আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকা বোর্ড: সেরা বিশে মহানগরীর ১৬ স্কুল

বোর্ডে গত তিন বছরের টানা শীর্ষস্থান ধরে রাখা রাজউক উত্তরা মডেল স্কুলকে পিছনে ফেলে এবার সেরা হয়েছে মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ স্কুলের ১ হাজার ১৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১৯৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে  ১ হাজার ৭৯ জন।
নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর শতকরা হার, শতকরা পাসের হার, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানের গড় জিপিএ- এই পাঁচটি সূচক মূল্যায়ন করে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করা হয়েছে। তাতে আইডিয়াল স্কুলের পয়েন্ট ৯৬ দশমিক ৭৫।


দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল, প্রতিষ্ঠানটির পয়েন্ট ৯৫ দশমিক ৬৭। এ প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৩৪১ জন পরীক্ষার্থীর সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ১৬৫ জন।
টানা তিনবারের সেরা রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৯৪ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে  রয়েছে তৃতীয় স্থানে। এ প্রতিষ্ঠানের  ৪৩০ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে  ৩৯২ জন।


চতুর্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, তাদের পয়েন্ট ৯১ দশমিক ১৬। এ প্রতিষ্ঠানের ৪৮৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭৫ জন। পাস করেছে সব শিক্ষার্থী।
উত্তীর্ণের হার শতভাগ নিয়ে যৌথভাবে পঞ্চম স্থানে থাকা মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ ও ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ।
প্রতিষ্ঠান দুটির অর্জিত মোট পয়েন্ট ৯০।

মির্জাপুর ক্যাডেটের  ৪৯ জন  এবং ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেটের ৪৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে ।
৮৯ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে মতিঝিল সরকারী গার্লস স্কুল ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩০৪ জন এবং ২৪৫ জন  জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল ৮৯ দশমিক ৩০ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে সপ্তম স্থানে। এ প্রতিষ্ঠানের ২৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১৭ জন।


৮৮ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে মতিঝিল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে অষ্টম স্থনে রয়েছে। এ স্কুলের ৩৬১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে  ২৬৮ জন।
নবম স্থানে রয়েছে হলিক্রস গার্লস হাই স্কুল , তাদের পয়েন্ট ৮৮ দশমিক ৩৩। এ প্রতিষ্ঠানের  ১৯৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭২।
৮৮ দশমিক ০৩ পয়েন্ট নিয়ে মাইলষ্টোন কলেজ দশম স্থানে রয়েছে।

এ প্রতিষ্ঠানের ৭৪৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭৪ জন।
ক্যান্ট পাবলিক স্কুল ময়মনসিংহ রয়েছে একাদশ স্থানে, তাদের পয়েন্ট ৮৭ দশমিক ৪৭ । এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৪৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৬ জন।
গভ. ল্যাবরেটরি স্কুল  ৮৭ দশমিক ২৩ পয়েন্ট পেয়ে দ্বাদশ স্থানে রয়েছে।

এ স্কুলের ২৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৯ জন। তিন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।
ত্রয়োদশ স্থানে রয়েছে সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তাদের পয়েন্ট ৮৭ । এ প্রতিষ্ঠানের ১৬৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছে, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৫ জন।
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ৮৬ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্দশ স্থানে রয়েছে।

এ স্কুলের ১হাজার ৩৬৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮১২ জন। অকৃতকার‌্য হয়েছে  দুইজন।
৮৬ দশমিক ৯০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চদশ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল । এ প্রতিষ্ঠানের ৬৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬২ জন।
মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল রয়েছে ষষ্ঠদশ স্থানে, তাদের পয়েন্ট ৮৬ দশমিক ৭০।

এ প্রতিষ্ঠানের ৩৪৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪৮ জন।
৮৬ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে ময়মনসিংহ বিদ্যামনি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়  রয়েছে সপ্তদশ স্থানে। এ প্রতিষ্ঠানের ৩০৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১৬ জন। অকৃতকার‌্য হয়েছে ১ জন।
টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ৮৬ দশমিক ২৯ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে অষ্টদশ স্থানে।

এ প্রতিষ্ঠানের ৩৫৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪০ জন।  অকৃতকার‌্য হয়েছে ৪ জন।
শহীদ বীর উত্তম লে. আনোয়ার গার্লস কলেজ ৮৬ দশমিক ২৪ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে ঊনবিংশ স্থানে। এ প্রতিষ্ঠানের ২১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৪ জন। পাস করেছে সবাই।


এছাড়া মতিঝিল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ৮৫ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে ২০তম স্থানে রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার ৩৩৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪০ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ছয়জন শিক্ষার্থী।
এবার মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ৮৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে এবার, যাদের মধ্যে ৮২ হাজার ২১২ জন অর্জন করেছে পূর্ণাঙ্গ জিপিএ।   
গত বছর মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ৮২ দশমিক ৩১ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে।

এবার পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ০৬ শতাংশ।
এবার ৮৫ দশমিক ৪১ শতাংশ ছাত্রী এবং ৮৭ দশমিক ২৭ শতাংশ ছাত্র পাস করেছে। ছাত্রীদের থেকে ছাত্রদের পাসের হার এক দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।
এ বছর মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় ৮৯ দশমিক ০৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ হাজার ২২৬ জন।

ফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে ১৮ দশমিক ১৪ শতাংশ পয়েন্ট।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.