আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উল্টো ভর্তুকি দিচ্ছে বাংলাদেশ

উন্নত দেশে ব্যক্তি স্বাধীনতা " ট্রানজিটের পোস্টমর্টেম " হিসেবে এর আগে লিখেছিলাম, লেখাটি এইখানে এই ধরনের গুরুত্ব পূর্ণ সিদ্দান্ত একক ভাবে না নিয়ে যে কোন সরকারের প্রতমে অবশ্য ই উচিত জনমত যাচাই করা। জনমত যাচাই যদি ৫০-৫০ হয় বা ৪০-৬০ হয় বা এমনকি ৩০-৭০ ও হয়; এর পরবর্তী পর্যায়ে পূর্ণ সংসদ অধিবেশনে দীর্ঘ বিতর্ক হওয়া উচিত। বর্তমানে সাত কোটি মোবাইল ফোন এর বাংলাদেশে মোবাইল ফোন এর ক্ষুদে বার্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই অনেকটা তাৎক্ষনিক জনমত যাচাই করে নেয়া যায়। এর পরবর্তী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। এখন বিডিনিউজ২৪ডটকম এ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ডিশটিঙ্গুইশড ফেলো জনাব দেবপ্রিয় জানাচ্ছেন," বাংলাদেশের নৌযানগুলো জ্বালানির ক্ষেত্রে ভর্তুকি পায়, দূষণের জন্য কোনো ফি দিতে হয় না তাদের।

" সুতরাং আমি যতটুকু বুঝতে পারছি। ভারতীয় পন্য নৌযানের মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে পৌঁছানোতে নৌযানকে যেহেতু ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে, তার মানে বাংলাদেশ উল্টো টাকা দিচ্ছে। তিনি আরও জানান, (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বৃহস্পতিবার বলেন,) "ভারতীয় কার্গোর জন্য ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট ফি তো দূরের কথা এ সেবায় বাংলাদেশের যে ব্যয় হচ্ছে তাও পুষিয়ে নিচ্ছে না সরকার। " বিস্তারিত বিডিনিউজ২৪ পাওয়া যাওয়া উচিত ছিল, কিন্তু খুঁজে পেলাম না বিধায় ইচিঠিতে আসা খবরটি নিচে দিলাম। ফি না নিয়ে উল্টো ভর্তুকি দিচ্ছে বাংলাদেশ: দেবপ্রিয় Thu, Sep 29th, 2011 7:46 pm BdST Dial 2000 from your GP mobile for latest news শেখ শাহরিয়ার জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ভারতকে ট্রান্সশিপমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফি তো নিচ্ছেই না, বরং ভর্তুকি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বৃহস্পতিবার বলেন, "ভারতীয় কার্গোর জন্য ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট ফি তো দূরের কথা এ সেবায় বাংলাদেশের যে ব্যয় হচ্ছে তাও পুষিয়ে নিচ্ছে না সরকার। " ভারতের কলকাতা থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম বাণিজ্যিক চালান মঙ্গলবার আশুগঞ্জ-আখাউড়া হয়ে ভারতের ত্রিপুরায় যায়। এ চালানের জন্য কোনো ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট ফি দেওয়া হয়নি বাংলাদেশ সরকারকে। তবে চালান পৌছে দেওয়ার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গাল্ফ ওরিয়েন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মাহফুজ হামিদ মঙ্গলবার বলেন, পণ্য পরিবহন এবং নৌ বন্দর ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার বিনিময়ে এবার প্রতি টন পণ্যের জন্য ৫০ ডলার করে পাচ্ছে বাংলাদেশ। ১০০ টন গ্যালভানাইজড ইস্পাতবাহী চার ট্রাকের এই বহরটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আখাউড়া-আগরতলা সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ডিশটিঙ্গুইশড ফেলো দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশের নৌযানগুলো জ্বালানির ক্ষেত্রে ভর্তুকি পায়, দূষণের জন্য কোনো ফি দিতে হয় না তাদের। এরপর তিনি প্রশ্ন তোলেন, "ভারতের এক অংশ থেকে আরেক অংশে কার্গো পরিবহনের জন্য ভারতকে আমরা একই ভর্তুকি কেন দিচ্ছি?" সরকার স্ববিরোধী ফি ছাড়া ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে সরকার তারই একটি কমিটির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেন দেবপ্রিয়। ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরিতে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানকে প্রধান করে একটি কমিটি করেছিল সরকার। দেবপ্রিয় বলেন, "নৌপথে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য ফি নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলো ওই কমিটি। কিন্তু সরকার এগুলো বিবেচনায় নিয়েছে বলে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।

" ভবিষ্যতে অসুবিধা হবে কার্গোর ওপর ফি আরোপ না করে সরকার একটি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যা ভবিষ্যতে [ভারতের সঙ্গে] আলোচনার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দেবপ্রিয় সতর্ক করে বলেন, "ট্রানজিটের জন্য ফি নির্ধারণে আলোচনা হলে সেখানে বর্তমান অবস্থাকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হতে পারে। " "আসলে সরকার বারবার তার অবস্থান বদলে ইতিমধ্যে কিছু ক্ষতি করে ফেলেছে। " ২০১০-১১ অর্থবছরের বাজেটে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের ক্ষেত্রে প্রতি কন্টেইনারের জন্য ১০ হাজার টাকা এবং ভারী পণ্যের ক্ষেত্রে প্রতি টনে এক হাজার টাকা ফি নির্ধারণের প্রস্তাব এবং ভারতের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা ট্রানজিট ফি আদায় হয়েছিলো। তবে পরে ওই ফি তুলে নেওয়া হয়।

মন্ত্রী বনাম উপদেষ্টা ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট সেবার বিনিময়ে বাংলাদেশের মুনাফা করা উচিত হবে না- এ ধারণাটি এসেছে প্রধানমন্ত্রীর দুই উপদেষ্টার কাছ থেকে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান গত মার্চে বলেন, ট্রানজিট বা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে ফি নেওয়া উচিত হবে না। এর তিন মাস পর তিনি বলেন, ট্রানজিট ফি নির্ধারণ কৌশলে 'যৌক্তিক মুনাফা'র একটি বিধি যুক্ত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এপ্রিলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রানজিটের জন্য ফি চাওয়ার অধিকার বাংলাদেশের রয়েছে। "তবে এর পরিমাণটা হতে হবে যোগযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয়িত অর্থের সমপরিমাণ।

" তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি মে মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ট্রানজিটের বিনিময়ে প্রতিবেশি দেশগুলোর সাশ্রয়ের অংশ বাংলাদেশের পাওয়া উচিত। সরকার শুধু অবকাঠামো ব্যয় তুলে আনাটা অর্থহীন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ট্রানজিট থেকে মুনাফা অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে গতবছর বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "কোনো ফি ছাড়া আশুগঞ্জ-আখাউড়া দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্ট সরকারের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। " আশুগঞ্জ নৌবন্দর দিয়ে কলকাতা থেকে ত্রিপুরায় পণ্য আনা-নেওয়ায় ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা ভারত চেয়ে আসছে ১৯৮০-এর দশক থেকে।

গত মে মাসে এ বন্দরকে দ্বিতীয় ট্রান্সশিপমেন্ট কেন্দ্র করা হয়। গত ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে দুই দেশের মধ্যে ট্রানজিটের সম্মতিপত্র বিনিময়ের কথা থাকলেও তিস্তা চুক্তি স্থগিত হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। অবশ্য ৭ সেপ্টেম্বর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, ট্রানজিট বাস্তবায়নে সব আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত শেষ করার জন্য দুই দেশের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।