আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পারসোনা- কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজছে এই অশান্তহৃদয়- পারলে উত্তর দিয়ে যাও মক্ষীরানি কানিজ কৃতজ্ঞতায় এক সময় ভালো STUDENT ছিলাম

আপাতত স্ট্যাটাস দেবার মত স্ট্যাটাস খুজছি .........ফেবুতে https://www.facebook.com/stimulators তে আছি । যেখানে টাকার লোভে মানুষ হারিয়েছে মনুষ্যত্ব, বিবেককে করেছে গৃহ বন্দি। আজ বুক উঁচিয়ে প্রচার করছে নগ্নতাই অশ্লীলতা নয়। এ শ্রেণীর মানুষই আজ নারীকে বানিয়েছে পণ্য। নারীকে নিয়ে করছে খেলা।

নারী স্বাধীনতার নামে নারীকে করছে মানসিক ও শারীরিক ভাবে বস্ত্রহীন। কানিজ আলমাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আজ নতুন নয়। এর আগেও অনেক অভিযোগ উঠেছিল কিন্তু ছিলো না প্রমান। আজ প্রমান মিলেছে মুখোশ খুলেছে এক মক্ষীরানি কানিজের। অনেকে বুঝে ফেলেছেন কেন লেখার বিষয়বস্তু কানিজ আলমাস।

নাহ কানিজ নয় ঘটনা মূলত তার প্রতিষ্ঠান “পারসোনা” নিয়ে। কি ঘটেছিলো পারসোনার বনানী শাখায়ঃ গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর, পারসোনার বনানী শাখার উদ্বোধন হয়। এরপর থেকে সৌন্দর্য পিয়াসী নারীরা এখান থেকে নিজেদের রাঙিয়ে নিতে থাকেন। গতকাল ঘটে একটি বিপত্তি। জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় বারডেম হাসপাতালের এক নারী চিকিত্সক পারসোনার বনানী শাখায় স্পা করাতে যান।

ওই ভদ্রমহিলা একটি বিশেষ কক্ষে স্পা করাতে চাইলে তাকে আলাদা একটি কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রথমে পোশাক পরিবর্তন করে নির্ধারিত পোশাক পরতে বলা হয়। পোশাক পরিবর্তন শেষে তিনি ওই কক্ষে একটি গোপন ক্যামেরা আবিষ্কার করেন। পরে ক্যামেরা সম্পর্কে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে পারসোনা কর্তৃপক্ষ একেক সময় একেক রকম কথা বলতে থাকেন। খবর পেয়ে নারী চিকিত্সকের স্বামী ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন।

পরে পারসোনা কর্তৃপক্ষ ও তাদের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল হয়। খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, ওই নারী চিকিত্সকের চাপের মুখে পারসোনা কর্তৃপক্ষ গোপন ক্যামেরার বিষয়টি স্বীকার করে। পরে রেকর্ডকৃত অংশটুকু নারী চিকিত্সককে দিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করে। পরে রেকর্ডকৃত অংশ একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে লোড করার সময় পারসোনার দুই পুরুষকর্মী তাদের নিজেদের পেনড্রাইভে নেওয়ার চেষ্টা করে।

পরে বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারী চিকিত্সকের স্বামী তাদের কাছ থেকে ভিডিওকৃত অংশটুকু নিয়ে নেয়। এরপর পুলিশ আসলে একটি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও কম্পিউটার হার্ডডিস্ক জব্দ করেন। পারসোনার মালকিন কানিজ আলমাস খান মিডিয়াকে জানান,‘একজন ইলেক্ট্রিশিয়ানের ভুলের কারনে সিসি ক্যামেরাটি সামান্য ঘুরে যায় ফলে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটে’ অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। “এটা হলো মোটামুটি ঘটনার সারসংক্ষেপ”। পুলিশের বক্তব্যঃ “ঘটনাস্থলে যাওয়া গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান, পুলিশ যাওয়ার আগেই পারসোনা কর্তৃপক্ষ ভিডিও ক্যামেরাটি খুলে ফেলে।

পারসোনার ভেতরে গোপন ক্যামেরার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ওই নারী এ ব্যাপারে অভিযোগ করলে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “ আমি ভাই এত কথা বুঝি না। আমার কথা যেখানে চোর পুলিশের চোখের সামনে আমার ঘর চুরি করছে সেখানে আমাকে আবার চোরের নামে নালিশ করতে হবে কেন?? কই আজ তো জগন্নাথ বা কোন দাবী আদায়ের আন্দোলন, বা তেল-গ্যাস নিয়ে কোন আন্দোলন হলে পুলিশ স্ব-প্রণোদিত হয়ে মামলা করে, তাহলে এমন একটি ঘৃণ্য কাজে কেন আবার অভিযোগ করতে হবে?? আজ যদি কানিজ আলমাস পুলিশ ও সকারের আমলাদের ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে কাল পুলিশ মাস্ট রিপোর্ট দিবে ভিডিও তে কিছু পাওয়া যায় নি। তখন আপনারা কি বলবেন?? কানিজ আলমাসের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ ছিলো।

