আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মশাল মিছিল, আল্টিমেটাম ও একজন ইমরান

আমার চোখে বর্তমান... গতকালের (২৪ তারিখের) মশাল মিছিলে ছিলাম। বেশ সুন্দর একটি আয়োজন ছিল। আমি অবশ্য আরো অনেক বেশী জন সমাগম আশা করেছিলাম। পরে জানলাম এই মিছিলটি আসলে গন জাগরন মন্চের কোন কর্মসূচী নয়। বরং কিছু সমর্থক নিজেরা ফেইসবুকে এই ইভেন্টটি তৈরী করেছিল, গন জাগরন মন্চকে সাহস, উৎসাহ ও একই সংগে চাপ প্রয়োগ করার জন্য, ২৬ মার্চের আল্টিমেটাম নিয়ে।

২৬ মার্চের আর মাত্র ১ দিন বাকী। এখন পর্যন্ত যা বুঝা যাচ্ছে সরকার কোন সাহসী পদক্ষেপ নিতে সিদ্ধান্ত নেয়নি, এবং অদুর ভবিষ্যতে নিবে এমনও মনে হচ্ছে না। বরং এও মনে হচ্ছে যে, বিরোধী দলের (মূলত জামাতের) আন্দোলন বা আন্দোলনের হুমকিতে সরকার ভয় পাচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, আওয়ামী লীগ একটি বড় সুযোগ হেলায় হারাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধে যেমন দলটি নেতৃত্ব দিয়েছে, তেমনি রাজাকারমুক্ত দেশ গড়ার আন্দোলন সফল করার সব সুযোগ তারা পেল।

তারা যদি সে সুবিধার সদ্ব্যবহার করতে না পারে, তো তাদের জন্য আফসোস করা ছাড়া কি করার আছে? আজ পর্যন্ত প্রজন্ম চত্বর থেকে আওয়ামী লীগ অনেক সুবিধা নিয়েছে। কিন্তু তারা যদি দাবীগুলো পালনে উপযুক্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ যথা সময়ের মধ্যে না নেয়, তবে এই আন্দোলন আওয়ামী বিরোধী হয়ে যেতে এক মুহুর্ত সময় লাগবে বলে আমি মনে করি না। এখানে একটা বিষয় গুরুত্বপূর্ন, এই আন্দোলন সফল হবেই, ইন শা আল্লাহ। এ বিষয়ে আমার মনে এক বিন্দু সন্দেহ নাই। ৭১ নিয়ে যখন পড়ি, তখন যেমন বুঝতে পারি যে এই দেশ স্বাধীন না হয়ে কোন উপায় ছিল না, তেমনি এখনও নিশ্চিত জানি, এই দেশ রাজাকারমুক্ত না হয়েও কোন উপায় নাই।

বিষয় হচ্ছে, এই ঐতিহাসিক ঘটনাটা আওয়ামী লীগের হাতে হলেই ভাল হতো। তারা সে সুযোগ হেলায় হারালে, অন্য কেউ অবশ্যই করবে, করতে হবেই। মাঝখানে আওয়ামী লীগ তার বিরোধীদের কাতারেই সামিল হলো, এই আরকি। ইমরানের জন্য আমার একটু মায়াই লাগছে। বেচারা অনেক চাপে আছে কঠোর কর্মসূচী দেবার জন্য।

আবার আওয়ামী লীগ সম্ভবত তাকে চাপে রাখছে কর্মসূচী না দেবার জন্য। এটা মনে করি ইমরানের জন্য দেশের যোগ্য একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে গড়ে ওঠার একটি উপযুক্ত ও সেরা প্রক্রিয়া। আশা করি ইমরান ও তার টিম এই পরিক্ষায় সর্বোচ্চ ভাবে পাশ করবে। সরকারকে আমি বলি, নিষিদ্ধ হবার পর জামাত কি করবে তা নিয়ে বিচলিত হয়ে আপনারা জামাত নিষিদ্ধের প্রক্রিয়াতে পিছপা হবেন না। নিষিদ্ধ না হয়ে যা করছে তার চে কিছু বেশী করবে, হয়তো ২ বছর বা ১০ বছর, এর পর নিশ্চয়ই আর কিছু করার সামর্থ তাদের থাকবে না।

কিন্তু যদি জামাত নিষিদ্ধ না হয়, তাহলে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিনই তারা বাংলাদেশীদের শান্তি দেবে না। ততদিনই তারা বাংলাকে পাকিস্তান বা আফগানিস্থান করার চেষ্টা করে যাবে। জনগনকে বলি, আপনার এগিয়ে আসুন। যারাই আন্তরিক ভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান, তারা সবাই সর্বোচ্ছ ভাবে ইমরান ও তার টীমকে সাহস, সমর্থন দিন। শেখ মুজিব একদিনে তৈরী হয়নি।

শেখ মুজিব তৈরীতে তার কালের জনগনের সর্বোচ্চ ভুমিকা নিশ্চয়ই ছিল। ইতিহাস আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে এমনই এক দায়িত্ব পালনের। এমন সুযোগ হেলায় হারাবেন না। জয় বাংলা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।