আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সুটকেস গোছান, লিবিয়ায় ছুটে যান

'সুটকেস গোছান, দ্রুত লিবিয়ায় ছুটে যান। ' গাদ্দাফি-পরবর্তী বিধ্বস্ত লিবিয়ার পুনর্গঠনের কাজ বাগানোর জন্য ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি এভাবেই নির্দেশ দিলেন সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড। বিবিসির চ্যানেল রেডিও ফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গাদ্দাফিকে উৎখাতে প্রধান ভূমিকা ছিল ব্রিটেনের। এখন ভগ্নপ্রায় লিবিয়াকে গড়ে তোলার কাজেও ব্রিটিশ কম্পানিগুলোকে 'এক নম্বরে' থাকতে হবে। ব্রিটেনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দপ্তরের হিসাবে, আগামী এক দশকে লিবিয়ার তেল, গ্যাস, শিক্ষা ও পুনর্গঠন খাতে ২০ হাজার কোটি পাউন্ডের চুক্তি হবে।

২৩ আগস্ট বিদ্রোহীদের হাতে ত্রিপোলির পতনের পরপরই ব্যবসায়িক স্বার্থ নিশ্চিতের কাজে মনোযোগ দেয় ব্রিটেন। সেখানে ছুটে যান প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী লর্ড গ্রিন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বৃহৎ তেল কম্পানি বিপি ও শেলের কর্মকর্তারা। লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের (এনটিসি) সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা তেলের ভাগ পেতে ইউরোপের অন্য দেশ বিশেষ করে ফ্রান্স ও ইতালির জোর তদবিরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এনটিসি কর্মকর্তারা তাঁদের আশ্বস্ত করেন, লিবিয়ার মরুভূমিতে তেল অনুসন্ধানের বিদ্যমান চুক্তিগুলো বহাল রাখা হবে।

গাদ্দাফি উৎখাতের মিশনে ব্রিটেনের খরচ প্রায় ৩০ কোটি পাউন্ডে দাঁড়াবে বলে বিবিসিকে জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী হ্যামন্ড। এ খরচ পুষিয়ে নিতে লিবিয়ার নতুন সরকারের কাছ থেকে নগদ অর্থ নেওয়া উচিত বলে ক্যামেরন মন্ত্রিসভার কেউ কেউ মনে করছেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ হয়তো শিগগিরই সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবে না। তাই হ্যামন্ডের পরামর্শ, মাঝের এ সময়টাতে ব্রিটিশ কম্পানিগুলোর উচিত নতুন লিবিয়ায় পুনর্গঠনের কাজগুলো জিতে নেওয়া। হ্যামন্ড বলেন, 'এখন সেই মিশন (গাদ্দাফি উৎখাতের) শেষ হয়েছে।

আমি অবশ্যই আশা করব ব্রিটিশ কম্পানিগুলো, তাদের বিক্রয় কর্মকর্তারা, যদি সম্ভব হয় আজকেই সুটকেস গুছিয়ে লিবিয়ায় চলে যাক এবং সেখানে পুনর্গঠনের কাজে অংশ নিক। ' ব্রিটেনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ দপ্তরের আনুমানিক হিসাবে বলা হয়েছে, আগামী এক দশকে লিবিয়ার তেল, গ্যাস, শিক্ষা ও পুনর্গঠন খাতে ২০ হাজার কোটি পাউন্ডের চুক্তি হবে। দপ্তরের বেশ কিছু কর্মকর্তা ইতিমধ্যে লিবিয়ায় চলে গেছেন। নতুন সরকারকে ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য উৎসাহিত করতে সেখানে আরো লোকজন পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অবশ্য প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতো এত তাড়াহুড়োতে নেই ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তর।

লিবিয়া সফর এখনো ব্রিটিশদের জন্য নিরাপদ নয় বলেই মনে করছে তারা। পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, লিবিয়ায় আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের কারণে গাদ্দাফি সমর্থকদের আক্রোশের শিকার হতে পারে ব্রিটেনের নাগরিকরা Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।