আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিখ্যাতদের অকালমৃত্যু

বালক ভুল করে পড়েছে ভুল বই , পড়েনি ব্যাকরণ পড়েনি মূল বই অ্যানা ফ্র্যাংক অ্যানা ফ্রাঙ্ক হলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভিষীকাময় অধ্যায়ের অনেক বড় একজন সাক্ষী। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অনিশ্চিত দিনগুলোর কথা ডায়েরীতে লিখেছিলেন নিয়মিতভাবে। তার মৃত্যুর পর ডায়েরীটি প্রকাশিত হয়। সবাই জানতে পারে অ্যানা ফ্রাংকের নাম ,শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে এই নিষ্পাপ বালিকাটির কথা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে আমস্টারডমে পিতার অফিসে ২ বছর লুকিয়ে থাকাকালে নাজী সৈন্যদের দ্বারা আটক হন অ্যানা ও তার বড় বোন।

এরপর তাদেরকে বার্গেন বেলজান কন্সাট্রেশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে ১৭ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। যুদ্ধ শেষে তাঁর পরিবারের একমাত্র বেঁচে থাকা ব্যক্তি বাবা অটো ফ্র্যাংক আমস্টারডামে ফিরে আসেন, এবং অ্যানার দিনলিপিটি (ডায়েরি) খুঁজে বের করেন। তাঁর প্রচেষ্টাতেই দিনলিপিটি ১৯৪৭ সালে প্রকাশিত হয়। এটি মূল ওলন্দাজ ভাষা থেকে পরবর্তীকালে ১৯৫২ সালে প্রথম বারের মতো ইংরেজিতে অনূদিত হয়।

এর ইংরেজি নাম হয় দ্য ডায়েরি অফ আ ইয়াং গার্ল। এটি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ডায়েরিটি অ্যানার ১৩তম জন্মদিনে উপহারস্বরূপ দেওয়া হয়েছিলো। যেখানে অ্যানার জীবনের ১২ জুন ১৯৪২ থেকে ১ আগস্ট ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত সময়ের ঘটনাগুলো ফুটে উঠেছে। মার্টিন লুথার কিং মার্টিন লুথার কিং হলেন আমেরিকার নিগ্রোদের মুক্তির আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা পুরুষ।

তিনি মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি অনুসরন করে আমেরিকান নিগ্রোদের পূর্ণ নাগরিক রূপে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর বিখ্যাত ভাষণ হলো "আই হ্যাভ এ ড্রিম"। যা পৃথিবীর বিখ্যাত ভাষনগুলোর মধ্যে একটি। ১৯৬৮ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান এই মহান নেতা। বব মার্লি বব মার্লির নাম কমবেশি আমরা সবাই জানি।

সারাজীবন তিনি গেয়েছেন জনমানুষের গান। তৃতীয় বিশ্বের কোনো দেশ থেকে উঠে আসা রক শিল্পীর মধ্যে যার নামটি সবার আগে উচ্চারিত হয় তিনি হলেন প্রয়াত নেস্তা রবার্ট মার্লে বা বব মার্লে। তিনি ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার এবং সঙ্গীতপরিচালক। ষাটের দশকে জ্যামাইকায় জন্ম নেয় র্যেগে মিউজিকের ধারা। সেই ধারাকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তোলার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন মার্লে।

বব মার্লের গান লেখার ক্ষমতা ছিলো অসাধারণ। গানও যে প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে তা বিশ্ববাসীর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিদ্রোহ আর প্রতিবাদের পাশাপাশি বিশ্বাস এবং কোনো কিছু অর্জনে দৃঢ়সংকল্পের জয়গানও গেয়েছেন। গেয়েছেন ‘নো ওম্যান নো ক্রাই’-এর মতো গানও। তাই আমি বলছি, তোমার চোখের অশ্রু শুকিয়ে ফেলো না নারী, তুমি কেঁদোনা সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে তার গাওয়া "গেট আপ স্ট্যান্ড আপ", "বাফেলো সোলজার","ওয়ান লাভ","নো উওম্যান নো ক্রাই", দখল করে নিয়েছে সকলের মন।

