আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কিছুদিন আগে খুব অসুস্থ ছিলাম। বর্তমানে সুস্থ আছি। কিন্তু নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে- রোগভীতি কাজ করছে আমার মধ্যে। সারাক্ষণ ভয়ে আর টেনশনে অস্থির থাকি।

I am very simple man আসলে ভয় দেখানো বা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা- এটা ব্যবসায়ীদের একটা চাল। মানুষকে ভয়গ্রস্ত করা হলো শোষকদের একটা হাতিয়ার। তাহলে ভয় রোধ করার কিছু উপকরণ সে বিক্রি করতে পারবে। রোগভয়ও তেমনি। সাধারণ মানুষকে যত রোগ-ব্যাধি-মৃত্যুর ভয় দেখানো যাবে তত তারা ওষুধ, ভ্যাকসিন এবং নানারকম রোগ প্রতিরোধকারী উপকরণ বা যন্ত্রপাতি কিনবে।

আর উচ্চমূল্যের এসব জিনিস বিক্রি করে লাভবান হবে মাল্টি ন্যাশনাল ওষুধ কোম্পানি এবং তাদের সহযোগী চিকিৎসা-ব্যবসায়ী-গোষ্ঠী। কয়েক বছর আগে ডেঙ্গুরোগ নিয়ে আমাদের দেশে যে তুলকালাম হলো তার মূলেও ছিলো চিকিৎসা ব্যবসায়ীদের সৃষ্ট এই ম্যাস হিস্টিরিয়া। আর রোগভয়ের জুজুকে ব্যবসায়িক স্বার্থে কাজে লাগাবার জঘন্য প্রচেষ্টার একটা সামপ্রতিক উদাহরণ হলো তথাকথিত সোয়াইন ফ্লু প্যানডেমিক। ২০১০ সালে প্রকাশিত হয় সোয়াইন ফ্লু নিয়ে ইউরোপের ৪৭ টি দেশের পার্লামেন্ট সদস্যদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিলের এক তদন্ত প্রতিবেদন। এতে বলা হয়, ২০০৯ সালে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সোয়াইন ফ্লু আতঙ্কটা আসলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঁতাতে ফার্মাসিউটিকেল কোম্পানিগুলোর সৃষ্ট মিথ্যা গুজব ছাড়া আর কিছু নয় এবং এটা তারা করেছে জনস্বাস্থ্যকে বিপন্ন করে মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে।

কমিটির প্রধান উলফগ্যাঙ ওডাগ বলছিলেন, সেসময় ওষুধ কোম্পানি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন দেশের সরকারকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাচ্ছিলেন উচ্চমূল্যের তথাকথিত এসব ভ্যাকসিন কিনতে, যার কোনো বৈজ্ঞানিক বা বাস্তব ভিত্তি ছিলো না। এ যাবৎ যত ধরনের ফ্লুর জীবাণু আবিষ্কৃত হয়েছে, তার মধ্যে এটি হলো সবচেয়ে দুর্বল গোছের একটি। তারপরও এটাকে এমন ভয়াবহরূপে তারা উপস্থাপন করলো যে মহামারীর সংজ্ঞাটাই তারা বদলে ফেললো। আমরা এখনো জানি না যে আসলে কী ঘটেছিলো। আমরা শুধু জানি যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যোগসাজসে কতিপয় ফার্মাসিউটিকেল কোম্পানিগুলোর একচেটিয়ার মাধ্যমে বিপুল অংকের মুনাফা হাতিয়ে নেয়ার একটা ষড়যন্ত্র ছাড়া এটা আর কিছুই ছিলো না।

আমরা রোগ-ব্যাধি এগুলো নিয়েই বেঁচে থাকি। আমাদের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই এগুলো থেকে আমাদেরকে সুস্থ রাখে। কিন্তু ভয়টা যখন মনের মধ্যে ঢুকে যায়, তখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যায়। কারণ বাস্তবে আমরা যে সিম্পটমগুলো দেখি এগুলো আমাদের কল্পনারই প্রকাশ। এবং যে কারণে ডাক্তাররা যখন রোগাক্রান্ত হয়, তখন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তার মধ্যে বেশি হয়; কারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য তার জানা রয়েছে।

অতএব ভয়ভীতিকে দূর করে ফেলেন এবং রোগকে বুড়ো আঙুল দেখাতে শেখেন। আপনি রোগভয় থেকে বেঁচে যাবেন। আর সবসময় অটোসাজেশন দেবেন, প্রতিদিন আমার স্বাস্থ্য ভালো হচ্ছে, প্রাণশক্তি বাড়ছে। আমি নতুন নতুন কর্মে নতুন নতুন ভাবনায় উজ্জীবিত হচ্ছি। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.