আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থ ছাড়া কুরআন পড়া গুনাহ্‌ না সওয়াব (পর্ব ১)

www.QuranerAlo.com ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থ ছাড়া কুরআন পড়া গুনাহ্‌ না সওয়াব পর্ব ১ তথ্য-১ আল-কুরআন, কোনো গল্প, কবিতা বা গজলের কিতাব নয়। আল-কুরআন হচ্ছে আল্লাহ্‌ প্রদত্ত একখানা ব্যবহারিক (Applied) কিতাব। আর সওয়াব কথাটার অর্থ হচ্ছে কল্যাণ। কোনো ব্যবহারিক কিতাব পড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, তার জ্ঞান অর্জন করা এবং সে জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করে নিজে কল্যাণপ্রাপ্ত হওয়া এবং অপরকে কল্যাণপ্রাপ্ত করা। কেউ যদি কোনো ব্যবহারিক কিতাব এমনভাবে পড়ে, যাতে ঐ কিতাবের জ্ঞান অর্জন হয় না (অর্থাৎ অর্থ ছাড়া বা না বুঝে পড়ে) এবং তারপর ঐ কিতাবের বক্তব্যকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে যায়, তবে অবধারিতভাবে সে মারাত্মক মারাত্মক ভুল করবে।

নিজের ওপর ঐ জ্ঞান প্রয়োগ করলে সে নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর অন্যদের উপর তা প্রয়োগ করলে অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তাকে পুরস্কার দেয়াতো দূরের কথা শাস্তি দিবে। তাহলে বিবেক-বুদ্ধির চিরসত্য (Universal truth) রায় হচ্ছে, জ্ঞান অর্জন হয় না এমনভাবে বা জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্য ছাড়া কোনো ব্যবহারিক কিতাব পড়লে কোনো কল্যাণ বা সওয়াব হয় না। বরং ক্ষতি বা গুনাহ হয়। আল-কুরআন যেহেতু একখানা ব্যবহারিক কিতাব, তাই বিবেক-বুদ্ধি অনুযায়ী এ কিতাবও ইচ্ছাকৃতভাবে, অর্থ বা জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্য ছাড়া পড়লে, সওয়াব না হয়ে গুনাহ হওয়ার কথা।

তথ্য-২ কোন কাজ যদি এমনভাবে করা হয় যে, তাতে তার উদ্দেশ্যটি কোনভাবেই সাধিত হবে না, তবে যে সময়টুকু কোন ব্যক্তি ঐ কাজে ব্যয় করবে, সে সময়টা অবশ্যই নষ্ট হবে অর্থাৎ তার অন্তত সময় অপচয়ের ক্ষতি হবে। আল-কুরআন পড়ার প্রথম স্তরের উদ্দেশ্য হচ্ছে জ্ঞান অর্জন করা এবং দ্বিতীয় স্তরের উদ্দেশ্য হচ্ছে সে জ্ঞান অনুযায়ী আমল করা। অর্থ ছাড়া কুরআন পড়লে কুরআন পড়ার প্রথম স্তরের উদ্দেশ্যই সাধিত হয় না। এ দৃষ্টিকোণ থেকে অর্থ ছাড়া কুরআন পড়া ব্যক্তির সময় অপচয়ের ক্ষতি যে হবে, তা দৃঢ়ভাবে বলা যায়। আল-কুরআন অনুযায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থ ছাড়া কুরআন পড়া গুনাহ্‌ না সওয়াব কুরআন থেকে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটো নিয়ম- 1. ঐ বিষয়ে কুরআনে যতোগুলো আয়াত বা বক্তব্য আছে, সে সকল বক্তব্যকে পাশাপাশি রেখে পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা।

