আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাছ যাচ্ছে বুনে নিজেকে ধরার জাল, গাছ করছে বড় নিজেকে ফাঁসির ডাল

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল আমি সাধারণত লেখা শুরু করার আগে খানিকটা ভুমিকা দিয়ে থাকি। কিন্তু এই লেখাটিতে সেটি সংগত কারণেই সেটি এড়িয়ে গেলাম। ইদানিং দেখা যাচ্ছে সামুকে অস্থিতিশীল করার জন্য একই গোষ্ঠির মাল্টি এবং ছাইয়া নিক থেকে একের পর এক পোস্ট দেয়া হচ্ছে। সামু থেকে কট্টর আওয়ামিপন্থি কিছু ব্লগার চলে যাবার পর পরই তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্ররোচনায় একই আদর্শের ধ্বজাধারিরা প্রায় সময়েই এমন আচরণ করে থাকে। শুধু তাই না।

দল ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তারা অনেক সময়ই প্রশাসনের সাহায্যও নিয়ে থাকে। একথা তো মিথ্যে নয় যে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে পরমতে সব চেয়ে অসহিষ্ণু দলটির নাম হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ। কি সরকারি দলে কি বিরোধী দলে, তাদের হ্যা তে হ্যা না মেলালেই চলে কুৎসিত আক্রমন। সেই রাজনৈতিক ধারার অনুসারিরা ব্লগেও একই ধারা চালু রেখেছে। গোলটা সেখান থেকেই শুরু।

ইদানিং যে ব্যাপারে এরা জল ঘোলা করার চেস্টা করছে সেটা হলো আমার লেখা দুটি নির্দোষ পোস্ট। যেখানে খুব স্পস্ট করেই এর উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা আছে। সামুতে এক সময় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ইতিহাসকে অপমান করে একের পর এক পোস্ট আসতো। এবং তার বিরুদ্ধে প্রচন্ড প্রতিবাদের জন্য গঠিত হয় এটিম নামে রাজাকার বিরোধী একটি সিন্ডিকেট । যাদের সফল প্রতিবাদের কারণেই জামাত শিবির এবং রাজাকার বান্ধব ব্লগাররা সামু ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।

সামু কর্তৃপক্ষ তাদের নীতিমালাতেও রাজাকার বিরোধী নীতি কঠোরভাবে পালন করে আসছে। তবে সমস্যা হচ্ছে অন্য যায়গায়। তাদের তৎপরতায় ছাগু নিধন হয়েছে বটে, কিন্ত তারা ছাগু ফাইটিং করতে করতে তাদের মধ্যে ফাইটিং অভ্যাসটা জেকে বসেছে। ছাগু নিধন শেষ করে, এখন তাদের নজর ভিন্ন রাজনৈতিক মতালম্বিদের উপর। অস্র তাদের একটাই।

ট্যাগিং। অনেক অনেক দিন ধরেই দেখছি, আওয়ামি মতের বাইরে গেলেই নিরীহ সাধারণ ব্লগারদের ধরে অশ্লিল কুৎসিত ভাষায় গালাগালি এবং ট্যাগিং। ভাবখানা এমন যে, প্রধানমন্ত্রির উপদেস্টের অর্থায়নে লালিত পালিত অন্য একটি ব্লগের কর্ণধারদের হ্যা তে হ্যা আর না তে না মেলালে, সবাইকেই তারা শত্রু জ্ঞান করে আক্রমন করা হচ্ছিল। এমন অবস্থায় সমমনা অত্যাচারিত ব্লগারদের এক মঞ্চে আহবান করার উদ্দেশ্যেই সেই পোস্টটি দেয়া হয়েছিল। সেখানে অনেকেই তাদের মনের জমিয়ে রাখা দুঃখ শেয়ার করেছিলেন।

