আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চুড়ান্ত বর্বর আরবদের প্রতি

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই গাদ্দাফীর হত্যার ভিডিওটা দেখে অসুস্থ বোধ করছি! না, আমি গাদ্দাফীতে মুগ্ধ কেউ না। কিন্তু তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। আমি জানি সে বিদ্রোহীদের ইঁদুর বলে সম্বোধন করেছিল, এও বলেছিল তাদের ঘরে ঢুকে তাদের হত্যা করা হবে, এবং বিদ্রোহ দমনে বিমান হামলা পর্যন্ত করেছে সে! কিন্তু ৪২ বছর ক্ষমতায় থাকা এই লোকটার স্বপক্ষে যায় এমন অনেক তথ্য এবং জনসমর্থনও রয়েছে। তার হাতে অত্যাচারীত মানুষের দাবী দেখে ভুলে যাওয়া চলে না যে তার পক্ষেও অনেক মানুষ ছিল! তাই এভাবে তাকে হত্যা করা কোন সভ্য মানুষই মেনে নিতে পারে না! লিবিয়ায় যা হয়েছে সেটা তিউনিসিয়া, মিশর, ইয়েমেন এমনকি বাহরাইনের মত দেশের সাথেও মিলে না! তিউনিসিয়া ও মিশরে জনগণ পথে নেমে নিরস্ত্র বিক্ষোভ করেছে। শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিল।

কোন অস্ত্রের ঝনঝনানি ছাড়াই তারা সফল হয়েছে। কিন্তু লিবিয়ায় প্রথম দিন থেকেই একদল রকেট, মিসাইল, একে ৪৭, মর্টার নিয়ে বেনগাজীতে জড়ো হয়েছিল। আলজিরিয়া থেকে হাজার হাজার ভাড়াটে সৈন্য দেশটাতে ঢুকেছিল। এবং গাদ্দাফীও ভয়াবহভাবে বিমান হামলা পর্যন্ত চালিয়েছিল। জানি ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়, কিন্তু তাকে রাস্তায় এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলা স্রেফ অসভ্য মানসিকতারই প্রকাশ! এই আরব জনগণ এখন কিভাবে গণতন্ত্র কায়েম করবেন সেটাই দেখার বিষয়।

লিবিয়া কিন্তু মিসর বা তিউনিসিয়া না, এমন কি ইয়েমেনও না। ঐ দেশগুলোতে একটা প্রশাসন কাঠামো ছিল, স্বৈরাচারী নেতৃত্বের অবর্তমানে দেশ চালানোর মত কিছু মানুষ ছিল, কিন্তু লিবিয়ায় গাদ্দাফীর ৪২ বছরের শাষন কোন ব্যাকগ্রাউন্ডই তৈরী করে যায় নাই। গাদ্দাফীই ছিল সব। তাই লিবিয়া কোন হাতে পড়বে এবং কিভাবে চলবে সেটা গভীর পর্যবেক্ষনের বিষয়। আরব বসন্ত শুরু হয়েছে কিন্তু দেখার বিষয় এই বসন্ত কি শুধু আগমনি বার্তার জন্য স্বরনীয় থাকে নাকি বসন্তকালের ভয়াবহ মহামারী রোগের জন্য! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।