তিনি বিখ্যাত রাস্তাফেরী আন্দোলনের অন্যতম কর্ণধার। রেগী সঙ্গীতের এই বরপূত্র মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ম্যালানোমায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মেরিলিন মনরো আসল নাম নরমা জেইন বেকার কিন্তু মেরিলিন মনরো নামেই পরিচিত। জন্ম: জুন ১, ১৯২৬ মৃত্যু: আগষ্ট ৫ ১৯৬২ । ফষ্টার শিশু হোমে বেড়ে উঠা এই বিশ্ব বিখ্যাত আমেরিকান চলচিত্র অভিনেত্রী, গায়িকা, মডেল ও শো-গার্ল মেরিলিন মনরো।

কিংবদন্তির হাসি, হেয়ার স্টাইল আর ঠোটে মায়াবী যাদুর ছোঁয়া আজো পুরুষের "স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা" এই অনিন্দ সুন্দরী মেরিলিন মনরো। ১৯৪৫ সালে এরোপ্লেন পার্টস কোম্পানিতে শ্রমিক হিসাবে কর্মজীবন শুরু, এরপর ঐ কোম্পানিতেই মডেলিং অতপর শো-গার্ল, গায়িকা এবং অভিনেত্রী এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয় নি। তার অভিনিত প্রথম চলচিত্র ১৯৫০ সালে মুক্তি পাওয়া The Asphalt Jungle এরপর All About Eve প্রচন্ড জনপ্রিয়তা পায়। এরপর একে একে Gentlemen Prefer Blondes(১৯৫৩), How to Marry a Millionaire(১৯৫৩), The Seven Year Itch(১৯৫৫), The Prince and the Showgirl(১৯৫৭), Some Like It Hot(১৯৫৯)............. তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়। ১৯৬২, আগষ্ট ৫ এ মরিলিন মনরোকে লস এঞ্জেলসে তার বিলাবহুল ব্রান্টউড বাড়ীতে একাকি মৃত অবস্হায় পাওয়া যায়, মৃত্যুর কারন আত্মহত্যা।

মাত্র ৩৬ বছর বয়সে এই কিংবদন্তির অকাল মৃত্যু আজো সবাই কে কাঁদায়। মোজার্ট পৃথিবীর অন্যতম সেরা সঙ্গীতজ্ঞ মোজার্ট জীবনে ৬০০ টির উপর কম্পোজীশন রচনা করেছেন যেগুলো এখনো মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে এই ক্ষণজন্মা সঙ্গীত প্রতিভা রিউমেটিক ফিভারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। I pay no attention whatever to anybody's praise or blame. I simply follow my own feelings. যীশুখৃষ্ট খৃষ্ট ধর্মালম্বীদের কাছে তিঁনি তাদের ধর্মগুরু, ঈশ্বরের প্রেরীত মসীহ এবং ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে তিনি হযরত ঈসা (আঃ), আল্লাহর প্রেরীত নবী এবং ইঞ্জীল কিতাবধারী পবিত্র পুরুষ যিনি দুনিয়াতে এসেছিলেন পথভ্রষ্ট মানুষদের সঠিক পথে নিয়ে যেতে। জুডাস নামক এক অনুসারীর ধোঁকার কারণে যীশুখৃষ্ট অত্যাচারী শাষকের কাছে আটক হন।

রোমান সৈন্যদের নির্মম অত্যাচারের পর তাঁকে ক্রুশ নামক মারণ যন্ত্রের সাথে পেরেক পুঁতে হত্যা করা হয় মাত্র ৩৩ বছর বয়সে। শ্রীনিবাস রামানুজন রামানুজনকে গণিতবিদ না বলে গণিতের রাজপুত্র বলাই উত্তম। আধুনিক বীজগণিতের অন্যতম কর্ণধার শ্রীনিবাস রামানুজন। সারাজীবন পড়ালেখায় তেমন সুবিধা করতে পারেননি, কিন্তু গণিতের প্রতি অদম্য আগ্রহ তাঁকে আসীন করে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ গণিতবিদদের আসনে। খুব ধার্মিক ছিলেন তিনি।

