আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পশুর হাটে নৈরাজ্যঃ দেখার নেই কেউ

তর্ক নয় বিতর্ক ঢাকা শহরের সব পশুর হাটে যা চলছে সেটা মনে হয় নৈরাজ্য বললেও কম বলা হয়। গত দুইদিন ধরে যারা অপেক্ষায় ছিলেন যে আজ হয়তো দাম কমবে তাদের আজ রীতিমতো আক্কেল গুডুম। তাও গত দুইদিন বাজারে পশু ছিলো। আজকে সব হাটই সকাল থেকেই ফাঁকা। বিকেলের পর থেকে প্রায় পশুশুন্য।

সপ্তাহ দুই আগে থেকেই পেপারগুলো লেখালেখি করেছে গরু প্রতি আড়াই-তিন হাজার টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। ডি.এম.পি. কমিশনারকে সেটা সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করায় উনি বললেন, ঢাকার মধ্যে কিছু হলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। খুব ভালো কথা। কিন্তু ঢাকার বাইরে কী ব্যবস্থা নেয়ার কেউ নেই? আর ঢাকায় কতটা ব্যবস্থা নিচ্ছেন সেটাও প্রশ্নসাপেক্ষ। খবরে দেখলাম ১৫ গরু ব্যবসায়ী অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন।

সময় টিভিতে একটা রিপোর্ট দেখালো একটু আগে। একজন ক্রেতা বলছেন, ত্রিশ হাজার টাকার গরু ষাট হাজার টাকা চাচ্ছে। কী করবো। গরু তো কিনতেই হবে। আর একজন বললেন, দাম করবো কীসের? গরুই তো নাই।

ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি। কাল রাত থেকেই ওনারা বলছেন রাস্তায় জ্যামের কারণে গরু আসতে পারছে না। কিন্তু আজ এখন পর্যন্তও সেই জ্যাম আর ছাড়লো না! ঈদের সময় কী আর কোনো বছর রাস্তায় জ্যাম থাকে না? এইবার এইরকম সংকট হবার কারণ কী? সিন্ডিকেটের কথাও প্রায় সবগুলো চ্যানেলই বলছে। কিন্তু সেটা মনে হয় খালি আমরা সাধারণ জনগণই দেখি। সরকার কিংবা আইন-শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট কারও মনে হয় চোখে পড়ে না।

জাস্ট জ্যামের কারণে এই রকম হচ্ছে নাকি এইটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি সেটা মনিটর করবার জন্য কী আদৌ কেউ আছে? দেশের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো দুই ঈদ। আর এই ঈদের আনন্দ অনেকের মাটি হয়ে যাবার জোগাড় কোরবানীর পশু না পাবার কারণে। কিন্তু কারো কোনো ভ্রূক্ষেপ আছে বলে কী মনে হয়? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।