আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বামী বা প্রিয় পুরুষ সঙ্গীর কাছে, একজন নারী যা চায়

আমি মাঝেমাঝে ভাবি আমার জীবনটা কেন এমন হলো, অন্যরকম হলো না ঠিক সে রকম যে রকম আমি নিজেকে গড়তে চাই। বান্ধবী,প্রেমিকা বা সদ্যবিবাহিতা স্ত্রীর মন খারাপ। কোনো কারণ ছাড়াই হঠাত্ বিষণ্ন হয়ে আছেন তিনি। কেন এমনটা হয়, হচ্ছে, ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না বন্ধু, প্রেমিক বা স্বামী। সম্পর্কের শুরুতে অনেকেই হয়তো ভুগছেন এ রকম সমস্যায়।

ভাবছেন সঙ্গিনী কী চান, কীভাবে তাঁকে খুশি করা যায়। নারী হতে পারে বান্ধবী, প্রেমিকা বা স্ত্রী—সব সময় সব কিছু খুলে বলতে চান না। তাঁরা প্রত্যাশা করেন, বন্ধু বা জীবনসঙ্গী নিজে থেকেই অনেক কিছু বুঝে নেবেন। কিন্তু সঙ্গী পুরুষটি হয়তো ভাবতে ভাবতে জেরবার। কী করা যায়, কী করলে পেতে পারেন প্রেয়সীর মন।

কিছু সাধারণ বিষয়ের দিকে সচেতন থাকলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জীবনের পথে চলতে চলতে অজান্তেই হয়তো এসব বিষয় আমরা ভুলে যাই। কিন্তু একটু সচেতন হলেই এসব ছোট খাটো ভুলে যাওয়া কাজ দিয়েই খুশি করে তোলা সম্ভব সঙ্গিনীকে। —যখন বান্ধবী বা স্ত্রী কথা বলবে, মনোযোগ দিয়ে শুনুন। বোঝার চেষ্টা করুন তার সমস্যা।

এতে প্রমাণিতহয়, আপনি তাকে গুরুত্ব দেন। তার কথা ভাবেন। —রাগকে প্রশমিত করতে হবে। কর্মক্ষেত্রের ঝামেলা গুলোকে বাড়িতে বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে টেনে না আনাই ভালো। —বান্ধবী বা স্ত্রী চান, সঙ্গী তাঁর সঙ্গে সবকিছু ভাগ করে নিন।

তাই আবেগ বা উচ্ছ্বাস লুকিয়ে রাখবেন না। সুখ, দুঃখ যা-ই হোক না কেন, মন খুলে প্রকাশ করুন আপনার প্রিয় সঙ্গিনীর কাছে। এতে করে সেও আরও সহজ হবে আপনার কাছে। —তাই সঙ্গিনীর সঙ্গে কথা বলতে হবে প্রাণ খুলে। —নারী সব সময় চান, তাঁর আত্মীয় স্বজন বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সঙ্গী পুরুষটি যেন ভালো ব্যবহার করেন।

তাই বান্ধবী বা স্ত্রীর স্বজনদের আপনার অপছন্দ হলেও তাঁদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। এর কোনো বিকল্প নেই। —নারী তাঁর সঙ্গীকে পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে পছন্দ করেন, এটা সত্যি। তবে এটাও সত্যি যে রান্নাঘরের দৈনন্দিন কাজ বড্ড একঘেয়ে। নারীও মাঝে মধ্যে এ থেকে মুক্তি চান।

বান্ধবীবা স্ত্রীর জন্য সবচেয়ে চমকপ্রদ উপহার হলো তাঁকে তাঁর পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়ানো। একটু কষ্ট হলেও মাঝেমধ্যে এটা করতে পারেন। দেখবেন, তাঁর বিষণ্ন মুখ হয়ে উঠবে ঝলমলে। কিংবা তাঁকে নিয়ে একদিন বাইরে ভালো কোনো রেস্তোরাঁয় খাবার খেলেন। —গাড়ি চালানোর সময় মাথায় রাখতে হবে ঝোড়ো গতিতে গাড়ি চালানো আপনার সঙ্গিনীর পছন্দ না হওয়ারই কথা।

তাই গাড়ি চালানোর সময় মাথা ঠান্ডা রাখুন। এতে আপনি যেমন নিরাপদে থাকবেন, তেমনি আপনার পাশে বসা সঙ্গিনীও থাকবেন স্বস্তিতে। —নারীর প্রতি যত্নশীল হোন। তবে সেটি যেন কর্তৃত্ব না হয়ে দাঁড়ায়। আপনার অধিকারবোধ যেন এমন না হয়ে ওঠে, যাতে সঙ্গিনীর দম বন্ধ হয়ে আসে।

—মাত্র একটি ভুল বা মিথ্যের কারণেই আপনি আপনার সঙ্গিনীকে চিরতরে হারাতে পারেন। এ ব্যাপারে নারীরা ছাড় দেন না। তাই তাঁর প্রতি সত্ থাকতে হবে। তবেই জীবন হবে আনন্দময়। (সূত্র দ্যা টাইমসঅব ইন্ডিয়া) ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।