আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবার অভিযোগ ভিকারুননিসার শিক্ষিকার বিরুদ্ধে

বাবা-মাকে খুব মিস করসি প্রজ্ঞাপন জারি করে নিষিদ্ধ করা হলেও স্কুলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেওয়া চলছে। কিছুদিন আগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও শেরেবাংলানগর গণভবন স্কুলের শিক্ষার্থীর শারীরিক শাস্তি নিয়ে আলোচনার রেশ না কাটতেই খ্যাতনামা ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসের প্রভাতী শাখার এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানিয়ে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষা সচিব, স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের মহাপরিচালক ও অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতের বাবা ডা. গৌরাঙ্গ বৈরাগী। বুধবার বিজ্ঞান বিষয়ের মডেল টেস্ট চলাকালে চুলের ঝুঁটি ঠিকমতো না বাঁধার অজুহাতে ভিকারুননিসার শিক্ষিকা জেসমিন রহমান পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী অনুরাধা বৈরাগীর চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে তার মাথায় আঘাত করেন। এছাড়া ওই শিক্ষিকা অন্য শিক্ষার্থীদের সামনে ছাত্রীটিকে কঠিন ভাষায় বকাবকি করেন।

পরীক্ষা দেওয়ার সময় শিক্ষিকার এ নির্মম আচরণ ও নির্যাতনে হতভম্ব হয়ে পড়ে ছাত্রীটি। লজ্জা ও অপমানের শিকার হয়ে বাসায় ফেরার পর কান্নাকাটি শুরু করে ছাত্রীটি। শিক্ষিকার আচরণে ভয় পেয়ে ছাত্রীটি স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর বাবা ডা. গৌরাঙ্গ বৈরাগী গতকাল ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এ প্রতিবেদকের কাছে সরাসরি নির্যাতনের অভিযোগ করেন। তিনি জানান, স্কুলে ছাত্রীদের দুটি ঝুঁটিতে চুল বেঁধে যাওয়ার নিয়ম রয়েছে।

গতকাল পরীক্ষার জন্য তাড়াহুড়া থাকায় ছাত্রীটি একটি চুলের ঝুঁটি করে স্কুলে যায়। পরীক্ষা চলাকালে দায়িত্বরত শিক্ষিকা জেসমিন রহমান ছাত্রীটির একটি ঝুঁটি দেখে ক্ষিপ্ত হন। তিনি তার চুলের ঝুঁটি ধরে টানাটানি করে তার মাথায় আঘাত করেন। রাজধানীর সদরঘাটে অবস্থিত সুমনা ক্লিনিকের অর্থোপেডিকস ডা. গৌরাঙ্গ বৈরাগী বলেন, আমি এর বিচার চেয়ে কাল সংশ্লিষ্ট সব জয়াগায় আবেদন করব। মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধের বিষয়টি সব শিক্ষক জানেন।

তার স্কুলের শিক্ষিকার শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি অবিশ্বাস্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটি কি আপনার বিশ্বাস হয় যে, একজন শিক্ষক চুলের ঝুঁটি ধরে টানাটানি করবেন। নির্যাতিতের বাবা সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করেছেন বলা হলে অধ্যক্ষ বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমনানুর রশীদকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.