আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অসুখী (১৮+)

গত বছর মার্চ মাসের দিকের কথা, শশ্বরবাড়ি মধুর হাড়ি, হাড়ি তলানী শূন্য করার প্রত্যয়ে নিয়ে বেশ আরাম আয়েশে শালা শালীকাদের নিয়ে মজার মজার দিন কাটছিল, অবশ্যই আমার মত ছোটখাট ব্যবসায়ির জন্য বেশি দিন বেড়ানো মোটেই আনন্দ দায়ক নয়, কিন্তু বউ য়ের কড়া হুকুম যেহেতু আমি মোটেই শ্বশুর বাড়ি আসতে চাই না, তাই কম করে হলেও পনেরো দিন থাকতে হবে, যারা সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করছেন, তারা হয়তো টের পাচ্ছেন বিয়ের আগে যেমন এদের মন পাওয়ার জন্য সারাক্ষন পিছু পিছু ঘুরতে হয়, বিয়ের পর ও তাদের পৃর্বেকার ওজনস্তর ঠিক রাখার জন্য সবসময় খবরদারী করে । আমার আবার বই পড়ার অভ্যাস, বই না পড়লে ঘুম আসে না, ব্যাগে সব সময় দুএকটা বই থাকে, দীর্ঘ মেয়াদী থাকার ফলে নিজের সব বই পড়া শেষ, শালা শালীর সংগ্রহ ও শেষ করে ফেলেছি , শেষের দিকের দিন গুলি তো আর কাটতেই চায় না, শালা শালীদের মনেও ভাটার অস্থিত্ব টের পাচ্ছি, ওদের তো পড়াশোনা আছে, কিন্তু আমার সেবা করতে রকতে তাদের জান ঝালাপালা হয়ে গেছে, ওদেরকে বললাম আমাকে যদি ভাল ভাল নোবেল বই এনেদিতে পার তাহলে সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যাব, বিকেলে দেখি আমার শালার মাথায় বিশাল বইয়ের বোঝা, খুশিতে মনটা ভরে উঠলো, বোঝা বহন বাবদ তাৎক্ষনিক ১০০টাকার একটা নোট তার দিকে এগিয়ে দিয়ে আমার ঘরে বই আনার জন্য বললাম, সবগুলি পুরাতন ও ময়লা, অনেকদিন কেউ ব্যবহার করেনি, এগুলি কোথায় থেকে এনেছো জিজ্ঞাসা করতেই ও যা বলল তা অনেক বেদনা দায়ক, তার বন্ধুর ভাবীর বই এগুলি, সে ছয়/সাত মাস আগে আত্নহত্যা করেছে, ভাই ও নতুন বিয়ে করেছে, কিন্তু ঘরে আগের স্ত্রীর স্মৃতি নতুন বউয়ের পছন্দ হচ্ছে না, তাই এগুলি বেধে রাখা হয়েছে কাগজ বিক্রেতার কাছে বিক্রি করার জন্য, আমার শালক বইয়ের কথা বলতেই তার বন্ধু এগুলি তার মাথায় উঠিয়ে আপদ গুলি বিদায় করে দিয়ে বেচে গেছে। আমার টেবিলের আগের বই গুলি স্থানানত্মর করে , শালকের নিয়ে আসা বই গুলি ঝেড়েমুছে সুন্দর সাজিয়ে রাখলো, কি কি বই আছে তা জানার জন্য , বই গুলি হাতিয়ে দেখলাম, বেশির ভাগই শরৎচন্দ্র ও র্শীষবৃন্দর বই, চারটি বই হুমায়ন আহমেদ এর এমদাদুল হকের দুটি প্রেমের উপন্যাস ও ছিল, প্রায় সব গুলিই আমার পড়া বই, সব গুলি নারাচারা করেই দেখি একটি ডাইরির মতো বাধানো সসত্মা খাতা, সুন্দর গুটি গুটি হাতের লেখা, মাঝে মাঝে বিভিন্ন টাকার হিসাব ও রাখা, এই বস্তুটি মালিকের যে একানত্ম প্রিয় পাত্র ও অমুল্য রতন ছিল, তা দেখলেই বোঝা যায়। বিছানায় গা এলিয়ে খাতাটি পড়তে শুরম্ন করলামঃ- আজ আমার জম্নদিন, ও আজো দেরি করে বাসায় ফিরে এসেছে, ওর জন্য আমি সেই কখন থেকে অপেড়্গা করে আছি, আমি জানি আমার জন্মদিন নিয়ে ওর কোন মাথাব্যথা নেই, প্রতিদিনের মতো রাত একটার সময় বাসায় ফিরবে। সারাদিন কত কল্পনা করলাম ও দেরি করে আসুক সমস্যা নেই, কিন্তু ও যদি রাতে এসে আমার কপালে একটি চুমো এটেদেয়, আমাকে জড়িয়ে ধরে পরম মমতায়, আমার যে কত ভাললাগবে, কিন্তু ওর এসব কোন অনূভূতি নেই, আমি এসব সুখ অনুভব করি আমার কল্পনায়, ও যদি আমাকে ওর বুকের ভিতর মুখ গোজার স্থান দিত, আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতো, কিন্তু ওর কাছাকাছি গেলেই ও মনে করে আমি যৌনাত্ব, খাতা দেখে দেখে টাইপ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে, এদিক দিয়ে চলে গেছে কারেন্ট,ব্যকাপ বেশী নাই, বাকী লেখা গুলি পরে আপনাদের শুনাবো  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।