কারণ, একটি আয়াতে বিষয়টির একটি দিক এবং অন্য আয়াতে তার আর একটি দিক বা একটি আয়াতে বিষয়টি সংক্ষিপ্তভাবে আর অন্য আয়াতে তা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এ জন্য ইবনে কাছির, ইবনে তাইমিয়াসহ সকল মনীষীই বলেছেন, কুরআনের শ্রেষ্ঠ তাফসীর (ব্যাখ্যা) হচ্ছে, কুরআন। 2. একটি বিষয়ে কুরআনের কোনো আয়াতের বক্তব্যের যদি অস্পষ্টতা থাকে এবং ঐ বিষয়ে যদি অন্য কোনো স্পষ্ট আয়াত থাকে, তবে অস্পষ্ট আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা স্পষ্ট আয়াতটির সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে। কারণ আল্লাহ বলেছেন, (পরে আসছে) কুরআনে বিপরীতধর্মী কোনো কথা নেই। চলুন এখন কুরআন অর্থসহ বা ছাড়া অর্থাৎ বুঝে বা না বুঝে পড়ায় সওয়াব বা গুনাহ হওয়ার ব্যাপারে আল-কুরআনের তথ্যসমূহ আলোচনা করা যাক- তথ্য-১ কুরআন পড়ার কথাটি বলতে বা বুঝাতে যেয়ে মহান আল্লাহ আল-কুরআনে মাত্র তিনটি শব্দ উল্লেখ করেছেন।

শব্দ তিনটি হচ্ছে- قِرَأة- تِلاَوَة-رَتَلَ এ শব্দ তিনটির প্রত্যেকটির আরবী অভিধান অনুযায়ী একটি মাত্র অর্থ হয়। সে অর্থটি হচ্ছে, অর্থ বুঝে পড়া বা বুঝে বুঝে অধ্যয়ন করা। আরবী অভিধানে এ শব্দ তিনটির অর্থ, না বুঝে বা অর্থ ছাড়া পড়া অতীতে কখনই ছিল না, বর্তমানে নেই এবং ভবিষ্যতেও হবে না। কুরআনের আয়াতের তরজমা করার সর্বসম্মত নিয়ম হচ্ছে একটি শব্দের যদি একটি মাত্র অর্থ আরবী ভাষায় হয়, তবে ঐ আয়াতের তরজমা ও ব্যাখ্যা করার সময় সে অর্থটিই গ্রহণ করতে হবে। অন্য কোন রকম অর্থ গ্রহণ করা যাবে না।

এ সর্বসম্মত ও ১০০% বিবেক-সিদ্ধ রায় অনুযায়ী তাহলে কুরআনের যে সকল আয়াতে শব্দ তিনটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেখানে অর্থসহ বুঝে বুঝে পড়া বা অধ্যয়ন করা ধরে তরজমা ও ব্যাখ্যা করতে হবে। অন্য কথায় সেখানে অর্থ ছাড়া বা না বুঝে পড়া ধরে তরজমা বা ব্যাখ্যা করার কোন সুযোগই উসুলে তাফসীরে নেই। তথ্য-২ إقْرَأ بِسْمِ رَبِّكَ الَّذِىْ خَلَقَ. অর্থ: পড় তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। ব্যাখ্যা: আয়াতে কারীমায় ব্যাখ্যা হিসেবে বুঝে বুঝে পড় তোমার রবের নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন অথবা না বুঝে বুঝে পড় তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন, এ দুটি কথা উপস্থান করে পৃথিবীর মানুষকে যদি কোনটি সঠিক ও কোনটি ভুল তা জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে পৃথিবীর সকল বিবেকবান মানুষ বলবেন, প্রথমটি সঠিক এবং দ্বিতীয়টি ভুল। শুধুমাত্র ১০০% পাগল ব্যক্তি বলতে পারে দ্বিতীয়টি সঠিক এবং প্রথমটি ভুল।

তাই নিশ্চয়তা সহকারেই বলা যায় আল-কুরআনের মাধ্যমে মানুষকে দেয়া মহান আল্লাহর প্রথম নির্দেশটি হচ্ছে, ‘বুঝে বুঝে পড় তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন’। আয়াতে কারীমার বক্তব্যটি আদেশমূলক। তাই যারা ইচ্ছাকৃভাবে অর্থ ছাড়া বা না বুঝে কুরআন পড়ছেন, তারা মহান আল্লাহর নাযিলকৃত প্রথম ও সরাসরি (Dircet) আদেশটিই অগ্রাহ্য করছেন অর্থাৎ তারা বড় গুনাহের কাজ করছেন এটি নিশ্চয়তা সহকারেই বলা যায়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, কুরআন নাযিল হওয়ার ১৪০০ বছর পর আজ সহজ একটা বাক্যের অত্যন্ত সহজ একটা ব্যাখ্যা আবার নতুন করে বিশ্ব মুসলমানদের জানাতে ও বুঝাতে হচ্ছে। আরো অবাক ব্যাপার, কুরআন যারা অর্থ ছাড়া পড়েন তারা কিন্তু অন্য কোন বই অর্থ ছাড়া বা না বুঝে পড়েন না।

