আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রখ্যাত আলেম মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী যুদ্ধাপরাধী নাকি আওয়ামী যুদ্ধাপরাধীর স্বীকার?অভিযোগ কি বলে?

আমাদের এলাকার পাশের এলাকার আজগরদা। একাধারে কট্রর আওয়ামীলীগার ,চাদাঁবাজ থেকে তুই মানুষ না তুই আওয়ামীলীগ টাইপের যা হয় আর কি এবং ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা। ৯৬ এর ক্ষমতা বদলের সাথে সাথে আজগরদা ও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়। এই আজগরদার সামনে এলাকার আরেক মাস্তান আওয়ামীলীগার সাঈদীকে গালি দিলে আজগরদা ঐ আওয়ামীলীগারকে গালি দিয়ে জনা বিশেক মানুষের সামনে চায়ের দোকানে যা বলেছিল সেটা হচ্ছে ,ভাল মানুষকে ভাল মানুষ বলতে হয়। সাঈদী জামাত করে ঠিকাছে কিন্তু সাঈদীর মত জ্ঞানী আলেম কমই আছে ।

সেদিন চায়ের দোকানে উপস্থিত প্রায় ২০জন লোকই সমর্থন দিয়েছে আজগরদা কথার অথচ অন্যকোন কথা হলে আজগরদার কথায় সমর্থন দেওয়াতো দূরে থাক শোনেনি এমন ভানই করত। সাঈদী বিদ্ধেষ: কট্রর আওয়ামীপন্থী অনেকেও সাঈদীর মাহফিলে যায় শুধু তাই নয় সাঈদীর ওয়াজ বাসায় সবাইকে নিয়ে শুনে এমন অনেক পাবলিক আছে । প্রগতিশীল ধ্বজ্বাধারী শাহরিয়ার কবির গং এবং এই যুগের একদল তরুন-তরুনী যারা বিশেষ কিছু ব্যাক্তি বিশেষের অন্ধ ভক্ত তারাই সাঈদী বিরোধী। যারা কখনো সাঈদী সম্পর্কে না জেনেই বিশেষ ব্যাক্তিদের কথা শুনেই সাঈদী বিদ্ধেষী হয়ে গেছে এমনটাই অভিযোগ অনেকের । সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ কি কি : যুদ্ধাপরাধীদের বিচার টাইবুন্যাল কিংবা মানবতা বিরোধী বিচার টাইবুন্যালে সরকারী পক্ষ সাঈদীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো এনেছে সেগুলোর অন্যতম হচ্ছে: ***মাওলানা সাঈদী যুদ্ধের সময়ে কোনো এক তারিখে, কোনো এক সময়ে, কোনো এক স্থানে ৪০ জনকে হত্যা করেছেন কিন্তু সু নির্দিষ্ট কোন তারিখ,স্থান কাদের হত্যা করা হয়েছে কোথাও উল্লেখ নেই।

প্রচলিত কিংবা যেকোনো আন্তজাতিক আইননুসারে কোন আসামীর বিচার করতে হলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হয়। একজন মানুষ একই এলাকায় একই সময়ে ৪০জনকে হত্যা করেছে কিন্তও কারো নাম কিংবা কোন যায়গায় হত্যা করেছে তা জানা যায়নি এর চাইতে হাস্যকর কি হতে পারে ? ***৭১-এর ২৫ মার্চের পরে ১৬ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত যে কোনো দিন সাঈদী অমুক ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন। এই অমুক ব্যাক্তিটা কে সেটা কিন্তু লেখা নেই কোথাও। এই অমুক ব্যাক্তিটির কথা জানা হলো কিভাবে?যে সাক্ষীর ৪০বছর পরও খুনের ঘটনা মনে আছে সে সাক্ষীর যে খুন হয়েছে তার নাম মনে নেই এটা সম্পূর্ন অস্বাভাবিক একটা ব্যাপার। ****অভিযোগে বলা হয়েছে সাঈদী ধর্ষন করেছে কিন্ত কাকে কোথায় করেছে সেটার কোন উল্লেখ নেই।

কেউ যখন কারো বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ আনে তখন প্রচলিতে আইনে ভিকটিমের নাম থাকা আবশ্যক একটি ব্যাপার। সাঈদীর বিরুদ্ধে টাইবুন্যালে আনা সব অভিযোগের (এখন পর্যন্ত) নির্দিষ্ট কোন ভিওি নেই। সাঈদীর ১৯৯৭ সালের সেই চ্যালেঞ্জ এবার দেখা যাক আদালতও টাইবুনালের পক্ষের আইনজীবির কথপকথন: প্রসিকিউশনের পক্ষে সৈয়দা হায়দার আলী বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, কোত্থেকে শুরু করব। আইন ও বিধি সবকিছুই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, যেখান থেকে ইচ্ছা সেখান থেকেই শুরু করুন। সৈয়দ হায়দার বলেন, সাক্ষীদের বক্তব্য থেকেই অভিযোগ করা হয়েছে। তারা যা বলেছেন আমরা তাই উল্লেখ করেছি। এরপরও অপরাধ প্রমাণিত না হলে আমাদের কিছু করার নেই। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনারা অভিযোগপত্রে স্থানের নাম উল্লেখ করেছেন।