যখন তিনি অধ্যাপক হার্ডির সাথে গবেষণার জন্য ক্যাম্ব্রীজে গমন করেন তখন ধর্ম রক্ষার জন্য তিনি অতিরিক্ত শীতের মধ্যে পশমী ও চামড়ার পোষাক বর্জন করেন। ফলে ধীরে ধীরে তিনি যক্ষায় আক্রান্ত হন এবং দেশে ফিরে আসেন। ১৯২০ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে গণিতের এই বরপুত্রের মৃত্যু ঘটে। জন কিটস ১৭৯৫ সালের ৩১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন সর্বশেষ ইংরেজ রোমান্টিক কবি জন কিটস। লর্ড বায়রন এবং পার্সিবিশি শেলির সঙ্গে তিনিই ছিলেন রোমান্টিক ধারার দ্বিতীয় প্রজন্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।

জীবিতকালে সমালোচকদের কাছে তার কবিতা ভালোভাবে গৃহীত না হলেও পরবর্তী সময়ের আলফ্রেড টেনিসন এবং উইলফ্রেড ওয়েনের মতো কবির ওপর তার ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। ইন্দ্রিয়-কল্পনার সুনিপুন বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার কবিতায়। বর্তমানে ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় হলো তার কবিতা ও চিঠিগুলো। ১৭৯৫ সালে কিটসের জন্ম হয় থমাস এবং ফ্রান্সিস জেনিংস কিটসের ঘরে। শৈশবে তিনি স্থানীয় ডেম স্কুলে পড়াশোনা করেন।

ব্যয়বহুল ইটন কিংবা হ্যারো স্কুলে পড়তে না পারলেও ইনফিল্ডের জনক্লার্ক স্কুলে আবাসিক ছাত্র হিসেবে ভর্তি হয়েছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর কিটসের মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। তবে সহসাই তার মা নতুন স্বামীকে ত্যাগ করে কিটস ও অন্যান্য সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। মায়ের মৃত্যুর পর কিটস নানির অভিভাবকত্বে চলে আসেন। ১৮১৫ সালে কিটস মেডিক্যাল ছাত্র হিসেবে গাইস হাসপাতালে নিবন্ধিত হয়েছিলেন।

কিন্তু লি হান্ট এবং বায়রনে ঝুঁকেছিলেন প্রবল অর্থসংকট সত্ত্বেও। বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়েছিলেন কিটস। মাত্র ২৫ বছর বয়সে অকালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন ১৮২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি। শেলী শেলী পৃথিবীর অন্যতম সেরা রোম্যান্টিক কবি। তাঁর কবিতা বারবার মানুষের মন ছুঁয়ে যায়।

মাত্র ৩০ বছর বয়সে পানিতে ডুবে শেলীর মৃত্যু ঘটে। তাঁর মৃত্যু রহস্য এখনো অজানা। অনেকে বলে হতাশার কারণে তিনি আত্নহত্যা করেন। আবার অনেকে বলেন লর্ড বায়রনের সাথে শত্রুতার কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়। Sweet the rose which lives in Heaven, Although on earth ’tis planted, Where its honours blow, While by earth’s slaves the leaves are riven Which die the while they glow. আর্নেস্তো চে গুয়েভারা বিশ্বের অত্যাচার নিপীড়িত মানুষের জন্য চেতনার নাম চে।

চে পারতেন নামজাদা এক ডাক্তার হতে। কিন্তু নিপীড়িত মানুষের জন্য তিনি গৃহত্যাগী হন। অত্যাচারী শাষক বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেমে পড়েন। ১৯৬৭ সালে কিউবার শোষক বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন এবং তাঁকে হত্যা করা হয়। এলভিস প্রেসলি এলভিস প্রেসলি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়কদের মধ্যে একজন ।

