আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফিরলেন সোফিয়া লরেন!

এ যেন রূপকথার প্রত্যাবর্তন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আবারও বড়পর্দায় ফিরলেন সোফিয়া লোরেন।
ছেলে এডওয়ার্ড পন্টি পরিচালিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন একসময়ের পর্দা কাঁপানো হলিউডের অভিনেত্রী সোফিয়া লরেন। একক নাটক ‘দ্য হিউম্যান ভয়েস’ অবলম্বনে নির্মিতব্য ছবিটির মাধ্যমে চার বছর পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন অস্কারজয়ী এ ইতালীয় অভিনেত্রী। সোফিয়া সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন ২০০৯ সালে, ‘নাইন’ ছবিতে।

সম্প্রতি এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’।
ফরাসি ভাষায় রচিত ‘দ্য হিউম্যান ভয়েস’ নাটকটি ইতালীয় ভাষায় অনুবাদ করার পর ছবিটির চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ইতালির নেপলস শহরে এর শুটিং শুরু হয়েছে। এই শহরেই বেড়ে উঠেছিলেন সোফিয়া। ছবির শুটিং চলাকালে তাঁকে একনজর দেখার জন্য শহরের রাস্তায় রীতিমতো ভিড় জমে গিয়েছিল।

আরও এক মাস চলবে ছবির শুটিং। নেপলসের পর এ ছবির দৃশ্যধারণের কাজ হবে রোমে।
প্রখ্যাত ইতালীয় চিত্রনির্মাতা ভেট্টোরিও ডি সিকা পরিচালিত ‘টু উইমেন’ ছবিতে সু-অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬২ সালে অস্কার পেয়েছিলেন সোফিয়া লরেন। বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী হিসেবে তিনিই প্রথম সেই অস্কার পেয়েছিলেন।

১৯৩৪ সালে ইতালিতে জন্মগ্রহণ করেন সোফিয়া লরেন।

মাত্র ১৪ বছর বয়সে মডেল হিসেবে বিনোদনজগতে যাত্রা শুরু হয় তাঁর। চলচ্চিত্র প্রযোজক কার্লো পন্টির সঙ্গে পরিচয়ের পর অভিনয়ের জগতে পা রাখেন সোফিয়া। তিনি ১৫ বছর বয়সে ৩৭ বছর বয়সী পন্টিকে বিয়ে করেন। ১৯৫০ সালে মুক্তি পায় সোফিয়া অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আই অ্যাম ক্যাপাটাজ’। পরবর্তী সময়ে ‘সানফ্লাওয়ার’, ‘হাউসবোট’, ‘ইয়েস্টারডে, টুডে অ্যান্ড টুমরো’, ‘ম্যারেজ ইতালিয়ান স্টাইল’, ‘এল সিআইডি’, ‘দ্য ফল অব দ্য রোমান এম্পায়ার’, ‘ম্যান অব লা মাঞ্চা’, ‘দ্য কাসান্ড্রা ক্রসিং’, ‘এ স্পেশাল ডে’সহ অসংখ্য ছবি উপহার দিয়েছেন গুণী এ অভিনেত্রী।


১৯৮০ সালে সোফিয়া লরেনের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল ‘সোফিয়া লরেন: হার ওন স্টোরি’। ২০০৭ সালে স্বামী কার্লো পন্টিকে হারান ইতালীয় বংশোদ্ভূত হলিউডের এ অভিনেত্রী। তাঁর দুই ছেলে কার্লো পন্টি জুনিয়র ও এডওয়ার্ড পন্টি।

মা-বাবার পথ অনুসরণ করে এডওয়ার্ড পন্টিও চলচ্চিত্রজগতের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন। ছবি প্রযোজনা ও পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর।

‘অরোরা’, ‘বিটুইন স্ট্রেঞ্জারস’সহ আরও কয়েকটি ছবি পরিচালনা করেছেন তিনি। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।