আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা

এসো আবার চড়াই উৎড়ই.......... বাঙ্গালীর রক্তস্রোতে যদি কিছুটা গ্রীক রক্তের ধারা থাকত তবে হয়ত ঈশপের নীতিগল্পগুলো এমনিতেই অস্থি-মজ্জ্বায় মিশে যেত, দূর্ভাগ্য বাঙ্গালীর জিনেটিক্যালী তাতো পায়নি বরঞ্চ চাপিয়ে দেওয়া ধর্মিয় রীতিনীতির যথেচ্ছ অপব্যবহারে আজ তারা পথভ্রষ্ট উঠান খাশি ছাড়া আর কিছু নয়। পাঠা হলেও একটা কথা ছিল মায়ের সেবায় নিজেকে বিলীন করার আগে ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি করে নিত। খাশিদের নপুংসকতা শতাব্দির পর শতাব্দি চলতেই থাকবে। নিষ্ফল হাহাঁকারে ছাগীদের উপর চেপে বসার চেষ্টায় মত্ত হবে আর চড়ে বেড়াবে উঠানময়। এই খাশি তৈরীর প্রক্রিয়াটিও একটি সুবিশাল ইতিহাস মন্ডিত দীর্ঘ প্রশিক্ষনে সূচীবদ্ধ।

খাশি তৈরীর প্রক্রিয়াটিকে কয়েকটিভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. সাধারণ খাশি তৈরীর পদ্ধতি। ২. ধর্মীয় খাশি তৈরীর পদ্ধতি। ৩. উন্নত জাতের সংকর খাশি তৈরীর পদ্ধতি। ৪. সামরিক খাশি তৈরীর পদ্ধতি।

৫. বিদেশী খাশি তৈরীর পদ্ধতি। ভূমিকা খাশি তৈরীর কারখানায় প্রবেশের পূর্বে একজন বাচ্চা ছাগল মায়ের গর্ভ থেকে প্রশবিত হওয়ার পর মুহূর্ত হতেই ছাগলটির গলায় দড়ি পরানোর প্রক্রিয়া চলতে থাকে। আর এর জন্য সামাজিক রীতিনীতি সহকারে চোখ রাঙ্গানো, ধমক, চড়-থাপ্পর, মাতৃদূগ্ধ বঞ্চিতকরণ, নকল নিপ্পলে টিনজাত ভেজালভোগে অভ্যাস তৈরীকরণ, আসল দুগ্ধের উৎস ধারায় প্রাক্তণ খাশিদের স্থাপন, সীমানা পেরিয়ে সীমানা তৈরীকরণ, ছাগলের বাচ্চাটি একদিন যখন ম্যাঁ ম্যাঁ করে উঠে তাকে ধর্মীয় মন্ত্র মুখস্ত করতে পাঠানো হয় বিভিন্ন প্রাক্তণ খাশিদের কাছে, ছাগলা দাড়িঁ খাশি, পৈতাধারী খাশি, জোব্বা পড়া খাশি, ক্রুশধারী খাশি। ছাগলের বাচ্চারা এই সমস্ত প্রক্তণ খাশিদের কাছে গিয়ে বেত্রাঘাত সহণশীলতা তৈরী করে এবং বিদেশী ম্যাঁ ম্যাঁ ডাক অনুকরণ করতে শিখে, নিওরণ হয়ে পড়ে কলাপসড এবং ছাগলা ব্রেণে রূপান্তরিত হয়ে এই সমস্ত ছাগলের বাচ্চারা প্রবেশ করে দীর্ঘ খাশিয়িতকরণ প্রক্রিয়ার মূল পদ্ধতিসমূহে এক্ষেত্রেও দড়ি বেঁধে প্রক্তণ খাশিরা যাচাই করেণ কোন বাচ্চাটিকে কোথায় দিবেন। নিম্নে খাশি তৈরীর পদ্ধতিসমূহ বর্ণনা করা হলঃ ১. সাধারণ খাশি তৈরীর পদ্ধতিঃ অল্পকিছু ভাগ্যবান ছাগলের বাচ্চা এই পদ্ধতিতে খাশি হয়ে সীমাবদ্ধ উঠানে বিচরণের সুযোগ পায়।

