আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের প্রথম হেলথ রেডিও: ইডক্টর রেডিও

"হ্যালো লিসেনার'স, আপনারা শুনছেন ইডক্টর রেডিও আর আপনাদের সাথে আছি আমি অনিমা, থাকবো পুরো একঘন্টা আমার শো 'বয়:সন্ধিতে আমি' নিয়ে। প্রতি পর্বের মতো আজও আমার সাথে রয়েছে একজন অতিথি যে, আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করবে বয়:সন্ধির সময়টাতে তার জীবনে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো সে কিভাবে মোকাবিলা করেছে আর কথা এবং আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে থাকবে চমৎকার সব গান....." এভাবেই কেটে যায় বাংলাদেশের প্রথম হেলথ রেডিও ইডক্টর রেডিও'র একটি ঘন্টা। খুব অল্প সময়েই সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই রেডিও'র শুরম্নটা নিয়ে আছে অনেক মজার মজার ঘটনা। রেডিও'র প্রথম চিনত্দা আসে রেডিও'র পরিচালক ডা: আতিক মেহ্দীর মাথায়। তখন তিনি তার স্বাস্থ্য পত্রিকার জন্য বিভিন্ন ডাক্তারের সাৰাৎকার সংগ্রহ করতেন।

কখনো কাগজে লিখে কখনো বা মোবাইলের মিনি রেকডর্ার এ। একদিন হঠাৎ ই একটা চিনত্দা ঘুরপাক খেতে থাকলো মাথায়। কাগজে ডাক্তারদের দেয়া যে সাৰাৎকারগুলো ছাপানো হচ্ছে, মানুষ তো সেটা বিশ্বাস নাও করতে পারে। এছাড়া বেশিরভাগ ৰেত্রেই দেখা যায়, সিনিয়র ডাক্তারদের লেখাগুলো জুনিয়র ডাক্তাররা লিখে দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের এই ধারণাকে কিভাবে পরিবর্তন করা যায়, তা নিয়ে চিনত্দা করতে করতে মাথায় চলে আসে ডাক্তারদের যে সাৰাৎকার নেয়া হয়, তার অডিও ফাইলটা ওয়েবসাইটে সংযুক্ত করে দেয়ার কথা।

আর অডিও ফাইল সংযুক্তির চিনত্দা যখন করা হয় তখনই সামনে এসে দাঁড়ায় এক নতুন চ্যালেঞ্জ। সেটি হল ভাল এবং স্পষ্ট শব্দ। তাই কেনা হয়ে যায় ভালো মানের একটা মাইক্রোফোন। এভাবেই আসত্দে আসত্দে এগুতে থাকে রেডিও'র প্রকল্প। বাংলাদেশে প্রথম রিয়েল টাইম স্ট্রিমিং এবং বাফারিং ছাড়া ওয়েব রেডিও চালানোটাও ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

সৌরভ, ডা: আতিকের ভাল একজন বন্ধু। বিবিএ'র ছাত্র হলেও প্রোগ্রামিং এ তার ব্যাপক আগ্রহ। সেই মূলত প্রোগ্রামিং এর সাইডটা এগিয়ে নিয়ে যায়। আর প্রথম থেকেই এ কাজে অনুপ্রেরণা দিয়ে গেছে ত্রিষামা, সৌষ্ঠব, তারেক এর মতো বেশ কয়েকজন উদ্যোমী তরম্নণ তরম্নণী। একটা সময় রেডিও'র প্রোগ্রাম চালানো বা রেকডিং এর জন্য অনেক জনের কাছে ঘুরতে হয়েছে।

কারও হয়তো সময় হয়নি অথবা কেউ কেউ শুধুই শখ পূরনের জন্য একদিন এসেই চলে গেছে। কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি রেডিও'র ভেতরের মানুষগুলো। রেডিও'র জন্য অফিসের স্বপ্নটা পূরণ হয় জনাব রওশন কামাল এর মাধ্যমে। রেডিও'র ভিন্ন কনসেপ্ট তাকে অনেক আগ্রহী করে এবং তিনি তার অফিসের একটি রম্নম দিতে রাজি হন। সেখান থেকেই শুরম্ন হয় রেডিও স্টেশন তৈরির কাজ।

কিন্তু হঠাৎ ই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন পরিচালক। কিন্তু নতুন কিছু করার স্পৃহা তাকে আবারো টেনে আনে অফিসে। পুরোদমে চলে নতুন নতুন প্রোগামের আইডিয়া তৈরি আর প্রোগ্রাম রেকর্ডিং এর কাজ। তখন শুধুই সামেন এগিয়ে যাওয়া। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ইডক্টর রেডিওকে।

রেডিওতে এখন কজ করছে প্রায় ৫০ জন নিবেদিত প্রাণ কর্মী। ঢাকার বেশকিছু সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্বববিদ্যালয়ে আছেন একজন করে প্রতিনিধি। তরম্নন প্রজন্ম আয়োজিত যে কোন প্রোগ্রামে মিডিয়া পার্টনার হচ্ছে ইডক্টর রেডিও। ঢাকার বেশ কয়েকটি নামি দামী প্রতিষ্ঠানের সাথে মিডিয়া পার্টনারশিপের বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ রেডিও। ইতোমধ্যে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি আনর্ত্দজাতিক সেমিনারেও মিডিয়া কাভারেজ দিয়েছে ইডক্টর রেডিও।

পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠান সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে তাদের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে ইডক্টর রেডিও। এই উদ্যোগ সম্পর্কে রেডিও'র পরিচালক ডা: আতিক বলেন, "আমরা সবসময়ই চাই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সঠিক তথ্য মানুষের কাছে অনেক সহজলভ্য হোক। আর এই কাজে তরম্নণরা এগিয়ে আসুক। রেডিও'র প্রতিটি ৰেত্রে আমরা তরম্নণদের কাজে উৎসাহ দিচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস একদিন তরম্নণরাই আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

" দিনের ২৪ ঘন্টাই ইডক্টর রেডিওতে প্রচারিত হচ্ছে বিভিন্ন প্রোগ্রাম এবং গান। কথাবন্ধু তন্ময়, সাবরিনা, সাদি, বহ্নি, ফিজার, বৃষ্টি, রাকিব, সাবরিনা, নাতাশা, ফারুকি, সাব্বির, মৌরি, সাকিব, মুশফিক, ফারিয়া, ইয়াসির, প্রজ্ঞাসহ আরো বেশ কয়েকজন নিবেদিত তরম্নণ তরম্ননী কাজ করছে ইডক্টর রেডিও'র প্রোগ্রাম সেকশনে। রেডিওতে শুধু যে স্বাস্থ্য নিয়ে কথা হচ্ছে তা নয়। আড্ডা আর গানের ফাঁকে ফাঁকে দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য নিয়ে দু'একটি টিপস। রেডিও'র সাথে সংশিস্নষ্ট সকলের স্বপ্ন, তারা অতি দ্রম্নতই এ রেডিওকে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব রেডিও হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে।

রেডিও শুনতে টিউন করম্নন: http://www.eDoctorRadio.com ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.