তিনি একজন কালচারাল আইকন । তিনি তার ডাকনাম এলভিস নামেও বহুল পরিচিত । তিনি রক এন্ড রোল সংগীতের জনক , এলভিস প্রেসলির জন্ম ৮ জানুয়ারী , ১৯৩৫ সালে , আমেরিকার মিসিসিপ্পির টুপেলো নামক স্থানে । তিনি তার পরিবারের সাথে টুপেলো ছেড়ে মেমফিস , তেনেসি-তে (memphis ,tennessee) এসে পড়েন । তখন তার বয়স ছিল ১৩ ।

সেখানে তিনি ১৯৫৪ সালে স্যাম ফিলিপস(Sam Philipps)নামক এক ব্যাক্তির "Sun Recordings" নামে একটি গান গাওয়ার ইনিষ্টিটিউট এ গান গাওয়ার মাধ্যমে তার সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন । তিনি সংগীতশ্রোতাদের কাছে আফ্রো-আমেরিকান মিউজিকের একটি রূপ ফুটিয়ে তুলতে সফল হন । প্রেসলি রক এন্ড রোল সংগীতের জনক ছিলেন । তার গাওয়া প্রথম একক গান ছিলো "Heartbreak Hotel" । যেটি ১৯৫৬ সালের জানুয়ারীতে মুক্তি পায় ।

এই গানটির মধ্যেই প্রথম রক এন্ড রোলের ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায় । মুক্তির পরপরই গানটি আমেরিকার নাম্বার ওয়ান হিট গানে পরিণত হয় । এরপরে তিনি টেলিভিশনে গান গেতে শুরু করেন এবং অল্পকিছুদিনের মধ্যেই তার গান সেরা গানের তালিকার প্রথম স্থান দখল করে নেয় এবং তিনি সমকালীন গায়কদের মধ্যে সেরা বিবেচিত হন । কন্ঠশিল্পীর পাশাপাশি তিনি একজন চলচিত্র অভিনেতাও ছিলেন । তার প্রথম চলচিত্রের নাম "লাভ মি টেন্ডার" (Love me Tender)।

ছবিটি ১৯৫৬ সালের নভেম্বরে মুক্তি পায় । তার ব্যান্ডদলের নাম ছিল - দ্যা ব্লু মুন বয়েজ (The Blue Moon Boys)। সে ব্যান্ডদলের সদস্যসংখ্যা ছিল ৩ জন । তারা হলেন - এলভিস প্রেসলি , স্কটি মুরে , বিল ব্ল্যাক । ১৯৫৮ সালে তিনি বাধ্যতামুলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন ।

২ বছর পর তিনি সেনাবাহিনী ছেড়ে আবার তার সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন কিছু তুমুল জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে । তিনি সেসময় কিছু স্টেজে তার কিছু গান গান । এবং তার সে সময়কার গাওয়া গানগুলো বানিজ্যিকভাবে প্রচুর সফলতা পায় । ১৯৬০ এর দশকে তিনি বেশকিছু হলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন । এবং গানের এলব্যাম করে তার ভক্তদের মাতিয়ে রাখেন ।

১৯৬৮ সালে তিনি সাত বছর পর আবার স্টেজে গান গেতে শুরু করেন । তার এসময়ের করা ট্যুরগুলোও বানিজ্যিকভাবে সফল হয় এবং সাথে সাথে প্রচুর জনপ্রিয়তাও পায় । ১৯৭৩ সালে এলভিস প্রেসলির স্টেজে করা একটি গান প্রথমবারেরমত স্যাটেলাইট থেকে দেখা হয় । প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মানুষ গানটি স্টেজের মাধ্যমে দেখে । তিনি জীবনের শেষদিকে এসে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানা যায় ।

