আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অনন্য প্রতিভার অকাল সমাপ্তি...

আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ... মাত্র ২২ বছর বয়সে চলে গেলেন সামাজিক নেটওয়ার্কিং-এর অগ্রদূত ইলিয়া জিতোমিরস্কি[/sb ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ যাদের সম্পর্কে বলেছিলেন, "ওদের মাঝে নিজেকে যেনো একটু হলেও দেখতে পাচ্ছি। " সেই 'ডায়াস্পোরা' সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সামাজিক নেটওয়ার্কিং-এর অগ্রদূত হিসাবে পরিচিত ইলিয়া জিতোমিরস্কি মাত্র ২২-বছর বয়েসে আত্মহত্যা করেছেন। ২২ বছর বয়সী সামাজিক নেটওয়ার্কের অগ্রদূত এবং ইন্টারনেটের গোপনীয়তা রক্ষার অধিবক্তা যে কিনা গুগল এবং ফেসবুকের মত প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল তিনি অকালে প্রয়াত হলেন। সান ফ্রান্সিসকো পুলিশের মুখপাত্র অফিসার অ্যালবি এস্পার্জা জানিয়েছেন তারা গত শনিবার (১২ই নভেম্বর,২০১১) একটি আত্মহত্যার খবর পেয়ে তারা ছুটে আসেন। পরে জিতোমিরস্কির মৃত্যু ঘটে।

জিতোমিরস্কি 'ডায়াস্পোরা'র অন্যতম এক সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ব্যবহারকারী তার তথ্য অনলাইনে আরো ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে এই উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয় নতুন এই সামাজিক নেটওয়ার্ক পরিসেবা। জানা যায় শুধুমাত্র এই সুবিধার জন্য ফেসবুক, গুগল এবং টুইটার এর মত বড় বড় সাইট ব্যবহারকারীরা ডায়াস্পোরাতে যোগ দিতে শুরু করে। পুলিশ এই মুহূর্তে তার মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে রাজি নয়। জিতোমিরস্কি এবং তার তিন বন্ধু, ড্যানিয়েল গ্রিপি, ম্যাক্সওয়েল স্যালজবার্গ এবং রাফায়েল সোফায়ের গত বছর 'ডায়াস্পোরা'র ট্রায়াল সংস্করণ বের করলে প্রযুক্তি জগতে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় তারা সকলেই নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের কুর‍্যান্ট ইন্সটিটিউট অব ম্যাথম্যাটিক্যাল সায়েন্সের ছাত্র ছিলেন। জিতোমিরস্কি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে নিজেকে বর্ণনা করেছেন এভাবে, "মুক্ত সংস্কৃতি এবং ওপেন ওয়েব উত্সাহী। এখন 'ডায়াস্পোরা'র চারজনের(ম্যাক্সওয়েল স্যালজবার্গ, ড্যানিয়েল গ্রিপি, রাফায়েল সোফায়ের এবং ইলিয়া জিতোমিরস্কি) একজন। " তাদের ফেসবুকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবার ইচ্ছা জানলেও কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ গত বছর এই দলটির ভূয়সী প্রশংসা করেন: "মানুষ যে এ কাজটি করতে চায় তা জেনে ব্যাপারটা আমার কাছে কুল বলে মনে হয়েছে। " "ওদের মাঝে নিজেকে যেনো একটু হলেও দেখতে পাচ্ছি।

বিশ্বকে উন্নত করবার জন্য এটা তাদের একটা মনোভাব, "আমরা এভাবে চেষ্টা করতে পারি"। " এই চার বন্ধু তাদের সফটওয়্যার প্রোগ্রামটির কথা ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে ঘোষণা করেন এবং অনলাইন ফান্ডরাইজার সিস্টেম কিকস্টার্টারের মাধ্যমে তাদের এই প্রকল্পের জন্য $২০০,০০০ মার্কিন ডলার যোগার করে। এমনকি মার্ক জুকারবার্গ এই প্রকল্পে উৎসাহী হয়ে অর্থ অনুদান করেন। প্রকল্পটি ডেভেলপমেন্ট অবস্থায় থাকা অবস্থাতেই নভেম্বর ২০১০শে আলফা সংস্করণটি ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত করা হয়। ডায়াস্পোরা তার ব্যবহারকারীকে নিজস্ব সার্ভার সেটআপ করবার সুবিধা দেয় যেখানে তারা তাদের কনটেন্টগুলো সংরক্ষণ করতে পারবে এবং শেয়ার করতে পারবে- ফেসবুক বা গুগল+ এর মত।

কিন্তু ডায়াস্পোরার সাথে গুগল এবং ফেসবুকের পার্থক্য হচ্ছে এই দুই সামাজিক নেটওয়ার্কদ্বয় আপনার আপলোড-কৃত তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে তাদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক সার্ভারে। জিতোমিরস্কি ছিলেন একজন হার্ডকোর কম্পিউটার প্রোগ্রামার যিনি ইন্টারনেট নিরাপত্তা এবং অনলাইনে গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে অবসেসড হয়ে পড়েছিলেন। তিনি গত বছর নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনে এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, "আমরা জনসাধারণকে অস্বাস্থ্যকর ওয়েবসাইট থেকে স্বাস্থ্যকর ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে চাই, কারণ এই সকল ওয়েবসাইটগুলোর কার্যক্রম অনেক স্বচ্ছ। একজন অ-প্রযুক্তিগত ব্যক্তির কাছে ব্যাপারটা বোধগম্য নাও হতে পারে, কিন্তু তারা জানবে যে এরকম একটা কমিউনিটি রয়েছে যারা ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করছে। " মূল-http://tech.priyo.com/news/life/2011/11/15/816.html ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।