তি নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতার পরিচয় দিতে সরাসরি খালেদা জিয়াকে প্রশ্ন করেছেন, জিয়া পরিবারের সমালোচনা করেছেন, প্রতিবাদ করেছেন-তাদের মধ্যে কর্নেল অলিই প্রথম ব্যক্তি। তিনি দলও ছেড়েছেন।

পড়েন বিএনপির রোষানলে, তখন বর্তমান আম্লীগ অলির কথাকে ওহীজ্ঞান করে বিভিন্নভাবে বিএনপি বিরোধী প্রচারনা চালায়। পেয়ারের জানেমানে পরিনত হন কর্নেল অলি। এক সাথে নির্বাচন এবং সরকার গঠন হয়। চলতে থাকে পিরিতি। সম্প্রতি অলি কেন রাজনৈতিক কারণে বিএনপি জোটের আন্দোলনে যোগ দেন-এই গোস্বায় অলি সরকার ও আম্লীগের টার্গেটে পরিনত হন।

আজকের আক্রমন, কাদের সিদ্দিকীর যুদ্ধাপরাধী হওয়া, জিয়ার চর হওয়া-এসব আম্লীগের মুক্তিযোদ্ধাদের চরিত্র হননের মিশন ছাড়া আর কি হতে পারে? কাল যদি মুজিববাহিনীর তোফায়েল বিএনপির হয়ে কথা বলেন, তাহলে পরশু তিনিও আ্ক্রান্ত হবেন আম্লীগ দ্বারা। এটাকে কি মুক্তিযুদ্ধাপ্রেমী আচরণ বলা যায়? নাকি গণতান্ত্রিক কোনো আচরণ, নাকি বাকশালী স্বৈরাচারী মানসিকতা ও তার বাস্তবায়ন? দেশব্যাপী জামাতের নেতারাও আদালতে হাজিরা দিয়েছে, দিচ্ছে-কই আমরা তো কোনো চেতনাধারীদের সেখানে আক্রমন করতে দেখিনি। সাহস হয়নি? নাকি আতাঁত আছে? এর জবাব আম্লীগকে দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ কি কেবল ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার নয়? কি সন্মান আম্লীগ একজন বীর উত্তমকে, বীরশ্রেষ্ঠকে, বীর বিক্রমকে, বীর প্রতীক কে দেখাচ্ছে? কি মর্যাদা বা ভালবাসা তাদের চেতনায় আছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে। যেখানে আদালত চত্বরে একজন বীর বিক্রমকে আক্রমন করে রক্তাক্ত করা হয়, তাদের মিশন স্পষ্ট।

যেখানে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করা যায়না, সেখানে আম্লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের চরিত্রহননে নামে দলবেধেঁ, বশংবদসহ-এটাই আমরা বিগত দিনগুলোতে দেখেছি, আগামীতে হয়তো আরো ঘৃণ্য কিছু আ্ম্লীগ নাযিল করবে!! সাম্প্রতিক অর্থনীতি, শেয়ার বাজার, দ্রব্যবাজার, টিপাইমুখ, তিস্তাচুক্তি, তেল-গ্যাস-জ্বালানী, মেয়র হত্যাকান্ড-এই সব বিষয়ে দারুন ভাবে লেজেগোবরে অবস্থায় হতাশ সরকার জনগণের চোখকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একের পর এক তামাশা জন্ম দিচ্ছে । কর্নেল অলির উপর নগ্ন হামলাটিও মুক্তিযুদ্ধপ্রীতির উদাহরণসহ একটি তামাশা মাত্র। প্রশ্ন হলো, এই ঘটনায় আম্লীগ কি একজন মুক্তিযোদ্ধাকে সন্মান দিয়েছে? এই ঘটনায় সরকার কি দায়ীদের বিরোদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিবে, নাকি পুরুষ্কৃত করবে দলীয় সন্ত্রাসীদের? -------------------------------- দেখতে চাইলে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.