আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ বাংলার কে নবাব আর কে বাদী ?

হঠাৎ একদিন ধানমন্ডি নবাববাড়ীর গেট আমার মুখের উপর বন্ধ হয়ে গেল। আমি দেখতে পেলাম রাজা- প্রজার সম্পর্ক। আমি দেখতে পেলাম ইট আর মাটির ঘর। আমি দেখতে পেলাম আইন কানুক। আমার বিশ্বাস ভেঙ্গে গেল।

আমি ভিষণভাবে অপমানিত হলাম। কষ্ট পেলাম। তারপর এক বন্ধুর কাছে এসে বললাম-'আমাকে তুমি একটি পিস্তল কিনে দাও। ' সে বলল, 'কেন কি করবে ? আমি বললাম, 'আমি একজনকে হত্যা করব। ' সে বলল, ' তাহলেত তোমার ফাসীঁ হবে।

'' আমি তখন মনের দু:খে বাসায় এলাম আর ভাবতে লাগলাম-কোথায় আমার মুক্তির পথ ! তখন একসময় আমার কিবোর্ড হাতে তুলে নিলাম আর লিখে গেলাম রাতের পর রাত আর দিনের পর দিন সব জীবন্ত ইতিহাস। ভাবতে শুরু করলাম আমি কে ? কি আমার পরিচয় ? কোথা থেকে এসেছি আর কোথায় চলেছি ? সেই যে লেখা শুরু আর তার শেষ নেই। তখনই শেষ হল যখন আমি বাংলার নবাব শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কথা বলেছি। আর তখনই তারা আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বুঝিয়ে দিয়েছে অপমান করার মুল্য কত। আর তখন থেকেই আমি খুজঁতে শুরু করলাম আসলে কারা সত্যিকারের নবাব এই বাংলায় ? প্রথমেই মনে পড়ছে- সাবেক রাষ্ট্রদুত মঞ্জুরুল আলম আমাকে বলেছিল-আমরা হলাম ভারতীয় উপমহাদেশের নবাবের বংশধর।

ভারতীয় নবাবদের অনেকগুলি করে বাদী থাকত। মি: ম. আলম হলেন বরিশালের লাটিমসার গ্রামের দলিল উদ্দীন লস্করের একমাত্র পুত্র। বাবা পাকিস্তান আমলের সরকারী নিরাপত্তা বিভাগের চাকুরীজীবি সম্ভবত:। চাকুরীর সুবাধে বাংলার সকল জায়গায়ই যেতে হত। একসময় ঢাকা এলেন।

পুরান ঢাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন তারপর খালাম্মা (মি: আলমের মা) লটারীর মাধ্যমে ধানমন্ডিতে সরকারী জমি পেলেন আরও তিনি একটি জমি মগবাজার কিনলেন স্বামীর টাকা জমিয়ে। খালাম্মারও অনেক সংগ্রামী ইতিহাস আছে। যা এহ ক্ষুদ্র পরিসরে সম্ভব নয়। সাবেক কেবিনেট সচিব মুজিবুল হক খালাম্মার বড় বোনের ছেলে। তাই ছাত্র জীবনে খালাম্মার কাছেই মানুষ বলা চলে।

আর মি: আলম বাবার একমাত্র সন্তান হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে তাকে প্রাইভেট গাড়ী কিনে দেন। যার ফলে বিলাসী জীবন যাপন করেছিলেন সম্ভবত: মুক্তি যুদ্ধকালীন সময়ে ঢাকা থেকেই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তারপর স্বাধীনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সংবাদ পাঠিকা রত্মা রহমাতুল্লাহকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেবার পর তাদের ভিতর মনোমানিল্য শুরু হয়। আর এক পর্যায়ে তাদের সেপারেশন হয়ে যায়।

