আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যর্থ হয়েছে তালেবান: মালালা

“তালেবানরা ভেবেছিল বুলেট দিয়ে আমাদের স্তব্ধ করে দেবে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। ”
সবার জন্য শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে মালালা একথা বলেন। সব শিশুর জন্য শিক্ষা এবং বিশেষত নারীশিক্ষা অবাধ ও বাধ্যতামূলক করার প্রচারাভিযানের অংশ ‍হিসাবে নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ দপ্তরে এ ভাষণ দেন মালালা।
গত অক্টোবরে পাকিস্তনের সোয়াত উপত্যকায় তালেবান হামলার শিকার হওয়ার পর এটিই তার প্রথম ভাষণ।

এ ভাষণ দেয়ার পাশাপাশি জাতিসংঘে ১৬ তম জন্মবার্ষিকীও পালন করেন মালালা।
গোলাপি পোশাক এবং স্কার্ফ পরা মালালা জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনসহ গোটাবিশ্ব থেকে আসা ১ হাজার শিক্ষার্থীর উদ্দেশে ভাষণে বলেন, জীবনকে উন্নত করার একমাত্র পথ হচ্ছে শিক্ষা।
প্রতিটি শিশুর স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করতে তিনি বিশ্বের সব রাজনীতিবিদকে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আসুন আমরা খাতা কলম হাতে তুলে নেই। এগুলোই আমাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।

সবার আগে শিক্ষা, শিক্ষাই সমস্যার একমাত্র সমাধান। একজন শিশু, একজন শিক্ষক, একটি কলম ও বই গোটা বিশ্বকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। ” উপস্থিত কিশোর-কিশোরীদেরকে বিশ্বের নতুন এক সুপার পাওয়ার (পরাশক্তি) আখ্যা দিয়ে মালালা আগামী দিনে শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব বাধা অতিক্রম করে যাওয়ার জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সমস্যার সমাধানে শিক্ষার চেয়ে ভাল বিকল্প আর কেউ দেখাতে পারবে না। জাতিসংঘ মাহসচিব বান কি মুনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

তিনি মালালাকে ‘আমাদের নায়ক’, ‘আমাদের সেরা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি যুব সমাজের জন্য বিনিয়োগ ও শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে আমাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বিশ্বব্যাপী নারী শিক্ষার বিষয়টি সবার নজরে আনতে তার অবদান অনেক। বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এখনও শিক্ষার আওতার বাইরে রয়েছে। অর্ধেকেরও বেশি তরুণী এখনও প্রাথমিক শিক্ষার গন্ডির বাইরে রয়ে গেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিতদের কাছে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে ৩০ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহের আবেদন জানিয়েছে মালালা ফউন্ডেশন।

ওই গণস্বাক্ষর দাবি আদায়ের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পাকিস্তানের মেয়ে শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে সোচ্চার হাওয়ার অপরাধে মালালার ওপর হামলা চালায় দেশটির তালেবান জঙ্গিরা। মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী তার নাম আলোচিত হতে থাকে।
গুরুতর আহত মালালাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জন্য ব্রিটেনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ্য হয়ে তিনি এখন বার্মিংহামে থাকছেন।

শুক্রবার বিপুল সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘ ভাষণে মালালা বলেন, তালেবানের হামলা তার মনোবলকে কেবল আরো দৃঢ় করেছে। মৃত্যু ঘটেছে ভয়-ভীতি এবং নিরাশার।
জাতিসংঘের ‘বিশ্বব্যাপী শিক্ষা’ বিষয়ক দূত গর্ডন ব্রাউনের আয়োজিত ভাষণ অনুষ্ঠানের এ দিনটিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ‘মালালা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
২০১৫ সালের মধ্যে বিশ্বের সব বালক-বালিকাকে স্কুলের গন্ডিতে পৌছানো সম্ভব হবে বলে অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করেছেন ব্রাউন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.