অনেকেই মাদকাদ্রব্যকেই তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে অভিহিত করেন । তিনি ১৯৭৭ সালের ১৬ই আগস্ট হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বিবেকানন্দ ১৮৬৩ সালে কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত কায়স্থ পরিবারে স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম। তাঁর চিন্তা-চেতনার অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিলেন তাঁর যুক্তিবাদী পিতা ও ধর্মপ্রাণা জননী। ছেলেবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে আধ্যাত্মপিপাসা ও গভীর ঈশ্বরানুরাগ লক্ষিত হত।

ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করেছেন এমন এক ব্যক্তির সন্ধানে বেরিয়ে তিনি রামকৃষ্ণ পরমহংসের সান্নিধ্যে আসেন এবং পরে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। গুরু শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁকে অদ্বৈত বেদান্তের শিক্ষা দেন। তাঁর কাছ থেকেই বিবেকানন্দ শেখেন যে সব ধর্মই সত্য এবং মানুষের সেবাই সর্বোৎকৃষ্ট ঈশ্বরোপাসনা। গুরুর মৃত্যুর পর সন্ন্যাস অবলম্বন করে তিনি সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ পদব্রজে পর্যটন করেন। পরবর্তীকালে শিকাগো যাত্রা করে ১৮৯৩ সালের বিশ্বধর্ম মহাসভায় হিন্দুধর্মের প্রতিনিধিত্ব করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ফোরাম, বিশ্ববিদ্যালয় ও সংঘ তাঁর বাগ্মীতায় মুগ্ধ হয়ে বক্তৃতাদানের আমন্ত্রণ জানান। একাধিক সাধারণ ও ব্যক্তিগত সভায় ভাষণ দিয়ে তিনি আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও আরও কয়েকটি দেশে বেদান্ত, যোগশাস্ত্র ও হিন্দুধর্মকে সুপরিচিত করে তোলেন। আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে তিনি স্থাপন করেন বেদান্ত সোসাইটি। ভারতে প্রত্যাবর্তন করে ১৮৯৩ সালে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন নামে একটি মানবকল্যাণমূলক আধ্যাত্মিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। স্বামী বিবেকানন্দ ভারতে অন্যতম জাতি-স্রষ্টারূপে পরিগণিত হন।

তাঁর শিক্ষা মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু, সুভাষচন্দ্র বসু, অরবিন্দ ঘোষ, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন প্রমুখ একাধিক জাতীয় নেতা ও দার্শনিককে প্রভাবিত করেছিল বিবেকানন্দ ধ্যান করার সময় ১৯০২ সালের ৪ঠা জুলাই রাত ৯টা ১০ মিনিটে দেহ ত্যাগ করেন মহামতি আলেকজান্ডার মহামতি আলেকজান্ডার পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম সফল সামরিক প্রধান। তিনি তৃতীয় আলেকজান্ডার বা মেসিডনের রাজা হিসেবেও পরিচিত। তিনি ছিলেন মেসিডোনিয়ার শাসনকর্তা। মেসিডোনিয়া বর্তমান গ্রীসের অন্তর্গত একটি অঞ্চল। তার পিতা ফিলিপ ছিলেন মেসিডোনিয়ার রাজা।

তার মৃত্যুর পূর্বে তিনি পরিচিত পৃথিবীর বেশির ভাগ জয় (টলেমির মানচিত্র অনুযায়ী) করেছিলেন। আলেকজান্ডার তার সামরিক কৌশল ও পদ্ধতির জন্য বিশ্ব বিখ্যাত। তিনি পারস্যে অভিশপ্ত আলেকজান্ডার নামেও পরিচিত, কারণ তিনি পারস্য সাম্রাজ্য জয় করেন এবং এর রাজধানী পারসেপলিস ধ্বংস করেন। তিনি ফারসি ভাষায় "ইস্কান্দর, মধ্য পশ্চিমা স্থানে যুল-কারনাইন, আরবে আল-ইস্কান্দার আল কাবের", উর্দুতে সিকান্দার-এ-আজম, পস্তুতে স্কান্দর, হিব্রুতে "আলেকজান্ডার মোকদন, আরমেনিয়ানয়ে ট্রে-কারনাইয়া"। তার এজাতীয় কিছু নামের অর্থ "দুই শিং বিশিষ্ট" (যুল-কারনাইন, ট্রে-কারনাইয়া), আবার উর্দু ও হিন্দিতে সিকান্দার যার অর্থ পারদর্শি" বা অত্যন্ত পারদর্শি।