পরে তার শিশু সন্তানটিকে মানুষ করার ভারতেশ্বরী হোমসের ১২-১৩ বছরের পিতৃহারা মেয়েটিকে নিয়ে আসে বাসায়। তারপর বড় হলে সামাজিকতার কারনে এক সময় তাকে বিয়ে করেন মি: আলম। এ হল হুসনা মঞ্জুর মি: আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী। মি: আলম সত্যিকার বাস্তবতাকে অনুধাবন করতে পারেনি। আল্লাহ কুরআনকে ভালবাসেনি তাইত জীবনটাকে কেবল হালকা করে দেখেছেন যার কারনে জীবনে সফলকাম হতে পারেনি।

তবে ১৯৭১ এর সময় ঢাকার অনেক ঘটনার সাক্ষী আর পরবর্তীকালে বিসিএস মুক্তিযোদ্ধার সভাপতি ছিলেন। বিয়ের পরে সাখাওযাতের (আমার স্বামী) কাছে জেনেছিলাম তারা হল নবাবের বংশধর। দাদা তখন ব্রিটিশ পিরিয়ড়ের ধনাট্য ব্যবসায়ী। তখনকার দিনের নবাবদের স্টাহলে জীবন যাপন করতেন বরিশাল ভোলায়। বাড়ীতে ধোপা, নামিত সব বাধা ছিল।

তারপর একসময় ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ায় ফিরে এল কাশিয়ানী। তার মৃতুর পর ছেলেরা নবাবের মত বসে খেতে খেতে সব শেষ। ছেলেমেয়ে মানুষ করতে পারেননি। নদী শুকিয়ে গেছে কিন্ত দাগ আজও আছে। আমি নড়াইলের জালালসী গ্রামে নিম্ন মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহন করেছিলাম।

আমার বাবা উক্ত এলাকার সবচেয়ে বেশি ধন সম্পদের মালিক ছিলেন। বাড়িতে বার মাসি চাকর চাকরানী রাখা থাকত সব সময়। আর ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য নলদী স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ লজিং মাস্টার বাড়ীতে রাখা হত। ছোটবেলা শুনেছি-ফরিদপুরের লোকেরা বাঙ্গাল ছিল এবং ছাতি মেরামত করত আর পান্থা ভাত মরিচ দিয়ে খেত। তার কারন তারা আমাদের এলাকায় এসে লেবারী করত।

আমার আব্বা প্রতি হাটের দিন ৫-৬ জন করে লেবার কিনে আনত জমি চাষ করার জন্য। আর তারা সকলেই ফরিদপুরের দরিদ্র কৃষক। আর সে সময়ে বাংলায় জমিদার প্রথা চালু ছিল তাই সেদিন সেই এলাকা অনুযায়ী মানুষের জীবন যাত্রা পরিচালিত হত। তখনকার দিনে আমাদের নলদী জমিদার বাড়ী ছিল। সেই গোপালগঞ্জ থেকেও মনে হয় খাজনা দিতে আমাদের গ্রামে আসত।

তখনকার দিনে কৃষক সমাজের লেখাপড়া করাও কঠিন ছিল। তারপরও আমার আব্বা ব্রাক্ষন সুরেস চন্দ্র মুর্খাজীর তত্বাবধনে কলকাতা, খুলনা, দৌলতপুরে পাট ব্যবসায়ী হিসেবে নাম করেছিলেন। আর এখন এসে শেখ মুজিবের ছবি খুঁজে পেযেছি তিনি ১৯৭৫ সনে একেবারে বাঘখচিত চেয়ারে বসে নবাবের মত রাজত্ব করেছিলেন আর সেদিন বাংলায় মানবতা লঙ্ঘিত হয়েছিল। গণতন্ত্রের মৃতু হয়েছিল, বাকশাল, রক্ষী বাহিনী সৃষ্টি হয়েছিল। সেনাবাহিনী নামিয়ে জনগনের ভিতর আতঙ্গ সৃষ্টি করা হয়েছিল।