শয়তানের ধোঁকার কাছে কী বিস্ময়করভাবে তারা হেরে গেছেন, তাই না? তথ্য-৩ الَّذِيْنَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ يَتْلُونَهُ حَقَّ تِلاَوَتِهِ أُوْلَئِكَ يُؤْمِنُونَ بِهِط অর্থ: আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি (তাদের মধ্য থেকে) যারা তা ‘হক’ আদায় করে তেলাওয়াত করে, তারাই ঐ কিতাবকে বিশ্বাস করে। (বাকারা : ১২১) ব্যাখ্যা: এই গুরুত্বপূর্ণ আয়াতটি থেকে সঠিক শিক্ষা নিতে হলে বা এর সঠিক ব্যাখ্যা বুঝতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে, ‘তেলাওয়াতের হক’ কী কী? অত্যন্ত সাধারণ বুদ্ধিতে বুঝা যায়, কোন গ্রন্থ, বিশেষ করে আল্লাহর কিতাবের ন্যায় ব্যবহারিক (Applied) গ্রন্থ পড়ার প্রধান চারটি হক হচ্ছে- ক. শুদ্ধ করে পড়া, খ. অর্থ বুঝা অর্থাৎ তার জ্ঞান অর্জন করা, গ. সে জ্ঞান অনুযায়ী আমল বা কাজ করা, ঘ. সে জ্ঞান অন্যকে জানানো তথা দাওয়াত দেয়া। বাস্তবে দেখা যায়, কিতাবধারীদের অনেকেই ঐ হকসমূহ আদায় করে তাদের উপর নাযিল হওয়া কিতাব তেলাওয়াত করেন না। অর্থাৎ কেউ তেলাওয়াতের হক আদায় করে, আর কেউ কেউ তা না করে তাদের কিতাব তেলাওয়াত করেন। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখেই মহান আল্লাহ্‌ এ গুরুত্বপূর্ণ আয়াতটিতে বলেছেন, যারা তেলাওয়াতের হক আদায় করে তাদের উপর নাযিল হওয়া কিতাব তেলাওয়াত করে, তারাই ঐ কিতাবের প্রতি ঈমান এনেছে অর্থাৎ তারাই মু’মিন।

তাহলে যে সকল শর্ত অনুযায়ী কুরআনের কোন বক্তব্য আমান্য করলে গুনাহ হয় (১৭নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে), সেগুলোকে সামনে রাখলে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে তেল্‌ওয়াতের হক আদায় না করে, কিতাব তেলাওয়াত করে, তারা ঐ কিতাবের প্রতি ঈমান আনে নাই। অর্থাৎ তারা কুফরীর গুনাহে গুনাহগার। সুতরাং আল্লাহ এখানে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, কিতাবধারীদের মধ্যে যারা (ইচ্ছাকৃতভাবে) উপরে উল্লেখিত চারটি হকের একটিও আদায় না করে, কিতাব তেলাওয়াত করে বা করবে, তারা কুফরীর গুনাহে গুনাহগার হবে। এবার চলুন উল্লেখিত চারটি হকের পারস্পরিক গুরুত্বটা বিবেচনা করা যাক। সহজেই বুঝা যায় ঐ চারটি হকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণটি হচ্ছে অর্থ বুঝা বা জ্ঞান অর্জন করা।

কারণ ভুল করে পড়লে অর্থ পাল্টে যায় বলেই শুদ্ধ করে পড়তে হয়। আর অর্থ না বুঝলে কোন গ্রন্থ তেলাওয়াত করে সে অনুযায়ী আমল করা বা তার দাওয়াত দেয়া কখনই সম্ভব নয়। এখন চলুন দেখা যাক, আল্লাহর কিতাব আল-কুরআনধারী মুসলমানরা এই গুরুত্বপূর্ণ আয়াতটির বক্তব্যকে কীভাবে বা কতটুকু মানে বা অনুসরণ করে। আল্লাহ এখানে বলেছেন, যারা উল্লেখিত চারটি হকের একটিও ইচ্ছা করে আদায় না করে কুরআন তেলাওয়াত করে বা করবে, তারা কুরআনের প্রতি ঈমান আনেনি অর্থাৎ কুফরীর গুনাহে গুনাহগার। আর এ ব্যাপারে মুসলমানদের বিশ্বাস হচ্ছে- ক. ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআন ভুল পড়লে গুনাহ হয়।

