আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কয়েকটি প্রশ্ন - কে বড় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা না গাজী মুক্তিযুদ্ধা?

বিক্ষিপ্ত ভাবনা মুক্তিযোদ্ধাকোটা নিয়ে গত কয়েকবছর থেকেই বিতর্ক চলছে - বিশেষ করে ৩০% কোটা প্রকৃত বা ভূয়া মুক্তি যোদ্ধাদের সন্তান বা নাতী নাতনীদের জন্য বরাদ্ধ করার কারনে। এ প্রশংগে কয়েকটি প্রশ্ন: ১) মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ৩০ লাখ এবং ২ লাখ বীরংগনা রাষ্ট্রীয় সুযোগের বেশী দাবীদার না ২ লাখ গাজী মুক্তিযুদ্ধা বা তাদের পোষ্য বা তাদের পো পোষ্য (নাতী/নাতনী) রা এই সুবিধার বেশী দাবীদার? ৩০ লাখ শহীদের সন্তানরা কিন্তু এই সুবিধা থেকে বন্চিত।মুক্তি যোদ্ধাদের আশেপাশে ঘোরাপিরা করেও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা বা সনদী মুক্তিযুদ্ধা। কিন্তু যারা শহীদ হয়েছেন সম্মুখ যুদ্ধে তাদের কি অবস্হা? কেউ কি তার খবর রাখেন? নাকি ভোটের রাজনীতিতে তারা মূল্যহীন? ২) গাজী মুক্তিযোদ্ধাদের নাতী / নাতনীরাও সরকারী চাকুরীতে কোটা সুবিধা পাবেন। নাতী/নাতনীরা পেলে তাদের বাবা / মা কি দোষ করেছে। সুতরাং মুক্তিযোদ্ধাদের মেয়ের জামাই বা ছেলের বউকে কেন এই কোটারী সুবিধা দেয়া হবেনা? ৩) একজন মুক্তিযুদ্ধা নাতী / নাতনী যদি এ কোটারী সুবিধা পাবেন তাহলে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকেও এই সুবিধা দেয়ে হোক - যেমন একজন মুক্তিযোদ্ধা ৭০ বছর বয়সে ২০/২৫ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে করলেন, তাকেও এই কোটারী সুবিধা কেন দেয়া হবেনা? তিনি তার যৌবন একজন বৃদ্ধ মুক্তিযুদ্ধার শেষ বয়সের মানুষিক আনন্দের জন্যে বিলিয়ে দেয়ার বিনিময়ে কি একটি সরকারী চাকুরী পোষ্য হিসাবে পেতে পারেন না? ৪) যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা আজীবন অবিবাহিত থাকেন বা বিপত্নিক হওয়ার কারনে নিয়মিত একজন সেবিকার সেবা গ্রহন করেন, তবে তাকেও এই কোটারী সুবিধার আওতায় আনা যেতে পারে, তাই নয় কি? জিলা কোটা বা পার্বত্য কোটার ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন, সুধু কোন প্রশ্ন নেই ডিজেবল কোটা নিয়ে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।