কিন্তু তাতে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। অভিযোগপত্রে গ্রামের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এ গ্রামটি কোন ইউনিয়ন বা কোন থানার অধীনে তা বলেননি। বলেছেন, পিরোজপুরের অমুক গ্রাম। সৈয়দ হায়দার এর বিরোধিতা করেন।

তিনি বলেন, না অভিযোগপত্রে সুনির্দিষ্টভাবেই বলা হয়েছে। এ সময় তিনি আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র থেকে ট্রাইব্যুনালকে পড়ে শোনান। এতে একটি ঘটনার উল্লেখ করতে গিয়ে পিরোজপুরের পাড়েরহাট মহকুমার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও থানার উল্লেখ নেই। একইভাবে পিরোজপুরের বাগমারা গ্রাম ও নলবুনিয়া গ্রামের কথা বলা হলেও দেখা যায় থানার কথা উল্লেখ নেই।

এ সময় সুনির্দিষ্টভাবে স্থানের নাম উল্লেখ না করার বিষয়টি স্বীকার করেন সৈয়দ হায়দার। ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি বলেছেন যে, ’৭১-এর ২৫ মার্চের পরে ১৬ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত যে কোনো দিন সাঈদী অমুক ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন। এটা কেমন কথা। নির্দিষ্টভাবে তো সময়ের উল্লেখ করেননি। সৈয়দ হায়দার উত্তেজিতভাবে বলেন, ওই সময় যে মারা গেছে নির্দিষ্টভাবে সেই বলতে পারত যে, ‘আমি এই দিন মরলাম।

’ ট্রাইব্যুনাল বলেন, আপনি উত্তেজিত হচ্ছেন কেন? সৈয়দ হায়দার বলেন, না, আমি উত্তেজিত হচ্ছি না। এতদিন পরে এর চেয়ে সুনির্দিষ্টভাবে সময়ের উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, যেমন—স্বামীর সামনে এক স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে, বা মায়ের সামনে ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই স্বামী অথবা মা কি পারে সময়ের হিসাব রাখতে? তারা ঘটনাটি মনে রেখেছে যে, ওই সময়ের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। সৈয়দ হায়দার আরও বলেন, আমরা যে প্রমাণপত্র দিয়েছি, তা অপনারা গ্রহণ করতে পারেন, আংশিক গ্রহণ করতে পারেন, নাও গ্রহণ করতে পারেন, আবার পুরোটাও ফেলে দিতে পারেন—সেটা আপনাদের ব্যাপার।

কিন্তু আমরা চেষ্টা করেছি অপরাধ প্রমাণের। বাংলাদেশের আইন অসম্পূর্ণ হলে সঙ্গতিপূর্ণ আন্তর্জাতিক আইন গ্রহণের ব্যাপারে তাজুল ইসলামের বক্তব্য প্রসঙ্গে সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, হ্যাঁ, আন্তর্জাতিক আইন মানতে তো বাধা নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন। --আমার দেশ। ভাল করে বোল্ড করা অংশ খেয়াল কইরা : এ সময় সুনির্দিষ্টভাবে স্থানের নাম উল্লেখ না করার বিষয়টি স্বীকার করেন সৈয়দ হায়দার।

আওয়ামলীগ যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে বিএনপিকে দূর্বল করার কৌশলে জামাতকে টার্গেট করেছে সেটা স্বীকার করার সময় মনে হয় এসে গেছে। নোট: এইখানে এখন সাঈদীর বিরুদ্ধে অনেক জনকন্ঠ টাইপের প্রমান হাজির হবে । আরে পোষ্টে না দিয়ে মুড়ি খেতে খেতে টাইবুন্যালে নিয়ে যা ভাই তাইলে বিচার করতে সুবিধা হবে । নোট ২: ভাচুর্য়াল জগড়ে হাতি ঘোড়া না মেরে যাদের কাছে প্রমাণ আছে তাদের উচিত টাইবুন্যালে গিয়ে প্রমানগুলো সাবমিট করা। এতে সাঈদী যদি অপরাধী হয় তাহলে সেটা প্রমাণে সহায়ক হবে ।

না হয় এইসব হাতি ঘোড়া টাইপের চিল্লাচিল্লির কোন দাম নাই  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.