এ বিষয়ে সবাই একমত। খ. ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআন অনুযায়ী আমল না করলে গুনাহ হয়। এ ব্যাপারেও কারো দ্বিমত নেই। গ. ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআনের জ্ঞান অন্যকে না পৌঁছালে গুনাহ হয়। এ ব্যাপারেও সকলে একমত।

ঘ. ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থ ছাড়া বা জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্য ছাড়া কুরআন পড়লে গুনাহ নয় বরং সওয়াব হয়। এ বিষয়টি বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমান বিশ্বাস করেন এবং সে অনুযায়ী আমলও করেন। সুধী পাঠক, চিন্তা করে দেখুন, কুরআন তেল্‌ওয়াতের সময় হক ইচ্ছাকৃতভাবে আদায় না করলে, গুনাহ্‌ হবে না সওয়াব হবে, এ বিষয়ে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ হকের ব্যাপারে আল্লাহর দেয়া রায়কে সকল মুসলমান মেনে নিয়েছেন কিন্তু সব চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হকটির ব্যাপারে, অধিকাংশ মুসলমান আল্লাহর রায়ের বিপরীতটা মেনে নিয়েছে এবং সে অনুযায়ী আমলও করছেন। কী অবাক কান্ড, তাই না? তথ্য-৪ وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلاً. অর্থ: কুরআন ‘রতল’ কর নিয়ম-কানুন মেনে, স্পষ্ট করে ধীরে ধীরে। (মুয্‌যাম্মিল:৪) ব্যাখ্যা: এ আয়াতটি বহুলপ্রচারিত।

যারা কুরআন-হাদীস কিছু জানেন তাদের কুরআন পড়ার পদ্ধতির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে প্রায় সবাই এ আয়াতটিই উল্লেখ করবেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এ আয়াতখানিরও رَتَلَ শব্দের অর্থ না বুঝে পড়া বলে বহুলভাবে প্রচারিত হয়েছে এবং তার উপর ব্যাপকভাবে আমলও হচ্ছে। পূর্বেই আমরা উল্লেখ করেছি رَتَلَ শব্দের আরবী আভিধানিক অর্থ হচ্ছে অর্থসহ বুঝে পড়া। তাই رَتَلَ শব্দের সঠিক অর্থ ধরে এই আয়াতের সঠিক ব্যাখ্যা হচ্ছে- কুরআন পড়তে হবে সঠিক (তাজবীদের নিয়ম অনুযায়ী) উচ্চারণ করে, অর্থ বুঝে যেখানে যে ভাব প্রকাশ করতে চাওয়া হয়েছে সেখানে সে ভাব প্রকাশ করে। কারণ পড়ার নিয়ম-কানুনের মধ্যে এ তিনটি বিষয়ই অন্তর্ভুক্ত।

তাহলে এ আয়াতের দৃষ্টিকোণ থেকেও ইচ্ছাকৃতভাবে অর্থ ছাড়া কুরআন পড়া হচ্ছে, ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর নির্দেশকে অমান্য করা অর্থাৎ বড় গুনাহের কাজ। তথ্য-৫ সূরা ছোয়াদের ২৯ নং আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেছেন- كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِّيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ. অর্থ: (হে মুহাম্মদ,) এই যে কিতাব (কুরআন) আমি তোমার উপর নাজিল করেছি, তা একটি বরকতময় কিতাব। মানুষেরা যেন এর আয়াতগুলো নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করে। ব্যাখ্যা: আল্লাহ্‌ এই আয়াতে মানুষকে আল-কুরআনের বক্তব্য নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করতে বলেছেন। কোনো বক্তব্য নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা আর তা না বুঝে পড়া, সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী কাজ।

তাই যারা অর্থছাড়া বা না বুঝে কুরআন পড়ছেন তারা এ আয়াতের বক্তব্যেরও বিপরীত কাজ করছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর নির্দেশের বিপরীতধর্মী কাজ করা গুনাহ না সওয়াব এটি বোঝা কি কঠিন? চলবে...................... সূত্রঃ http://WWW.RevivedIslam.Com ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।