এই একতার কারণে, ব্লগে পেশিশক্তি প্রদর্শনকারি কিছু লোকের মানসিক অশান্তির কারণ ঘটেছিল। কেননা, ব্লগে দলিয় লেজুড়বৃত্তি কিংবা হুজুগ তোলা অথবা দিল বেধে মাল্টি সহ ট্যাগিং করে যাদের অভ্যাস খারাপ হয়েছিল, তাদের মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয়েছিল। এদের এজেন্ডায় ছিল, যে কোন মুল্যে অন্য একটি ব্লগকে জনপ্রিয় করতে সামুর ধবংস সাধন। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, যে কয়টি নিক থেকে ইসলাম ও নবীর অবমাননা করে পোস্ট দেয়া হতো, তার মুল হোতাদের অনেকেই সেই অন্য ব্লগের পৃষ্ঠপোষকতা পেতো। আর সামুকে রাজাকারদের দোসর বানাতে, বিডিনিউজ২৪, আমার ব্লগের প্রধান একজন অমি রহমান পিয়ালের উদ্ধৃতি দিয়ে যে মিথ্যাচার শুরু করেছিল, সে সমন্ধে আপনারা সবাই অবগত আছেন।

অর্থাৎ সব রসুনের গোড়া একই। সেই দুঃসময়ে আবারও সেই আলোচ্য পোস্টের দ্বিতীয়টি দিতে বাধ্য হই। উদ্দেশ্য ছিল সামুর প্রতি আমাদের নিঃশর্ত ভালোবাসা প্রকাশ। অন্য ব্লগের আদর্শের ধারক ও বাহকরা এতে আরো ব্যাকফুটে পড়ে যায়। একে তো তাদের ষড়যন্ত্র একের পর এক বিফল হচ্ছিল।

অন্যদিকে সাধারণ ব্লগার এবং আওয়ামি আদর্শের বাইরের ব্লগারদের উপর চোটপাট করার সুযোগ হারানো। এই দুই কারণেই সেই একই গোষ্টি এখন উন্মত্ত হয়ে উঠেছে। এবং তারা রেফারেন্স টানছে আমার সেই দুটি পোস্টকে। অথচ সেই পোস্টে যাদের নাম আছে, তাদের বেশির ভাগই আলাদা পোস্ট দেন না। শ্রেফ কমেন্ট করেন।

আর যারা পোস্ট দেন, তারা কালে ভদ্রে লিখে থাকেন। তাদের কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে, কর্তৃপক্ষকে জানালেই কিন্ত সমস্যা থাকে না। কিন্ত না। ক্যাচাল করা, অশান্তি করা, পেশি শক্তি দেখানো যাদের মজ্জাগত অভ্যাস, তারা নিয়মতান্ত্রিক পথে হাটবেন কেন? তাই এখন তারা চরম মিথ্যাচার শুরু করে আবারও সামুকে বিতর্কিত এবং শান্তিময় পরিবেশকে নস্ট করার অপচেস্টা চালাচ্ছে। আমি দ্ব্যার্থহীনভাবেই বলতে চাই যে, সামু তার আপন মহিমায় এগিয়ে যাবে।

বরং তাদেরই পতন হবে যারা, সামুর বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্রে আরেকটি ব্লগের হোতাদের সহযোগি। সাধারণ ব্লগার এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষকে এই বলে অনুরোধ করতে চাই যে, যে বা যারা নির্দোষ পোস্ট দুটির বিরুদ্ধে বিশেষ উদ্দেশ্যে জল ঘোলা করতে চাইছে, তাদের অতীত ইতিহাসকে একবার দেখে নিতে। আর আমরা সব সময় সামুর শুভাকাঙ্খি ছিলাম, আছি এবং থাকবো। বিশেষ শ্রেনীর মত অন্য ব্লগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কোনদিন আমাদেরকে পাওয়া যাবে না। তাই সামুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হোক, এই কামনাই করি।

ধন্যবাদ। (পোস্টের মন্তব্যদাতাদের স্বাগতম। তবে রিপ্লাই পেতে দেরি হতে পারে। আর বিশেষ কিছু ক্যাচালকারি নিকদের বলবো, দয়া করে এখানে সাফাই গাইতে আসবেন না। কারণ আপনারা কারো আস্থা, শ্রদ্ধা বা বিশ্বাস অর্জন করতে পারেননি) ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।