আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেষ পর্যন্ত একেএম শামীম ওসমান দল সমর্থিত একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়ায় সব দ্বিধা-দ্বন্দ্বও বিভ্রান্তির অবসান ঘটেছে।

পৃথিবীর কাছে তুমি হয়তো কিছুই নও, কিন্তু কারও কাছে তুমিই তার পৃথিবী" পাল্টে গেছে নারায়ণগঞ্জের দৃশ্যপট। শেষ পর্যন্ত একেএম শামীম ওসমান দল সমর্থিত একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়ায় সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও বিভ্রান্তির অবসান ঘটেছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে শামীমের পক্ষে, বর্জন করেছে ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে। স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মী এতদিন ভেবেছিলেন দল আইভীকে সমর্থন দিতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা না হওয়ায় তারাও আইভীর সঙ্গ ত্যাগ করেছেন।

এতে আইভী এখন স্থানীয় আওয়ামী লীগ থেকে কার্যত প্রায় বিচ্ছিন্ন। শামীম না আইভী, কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত একক প্রার্থী- এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা কেবল নারায়ণগঞ্জেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা ভাবাচ্ছিল গোটা আওয়ামী লীগ ও সরকারকে। স্থানীয় নেতা-কর্মীরাও ছিলেন দোলাচলে। তবে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তিন সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ওসমানের পক্ষে নারায়ণগঞ্জে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় অংশগ্রহণ করায় কেটে গেছে সকল অস্পষ্টতা। আওয়ামী লীগ থেকে আইভী সমর্থন না পাওয়ায় এখন তাকে নিয়ে নতুন মিশনে নামতে চাইছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি।

বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায় থেকে ইতিমধ্যে আইভীর সঙ্গে একাধিক দফায় গোপনে যোগাযোগ করা হয়েছে। একটি সূত্র জানায়, বিএনপি তৈমুর আলম খন্দকারকে দল সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাকে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে কোন ফ্যাক্টরও মনে করছে না দলটি। এজন্য দলের নীতি নির্ধারকরা চাচ্ছেন আইভীর সঙ্গে সমঝোতা করে তৈমুরকে নিষ্ক্রীয় করতে। এর মাধ্যমে ভোটের রাজনীতিতে শামীম ওসমানকে পরাজিত করে ডা. আইভীকে চট্টগ্রামের মেয়র মঞ্জুর আলম বানাতে চায় বিএনপি।

নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতা জানান, আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেয়ে ডা. আইভীও এখন বিএনপি-জামায়াতের সমর্থন পেতে নানাভাবে চেষ্টা করছেন। তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে দল দু’টির উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেছেন। অবশ্য আইভীকে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী করার জন্য দলটির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা শুরু থেকেই চেষ্টা করছিলেন। এমনকি আইভীকে বিএনপিতে যোগদান করানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। তাছাড়া আইভীর পরিবারের একাধিক সদস্য সরাসরি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

আইভী নিজেও ২০০৪ সালে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন যা এখনো ওই অবস্থায়ই রয়েছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় অনেক নেতা মনে করেন, আইভীর কাছে এখন নিজের জয়-পরাজয় বড় কথা নয়, দল থেকে সমর্থন না পাওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে শামীম ওসমানকে পরাজিত করাই তার এখন প্রধান লক্ষ্য। তবে আওয়ামী লীগ এখনো ডা. আইভীকে ম্যানেজ করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ না থাকায় তাকে এখন নির্বাচনে নিষ্ক্রীয় রাখার নানামুখি চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।