আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নুরুল আলম আতিকের 'ডুবসাঁতার'

এতকিছু ... ওই সিনেমার জন্যই... একটি গল্পের চমৎকার গাঁথুনি অবশ্যই নির্মাতার গল্পবলার দক্ষতাকেই প্রমান করে। গল্পটির চিত্রায়ন সিনেমা হয়ে উঠবে এমন কোন কথা নেই। ডুবসাঁতার এ রেনুর গল্পটি নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার গল্প। একটি গল্প শুধু একজনকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যায় না। তার পরিপার্শ্ব থাকে।

নান্দনিক কিংবা নিন্দিত চারপাশ থাকে। ডুবসাঁতারের গল্পগত বুন শৈলী নান্দনিক। এটি অবশ্যই একজন সিনেমাকরিয়ের দক্ষতা ও মুন্সিয়ানার ছাপ। ডুবসাঁতারে রেনুর গল্প মানে শুধু রেনু একা নয়। তার চারপাশের মানুষগুলোকেও চমৎকার ভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।

রেনুর বালিকাবেলার বন্ধু ও ভাইয়ের চরিত্রটি ডে বর্তমানে অন্ধ, তাকে খুব চমৎকার ভাবে আনা হয়েছে। রেনুর অবাধ্য ছোটভাই, মধ্যবিত্ত পরিবেশ, রেনুর মা-- এ চরিত্রগুলোর উপস্থাপনা মেকি মনে হয়নি। খুবই স্বাভাবিক সাবলীল আর সহজ মনে হয়েছে। সিনেমার গল্প হবে শয়নভঙ্গিও মতো সহজ সরল স্বাভাবিক। একজন সিনেমা করিয়েকে এটা জানতে পারতে হবে।

ডুবসাাঁতারের বুনন সেকথাই মনে করিয়ে দেয়। তারপরও ...চিত্রকল্প। ডুবসাঁতার এর চিত্রায়ন যথেষ্ট নান্দনিক মনে হয়েছে। কিছু কিছু ছবি খুব চমৎকার ভাবে তোলা সম্ভব হয়েছে। এর চেয়ে ভালো আর সম্ভব নয়- এমন।

তবে এই ধারাবাহিকতাটি ধরে রাখার মত দক্ষতা একজন সিনেমা করিয়ের থাকতে পারতে হবে। কিছু কিছু দৃশ্য দেখে খুবই নিম্নমানের মনে হয়েছে। সিনেমা এখানে তার ভাষা হারিয়ে ফেলবার সংকটে পতিত হয়েছে। সিনেমাকরিয়ে’র পরিমিতিবোধ এখানে প্রশ্নবিদ্ধ। যদিও আমাদেরকে সিনেমানির্মনের মহাযজ্ঞ ও বিভিন্ন সীমাব্ধতার কথা মাথা রাখতে হবে।

নির্মানের নেশা যেটিকে ছাড়িয়ে গেছে। এবং ... সঙগীত। ডুবসাঁতারের আবহসঙগীত অনেকটাই হৃদয়ছোয়া এবং দৃশ্যের সাথে সঙগতিপূর্ণ। কিন্ত আপাদমস্তক এই টেলিফিল্মটিকে ইনজেকশনের মাধ্যমে তিন চারটি গান প্রবেশ করিয়ে এটিকে সিনেমা বানাবার চেস্টা করো হয়েছে। এই মতামতটিকেও উড়িয়ে দেয়া যায় না।

এটি একটি নাগরিক জীবনের গল্প এতে কয়েকটি লোকজ গান আনাটাকে দুই ভাবেই দেখা সম্ভব। নাগরিক জীবনে এটি আপ্রাসঙ্গিক ও ভাবা যেতে পারে। আবার এও ভাবা সম্ভব যে এই চরিত্রগুলোর বুকের গহীনে লুকিয়ে ছিল বাংলার আবহমান লোকজ উপাদানসমূহ। যিনি সিনেমা-দেখিয়ে তার চোখের প্রসারতা থাকতে হবে। একটি গতানুগতিক ও সুনির্দিষ্ট ভাবনার মধ্যে তাকে আটকে ফেলাটা বোকামী।

তাছাড়া ... অভিনয়। সিনেমার সবগুলি চরিত্রের কুশলী অভিনয়শিল্পিদেরকে নেয়া হয়েছে। যাকে যে চরিত্রে শতভাগ উপযক্ত মনে হয়েছে তাকেই সম্ভবত ডাকা হয়েছে। এটিও একজন নির্মাতার দক্ষতা। সিনেমার ভাললাগা দর্শকের রুচি, সংস্কৃতিবোধ ও স্বাদনির্ভর।

সুতরাং সবাই তার নিজের মতো করে সিনেমা দেখার ও ভালোলাগার দায়ভার বহন করুক। ফুটুক যার যার চোখের ফুল নিজের মতো করে। প্রধান চরিত্র : রেনু : জয়া আহসান রোকন : অশোক বেপারী রেহান : শাহরিয়ার শুভ মা, আয়েশা : ওয়াহিদা মল্লিক জলি চোর, পাখি : দেবাংশু হোর ড্রাগ অ্যডিক্ট, ইমরান : ধ্রুব পুনম : শ্রাবস্তী আদনান তিন্নি সানি : স্বাধীন খসরু মিথিলা : সুষমা সরকার রেনুর অফিস কলিগ১ : অপু কলিগ২ : কাকলি কলিগ৩ : শামিম ভিস্তি দিভিয়া : স্বাগতা ছোট রেনু : সাদনিমা ছোট রোকন : কুনাল তরম্নণী মা : মীনা পাড়ার মাসত্মান : শাহরিয়ার সজীব দোকানি : জুনায়েদ হালিম সংলাপ : মাতিয়া বানু শুকু সিনেমাটোগ্রাফি : রাশেদ জামান আর্ট ডিরেক্টর : লিটন কর সম্পাদনা : ইকবাল কবির জুয়েল সাউন্ড ট্র্যাক : ভিক্টর গান : জয়া, শেহজাদ, স্বাগতা, প্রদীপ কালারিস্ট : বিদ্যুৎ, মুভিওলা স্টিল : শেহজাদ, মুমিত, তুমান, রাজিভ প্রিন্ট ডিজাইন : সব্যসাচী হাজরা প্রযোজনা : ক্যাওস সেভেন চিত্রনাট্য ও পরিচালনা : নূরুল আলম আতিক  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.