আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আহলান ওয়া সাহলান দুয়ুফুর রাহমান

পঙ্খিরাজে চাদেঁর দেশে হাজীরা মিনায় যাওয়া শুরু করেছেন। হাজার হাজার তাবু প্রস্তুত থাকে সবসময় হাজীদের জন্য । স্থানীয় বাসায় খেমা বলা হয়। এযেন তাবুর শহর। যেদিকে চোখ যায় সারিবাধা তাবু আর তাবু।

অত্যাধুনি সুবিধা সম্ভলিত তাবুগুলি। অনেক দৃষ্টিনন্দনও। আজ থেকে শুরু হয়েছে ইসলামের অন্যতম চতুর্থ বিধান হজ্জের (২০১১) আনুষ্টানিক কার্যক্রম। বিশ্বমুসলমানের মধ্যে আনন্দের ফাল্গুধারা শুরু হয়েছে। প্রায় অর্ধকোটি মুসলমান বিশ্বের আনাচে কানাচে থেকে মক্কায় সমবেত হয়েছেন।

মক্কা আকাশ-বাতাসে মুখরিত হচ্ছে লাব্বাহিকা আল্লাহুম্মা লাব্বাহিক শ্লোগান। গত বছর (২০১০) এইদিনগুলিতে পবিত্র নগরীতে ছিলাম হজ্জ আদায় করার জন্য। হজ্জের কার্যক্রম গুলি চোখে লেগে আছে। আর মন কাঁদছে আবার যদি যেতে পারতাম। দেখার সাধ যেন মিটল না।

এটা শুধু আমার ক্ষেত্রে নয় সকল হাজীদের মনেও এই আকুতি। হাজীরা ৮ই জিলহজ্জ (শুক্রবার) ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। বায়তুল্লায় ফজরের নামাজ পড়ে মিনায় যাওয়া সুন্নাত। কিন্তু অধিকাংশ বাংলাদেশী হাজিরা রাতে এশার নামাজ বায়তুল্লায় পড়ে মধ্য রাতে কিংবা শেষ রাতের দিকে চলে যান মিনাতে। এটা অবশ্যি হাজীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ট্রাভেলস এজেন্সিগুলি করিয়ে থাকে।

বাংলাদেশী হাজীদের জন্য মিনায় যেখানে তাবু করা হয়েছে ম্যাপ অনুযায়ী মিনা এলাকার প্রায় দু'কিলোমি বাইরে। অর্থাৎ দু'ই কিলোমিটার দেখা যায় এন্ড অফ মিনা সাইনবোর্ড। মিনাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ওয়াজিব। অর্থাৎ ৮ই জিলহজ্জ জোহর থেকে ৯ই জিলহজ্জ ফজর পর্যন্ত নামাজ পড়া। কিন্তু আবার ট্রাভেলস এজেন্সিগুলি তাগাদায় এশার নামাজের পরে রাতের আধাঁরে যেকোন সময় আরাফার ময়দানে যেতে হয়।

৯ই তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফায় অবস্থান হজ্জের দ্বিতীয় ফরজ। সূর্যাস্তের পরে মুজদালিফায় এসে রাত্রি যাপন এবং ভোরে ফজরের নামাজ মুজদালিফায় আদায় করে সূর্যোদয়ের পরে আবার রওয়ানা হতে হয় জামারাতে পাথর নিক্ষেপ করতে। পাথর নিক্ষেপ করে কুরবানি আদায় করে মাথার মুন্ডন বা চুল চাটা পুরুষে জন্য এবং মহিলাদের জন্য চুলের একমুঠো আগা কর্তন করে ইহরাম মুক্ত হতে হয়। আল্লাহ সবাইকে হাজ্জে মাবরুর করার তৌফিক দান করুন এবং আমাদের ও যেন ক্ষমা করেন।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।