আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজশাহী ভার্সিটি আর সাপ

এবারের ঈদ টা আমার মোটেও ভাল কাটে নাই। কি কি করলাম বলি আপনাদের। বৃহস্পতিবার রাত ১১:৩০ টায় গ্রিন লাইন বাস ছাড়লো রাজশাহীর উদ্দেশ্যৈ। রাস্তায় এত গাড়ী যে কি বলবো। যখন ভোর ৬ টা বাজে তখনও আমরা যমুনা ব্রিজ পার হই নাই।

ব্রিজ এর রাস্তায় আমাদের ২ ঘন্টা লাগলো। যাহোক তারপর দুপুর ১১:৩০ টায় বাসায় পৌছালাম। মোট ১২ ঘন্টার জার্নি। যা হোক বাসায় ব্যাগ রেখেই মোড়ে গেলাম আড্ডা দিতে। গিয়ে দেখি ৩/৪জন বন্ধূ মোড়ে বসে আছে ওদের সাথে বসে থেকে বাসায় চলে আসলাম।

দুপুর-এ ঘুমালাম অনেকক্ষন। বিকাল বেলা বন্ধুদের নিয়ে গেলাম বাজারে রসুন এর চপ খাবার জন্য। রাজশাহীতে একটি হোটেল এই রসুন এর চপ পাওয়া যায়। আস্ত রসুনএর চপ। খুবই টেস্টি।

যা হোক আপনারা কেউ রাজশাহী গেলে সাহেব বাজার মিতা স্টুডিও এর পাশে থেকে রসুনএর চপ খেতে ভূলবেন না। পরদিন আমার বন্ধুকে নিয়ে ভার্সিটি যাবার কথা ছিলো। মেয়ে বন্ধূ এবং বিবাহিত। সকাল ১১ টায় আমাকে ফোন করে বলে যে তুমি ভার্সিটি চলে যাও আমি আসছি। ভার্সিটি যাবার কারন হলো ওর এমবিএ-র ভর্তি নিয়ে।

কথা মত সে চলে গেল তার মত আর আমি গেলাম আমার মত করে। আমার আগেই সে চলে এসেছিলো এবং আমাকে ফোন করে বলে যে আমি কোথায়। আমি বলি তুমি অপেক্ষা কর আমি আসছি। তারপর ওর সাথে আমার দেখা। অসম্ভব রকম সুন্দর হয়েছে সে।

অনেকদিন পর দেখা। আসলে সে থাকে তার স্বামী-বাচ্চা নিয়ে আর আমি ঢাকায় থাকি আমার কাজ নিয়ে। তারপর তাকে রিক্সায় তুলে প্রশাসন ভবনের দিকে যেতে লাগলাম। তখন ঈদ এর ছুটিতে ভার্সিটি এক্কেবারে ফাকা। মানুষ জন একেক্কবারেই কম।

খুবই মজা লাগছিলো। রাস্তার দু-ধারের গাছ গুলোকে অসম্ভব রকম সুন্দর লাগছিলো। মনে হচ্ছে এক একটা বড় বড় বিম দাড়িয়ে আছে। এত সুন্দর গাছ মনে হয় পৃথিবীর কোথাও নেই। প্রশাসন ভবনে গিয়ে দেখি সব বন্দ।

২/১জন ছিলো। ওদের কে জিজ্হেস করতেই ওরা বলল যে, তারা যানে না। ১৩ তারিখ এ আসতে বলে। তারপর আমরা হাটতে লাগলাম। ফাকা রাস্তায় হাটতে যে এত মজা সেই দিনই বুঝলাম।

অনেকক্ষন ধরে হাটলাম। এক সময় একটি ড্রেনে দেখলাম একটি সাপের বাচ্চা সাতার কাটছে। এই দেখে আমি আর আমার বন্ধু তো মহা খুশি। আমরা অনেক আনন্দ নিয়ে সাপ টাকে দেখছিলাম। সাপ যে এত সুন্দর ভাবে সাতার কাটতে পারে সেই দিনই খেয়াল করলাম।

একটা সময় ছিলো আমরা যখন পুকুরে গোসল করতাম তখন কত সাপ এর সাথে সাতার কেটেছি। কত সাপ মেরে ফেলেছি তার হুস নেই। আর আজ সেই সাপ দেখে আশ্চর্য হয়ে দেখছি। এক সময় সাপটা হারায় গেল আর আমরা চলে আসলাম। তারপর স্টেডিয়াম এর পাশে বসে থেকে কিছু গল্প করলাম।

একসময় সে বলল যে চল বাসায় যাওয়া যাক। তার পর আমরা আলাদা আলাদা রিক্সা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম। আসলেই সেদিনের ভার্সিটি অনেক অনেক আনন্দ দিয়েছে আমাদের। বিশেষ করে সাপটা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।