ব্রুস লি ব্রুস ইয়ুন ফান লী (নভেম্বর ২৭, ১৯৪০ - জুলাই ২০, ১৯৭৩) একজন চীনা মার্শাল আর্ট শিল্পী,শিক্ষক,অভিনেতা এবং জিত কুন দো নামক নতুন ধরনের মার্শাল আর্ট ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠাতা। তার জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিস্কোতে। তাকে সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী এবং বিখ্যাত মার্শাল আর্ট শিল্পীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। তার মৃত্যু হয় হংকং এ এবং এই মৃত্যু নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের সূত্রপাত হয়। সুকান্ত ভট্টাচার্য সুকান্ত ভট্টাচার্য (১৫ই আগস্ট, ১৯২৬ - ১৩ই মে, ১৯৪৭) বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী এবং প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী তরুণ কবি।

পিতা-নিবারন ভট্টাচার্য, মা-সুনীতি দেবী। ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট মাতামহের ৪৩, মহিম হালদার স্ট্রীটের বাড়ীতে তার জন্ম। । তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল ফরিদপুর জেলার(বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার উনশিয়া গ্রামে)। ১৯৪৫ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন।

এ সময় ছাত্র আন্দোলন ও বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ায় তাঁর আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সমাপ্তি ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, তেতাল্লিশের মম্বন্তর, ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রভৃতির বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেন। ১৯৪৪ সালে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। সেই বছর আকাল নামক একটি সংকলনগ্রন্থ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। সুকান্ত কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা দৈনিক স্বাধীনতার (১৯৪৫) ‘কিশোর সভা’ বিভাগ সম্পাদনা করতেন।

মার্কসবাদী চেতনায় আস্থাশীল কবি হিসেবে সুকান্ত কবিতা লিখে বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র স্থান করে নেন। তাঁর রচনাবলির মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো: ছাড়পত্র (১৯৪৭), পূর্বাভাস (১৯৫০), মিঠেকড়া (১৯৫১), অভিযান (১৯৫৩), ঘুম নেই (১৯৫৪), হরতাল (১৯৬২), গীতিগুচ্ছ (১৯৬৫) প্রভৃতি। পরবর্তীকালে উভয় বাংলা থেকে সুকান্ত সমগ্র নামে তাঁর রচনাবলি প্রকাশিত হয়। সুকান্ত ফ্যাসিবাদবিরোধী লেখক ও শিল্পিসঙ্ঘের পক্ষে আকাল (১৯৪৪) নামে একটি কাব্যগ্রন্থ সম্পাদনা করেন। সুকান্তের সাহিত্য-সাধনার মূল ক্ষেত্র ছিল কবিতা।

সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রাম, যন্ত্রণা ও বিক্ষোভ তাঁর কবিতার প্রধান বিষয়বস্তু। তাঁর রচনাকর্মে গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাণীসহ শোষণহীন এক নতুন সমাজ গড়ার অঙ্গীকার উচ্চারিত হয়েছে। রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কবিতার বৈপ্লবিক ভাবধারাটি যাঁদের সৃষ্টিশীল রচনায় সমৃদ্ধ হয়েছে, সুকান্ত তাঁদের অন্যতম। তাঁর কবিতার ছন্দ, ভাষা, রচনাশৈলী এত স্বচ্ছন্দ, বলিষ্ঠ ও নিখুঁত যে, তাঁর বয়সের বিবেচনায় এরূপ রচনা বিস্ময়কর ও অসাধারণ বলে মনে হয়। পার্টি ও সংগঠনের কাজে অত্যধিক পরিশ্রমের ফলে দুরারোগ্য ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ১৯৪৭ সালের ১৩ মে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

 ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।