তার বড় কারন ১৯৭৫ সনে বাংলার পরিস্থিতি এমন ছিল যে আমার বড় ভাইকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছিল আর আমরা তার কেচটাও করতে পারিনি। আমাদের সেদিন এলাকা থেকে পালাতে হয়েছিল প্রানের ভয়ে। তবে আমি জানিনা শেখ মুজিবের বাবা, দাদারা টুঙ্গীপাড়ায় কেমন স্টাইলে জীবন কাটিয়েছেন। জানতে ইচ্ছা করে। কারন তৎকালীন জমিদার প্রথা বিলুপ্ত করে জমিদার-কৃষক সমান নীতি চালুর মাধ্যমে মাওলানা ভাসানী তার আদর্শে আওয়ামীলীগ গড়ে তুলেছিলেন আর শেখ মুজিব কেন সেদিন আমলাতন্ত্র, স্বৈরাচারনীতি গ্রহন করেছিলেন ? সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্রকে কেন হত্যা করেছিলেন ? আর কেন আজ আমাদের কৃষক সমাজকে দিয়ে তারা আজও চাকর/লেবার বানিয়ে রেখেছে।

এই পেষন, শোষন নীতি থেকে আজ জাতি মুক্তি চায়। ঠিক এমন একটি দিনে আমি দেখলাম আমাদের ফেসবুক বন্ধূ শহিদুল আলম স্টোরী অব আওয়ামীলীগ গ্রুপে লিখেছেন-বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই বাংলায় কেহ সমালোচনা্, অপমান অথবা অসম্মানজনক কথাবার্তা বলতে পারবেননা করলে তার বিরুদ্ধে---এমনি কথাগুলি ছিল বোধ হয়। তারপর আমি বলেছিলাম কেন ? আমি করতে পারি কারন আমি ৪০ বছর পরে বাংলাদেশ সচিবালয় রুলস ভেঙ্গেছি। আর তখনই মি: মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাফিজ বঙ্গবন্ধু কল্যান পরিষদের পক্ষ হতে জরুরী মেসেস সকল হাই অথরিটির কাছে চলে গেল আর সাথে সাথে আমাকে সাসপেন্ড করা হল। যা ছিল অফিসিয়ালা।

আমিও আমার জবাব তাদের জানিয়েছিলাম সময়মত। কিন্ত আজও তারা আমাকে তাদের শেষ সিদ্ধান্ত জানাননি। প্রতিটি মানুষের একটা আত্মসম্মানবোধ থাকে। যা আমারও আছে। তাহত আমি খুজঁতে চেষ্টা করি কে নবাব আর কে বাদী আমি কৃষান কন্যা ।

আমার হাতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার কলম। যাদের কলমে দেশ ও জাতির কল্যান-অকল্যান নিহিত থাকে। যে কলম মানুষের জীবন বাচাঁয় আবার মানুষের মৃতুদন্ডের আদেশ জারী করে। যে কলম দ্বারা দেশের উন্নয়ন হয় আবার অনুন্নয়নও হয়। ঠিক এমন একটি কলম আমার হাতে যা নিয়ে আমি বাংলাদেশ সচিবালয় হতে বেরিয়ে এসেছিলাম সেদিন।

যে কলম সত্য, ন্যয়, মানবতার কথা বলে। আজ আমি কেন নবাব আর বাদী নিয়ে তুলনা করছি তা আপনাদের নিশ্চয় জানা। কারন আমি প্রথমে আমার পরিবার, তারপর সমাজ ও পরে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লেখা শুরু করেছিলাম। আমি প্রমান করতে চেয়েছিলাম আর দৃঢ় কন্ঠে বলেছিলাম তাদের সেদিন-তোমাদের ওয়াল ইটের তৈরী আর আমাদের ওয়াল মাটির। তাই আমি আমার মাটির ওয়ালকে শক্ত করে গড়ে তুলেছি যা আজ ভেদ করে যাওযা কিছুতেই সম্ভব নয়।

(সমাপ্ত) -কৃষান কন্যা রাহিলা, ২১ নভেম্বর, ২০১১ খ্রি:, রাত : ৫-৪৮ মি:। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.