কি অভিযোগ তা জানার আগে একটু কানিজ আলমাস সম্পর্কে জেনে আসি। সৌন্দর্য সচেতন, ফ্যাশনেবল নারীরা রূপচর্চা, মেকআপের জন্য পারসোনাকে স্টাইল আইকন মানেন। এর কর্ণধার কানিজ আলমাস ’বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড ২০০৯’ এর পাঁচজন সেরা ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্বের একজন। তিনিও বিজনেস আইকন হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তার এই বিজনেস আইকন হয়ে উঠার পিছনে শুধু পারসোনাই নয়, রয়েছে আরও হরেক রকম ব্যাবসা।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যারা পারসোনাতে সেবা নিতে যান তাদের নগ্ন বা অর্ধনগ্ন শরীর গোপনে ভিডিও করে ব্লাকমেইল করার। এ ছাড়া মধ্যবিত্ত পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের ফুসলিয়ে ও অর্থ লোভ দেখিয়ে বিত্তবানদের শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য করেন। সোজা বাংলায়, কল গার্ল সাপ্লাইয়ার। কাল তার কিছু মাত্র প্রমান মিলেছে। বিত্তবানদের ও সমাজের প্রভাবশালী দের সাথে উঠা বসার কারণে কেউ এসবের প্রতিবাদ ও করতে পারে না।

জানি না এখন পর্যন্ত কত গুলো মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে এই নব্য পর্ণ ব্যাবসায়ী। এবার আগের প্রসঙ্গে ফিরে যাই। গতকাল নিউজটি প্রচার হয় মূলত ফেসবুকে “বিকল্প মিডিয়া” নামক পেজ থেকে। এরপর সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সবাই খবরটি ছড়িয়ে দেয়। এরপর বিক্ষুব্দ মানুষ পারসোনার ফেসবুক পেজে এ ঘটনার তিব্র নিন্দা জানাতে থাকলে তারা সবার পোস্ট রিমুভ মারতে থাকে।

আমাকে তারা ব্যান করেছে। পরিশেষে ব্যাবসায়িক সম্মান রক্ষার্থে তারা পেজটি বন্ধ করে দেয়। মূলত এর মাধ্যমে তারা প্রমান করলো, পার্লারের ব্যাবসার আড়ালে তারা কি ব্যাবসা করছে?? আজকের অনেক পত্রিকায় সংবাদটি এসেছে। আমরা যখন আমাদের মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষার জন্য হিডেন ক্যামেরা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করছি তখনি জানা গেলো নারীদের একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে এমন ন্যাক্কারজনক কাজ চলছে। নারী হয়ে নারী দেহ নিয়ে ব্যাবসা করার এ কেমন খায়েস?? ব্লগার জিকসেস, পারসোনার ওয়ালে জানতে চেয়েছিলেন, //একজন ইলেক্ট্রিশিয়ানের ভুলের কারনে সিসি ক্যামেরাটি সামান্য ঘুরে যায় ফলে এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটে ।

- কানিজ আলমাস// তোমার কি ধারনা মানুষ ঘাষ খায়? ট্রায়াল রুমে সিসি ক্যামেরা থাকবে কেন? আর অন্য রুম থেকে ক্যামেরা ঘুরে ট্রায়াল রুমে আসবে? বিনিময়ে তাঁকে ব্যান খেতে হলো। কনজিউমার হিসাবে আমরা কি তোমাদের কাছে জবাব চাইতে পারি না?? ইলেকট্রিসিয়ানের ভুলের কারণে ক্যামেরা ঘুরে যাওয়ার বক্তব্যের আগে এটা বোঝা জরুরী, বস্তুত ক্যামেরাটিই ভুল জায়গায় ছিল। যদি এ ধরণের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাজনিত কারণে সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকে তবে তা এনট্র্যান্স বা প্রবেশ পথে, রিসিপশনে, ক্যাশ কাউন্টারে থাকতে পারে। একটি বিউটি পার্লারে স্পা কক্ষে অথবা পোষাক পাল্টানোর কক্ষে বা এর আশেপাশের কোন কোণে যে কোন ধরণের ক্যামেরা বসানোর উদ্দেশ্য কোনভাবেই শুভ নয়, তা সে ক্যামেরা যে দিক ঘুরিয়েই বসানো হোক না কেন। এরপর আসা যাক ক্যামেরা মনিটরিংয়ের বিষয়ে।

ইতিমধ্যে জানা গেছে, পারসোনার পুরুষকর্মীরা তড়িৎ ভিডিও ফুটেজ পেন ড্রাইভে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তাহলে ওই পুরুষ কর্মীরা কানিজ আলমাসের সেই তথাকথিত ’অনিচ্ছকৃত ভুল’ বিষয়ে ভালভাবেই অবগত ছিলেন। প্রতিষ্ঠিত ও অভিজ্ঞ নারী ব্যবসায়ি কানিজ আলমাস এই পোষাক পরিবর্তন কক্ষে বসানো ক্যামেরা মনিটরিংয়ের জন্য পুরুষকর্মী নিয়োগ দিয়ে নিশ্চিতভাবে আরো একটি ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ করেছিলেন। কিন্তু কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজছে এ অশান্ত হৃদয়-- এ ধরনের কয়টি ক্যামেরা বসানো পাওয়া গেছে পারসোনার বনানী ব্রাঞ্চে পোষাক পরিবর্তন কক্ষে বা স্পা কক্ষে? যেহেতু ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে ক্যামেরা বসানো হয়েছে এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে ক্যামেরা বসানো হয়েছে, তাহলে একাধিক ক্যামেরা বসানো থাকার কথা! ক্যামেরাগুলো কবে বসানো হয়েছে? ক্যামেরা ঘুরে গেছে তা এতো তাড়াতাড়ি কানিজ আলমাস নিশ্চিত হলেন কিভাবে? ক্যামেরা ইলেকট্রিসিয়ানের দোষেই ঘুরেছে এটাই বা কানিজ আলমাস নিশ্চিত করে বলছেন কিভাবে? তাহলে কানিজ আলমাস এটাও জানাক, ক্যামেরাগুলো ঠিক কবে ও কখন থেকে কত ডিগ্রী কোণে ঘুরে গেছে? যদি ক্যামেরা আজকের আগে ঘুরে গিয়ে থাকে, তাহলে তার কর্মীরা এখন পর্যন্ত কতগুলো আপত্তিকর ভিডিও ফুটেজ গোপনে সংগ্রহ করেছে, তাও কানিজ আলমাস আমাদের জানাতে পারেন। পারসোনার অন্যান্য ব্রাঞ্চগুলোতেও কি একই ধরনের কক্ষে ক্যামেরা বসানো আছে? সেখানকার ক্যামেরাগুলো কত ডিগ্রী ঘুরে আছে, তা কানিজ আলমাসের কাছে প্রশ্ন।

সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত নিরাপত্তাজনিত ফুটেজগুলো যে সব কর্মীরা পর্যবেক্ষণ করে, তাদের তত্বাবধান করে কে? নিরাপত্তাজনিত কারণে বসানো সিসি ক্যামেরা দিয়ে ধারণকৃত ভিডিও রেকর্ডগুলো কি পরবর্তীতে নিয়মিত/অনিয়মিতভাবে রিভিউ হতো? কে রিভিউ করতো? পোষাক পরিবর্তন রূমের আশেপাশে থাকা সিসি ক্যামেরায় আসলে কি ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হতো পারসোনার? উত্তরগুলো সন্তোষজনক না হলে বুঝতে হবে, পারসোনা ’ইচ্ছাকৃতভাবে’ এ ধরণের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছে। তাহলে সরল প্রশ্ন- কী করা হতে পারে এইসব ভিডিও ফুটেজ দিয়ে? উত্তরটা অবশ্য ভয়াবহ। এইসব ভিডিও ফুটেজ অবধারিতভাবে পর্নগ্রাফি হিসেবে সরবরাহ হয়। তবে এ কথা মনে রাখতে হবে, এই ধরনের অপরাধী যে শুধু পারসোনা তা ভাবা ভূল হবে। অনন্য পার্লার গুলো নিশ্চয় এমন হীন কাজ করতে পারে।

বাংলাদেশের মিডিয়া কখনোই এসব প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে যায় না, তাই সংবাদ গুলো বিস্তারিত না আসাই স্বাভাবিক। আপনি আপনার প্রিয় জনদের সচেতন করুন। তা না হলে কোনদিন হয়তো আপনার প্রিয়জনের নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার খবর আপনাকে শুনতে হতে পারে। আমাদের দাবীঃ পুলিশ প্রশাসনকে এখনি পারসোনার সকল আউটলেট সিজ করে তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হোক। দেশের সকল বিউটি পার্লার সার্চ করা হোক।

এ ক্ষেত্রে সকল বিউটি পার্লারকে সম্ভাব্য অপরাধী মনে করতে হবে। পারসোনার ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। নাহ আমরা কোন কানামাছি বা বৌছি খেলার মতো রঙ্গ করতে নামিনি। আমরা আজ কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষের শাস্তির বিধান নিশ্চয়তার দাবী নিয়ে এসেছি। নাহলে আবার শহীদ মিনার আমাদের ডাকছে, এ কথা মাথায় রাখতে হবে।

এই বিষয়ক আরো একটি লিঙ্ক ব্লগার অগ্নিলার পোষ্ট পেইজ এর লিঙ্ক পারসোনার ফেইসবুক গ্রুপটা ভক্ত দের ভালবাসার প্রশ্নের মুখে ছ্যাড়াবেড়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হবার আগে সে পেইজটি দেখতে এরকম ছিল আমার কথা - আসলে আমরা এখন কাকে বিশ্বাস করবো আমাদের আশেপাশের মানুষ গুলোর সবার প্রকৃত মুখোশ কবে এভাবে উন্মোচিত হবে ?? সেই অপেক্ষায় থাকলাম ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.