এখানকার খাশিদের আঞ্চলিক ভাষায় ম্যাঁ ম্যাঁ ডাক শিখানো হয়। অনেক পুরোনো হলেও কিছু বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব(!!!), কিছু ধর্মীয়-অধর্মীয় নীতিজ্ঞান, সামাজিকতা-অসামাজিকতা মুখস্ত করার সুযোগ এখানকার ভবিতব্য খাশিরা পেয়ে থাকেন, এখানকার প্রাক্তন খাশিদের নতুন খাশি তৈরীর জন্য ব্যাপক সমারোহ, উৎসাহ-উদ্দীপনা চোখে পড়ার মত, এটি খাশি তৈরীর সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান, এখানকার খাশিরা একসময় বিভিন্ন ভাষায় ম্যাঁ ম্যাঁ করতে পারে। বহুযুগ পর পর শিয়াল পন্ডিতদের অবস্থান ও ইচ্ছানুযায়ী এখানকার খাশিদের পাঠ্যসূচীতে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। এখানকার প্রক্তণ খাশিরা বিভিন্ন সামাজিক-অসামাজিক, ধর্মীয়-রাজনৈতিক, আর্থিক ও অনৈতিক কার্যজ্ঞান নিজেদের চরিত্রে সন্নিবেশিত করে ভবিতব্য খাশিদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকেন। ২. ধর্মীয় খাশি তৈরীর পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিতে খাশি হয়ে থাকেন বিভিন্ন বয়োজ্যাষ্ঠ খাশিদের ইশ্বর নামক নিরাকার বস্তুটির প্রতি উৎসর্গস্বরূপ কিছু ছাগলের বাচ্চা, কিছু এতিম-যারজ ছাগলের বাচ্চা, কিছু অত্যন্ত ক্ষীণ ও স্বল্প লোমের প্রক্তণ খাশিদের উত্তরসূরীরা এবং সাধারণ খাশি তৈরীর পদ্ধতি ও বিভিন্ন খাশি তৈরীর পদ্ধতি হতে ঝঢ়ে পড়া ছাগলের বাচ্চারা।

এই খাশি তৈরীর পদ্ধতির মূলমন্ত্র হচ্ছে শাস্তি ও পুরস্কার, জীবদ্দশায় শাস্তি এবং মৃত্যুর পর পুরস্কার, এখানকার প্রাক্তণ খাশিরা দাড়ি, পৈতা, ক্রুশ, গেরুয়া এবং ইশ্বর খুবই পছন্দ করেন, তাহাদের বিশ্বাস সমগ্র খাশিজাতিকে মৃত্যু পরবর্তি সময়ে ইশ্বর ঊনসত্তরখানা করে ছাগলিঙ্গ প্রদান করবেন জীবদ্দশায় লিঙ্গ না দেওয়ায়। এখানকার ভবিতব্য খাশিরা বিভিন্ন বিচিত্রতায় কিঁচিরমিচিঁর করে ম্যাঁ ম্যাঁ এর পরিবর্তে তাহাদের পাঠ্যসূচীতে একমাত্র পাঠক্রম হইল বিশ্বাস। "তোমরা প্রাক্তণ খাশিদের লিঙ্গহীণতায় বিশ্বাস রাখ, তোমার অধিকারে সমস্ত ছাগীদের ছালা দিয়া ঢেকে রাখ, তোমার খাশি জীবণ শুধুমাত্র মহাণ ছাগঈশ্বরেরই জন্য, সবার উপরে ছাগঈশ্বর সত্য তাহার উপরে নাই, নিশ্চয়ই ছাগঈশ্বর সর্বজ্ঞ ও সর্ব জ্ঞমতার অধিকারী, তিনি সমস্ত ছাগীদের তোমাদের সম্পত্তি করেছেন, সমস্ত অন্যায়ই তিনি একসময় জ্ঞমা করবেন। " পরম করুণাময় ছাগঈশ্বরের নামে সমস্ত ছাগীমাতাদের ধর্ষণ কর, ইহার নামই জিহাদ, মধ্যম ছাগনমঃ গচ্ছামী। ৩. উন্নতজাতের সংকর খাশি তৈরীর পদ্ধতিঃ ইহাতে আসিতে পারেন সেই সমস্ত ছাগলের বাচ্চারা যাহাদের লোমের ঘনত্ব কিছুটা বেশী, এই পদ্ধতিতে খাশি তৈরীর প্রক্রিয়াটি একটু বৈচিত্রময়, এখানে কারখানাভেদে খাশিদের পাঠ্যসূচীতে কিছুটা ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়।

এখানকার খাশিরা কিছুটা প্রগতি ও অগতি ধারন করেন, তাহারা বিভিন্ন সংস্কার ও অসংস্কারের মাঝে নিমজ্জ্বিত থাকেন, ইখানকার ছাগলের বাচ্চাদের ক্রমান্বায়ে খাশি হয়ে উঠাটা ভবিতব্য খাশি মাতাদের আন্দোলিত, অহংকারী ও রোমাঞ্চিত করে, এখানকার খাশি হয়ে উঠাটাকে তাহাদের মাতারা ছাগ সোশ্যাল প্রেস্টিজিওয়াস ইগো তৈরীর শিং মনে করেন। ইখানকার প্রাক্তণ খাশিরা ছাগ সোশ্যালে যথেষ্ট আর্থিক মর্যাদা আদায় করিয়া থাকেন এবং বিভিন্ন যন্ত্র-পাতি ও কৌশলের মাধ্যমে ইকেকখানা সুযোগ্যবত খাশি তৈয়ারী করেন, ইখানকার খাশিরা যন্ত্র-পাতি ও কৌশলে এতাটাই নিমজ্জ্বিত যে তাহাদের পাঠ্যক্রমের ভারে তাহারা প্রায়শঃ অজ্ঞান হইয়া পড়েন। ইখানকার ভবিতব্য খাশিদের সর্ব্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন শাস্তি ভবিতব্য খাশি-মাতা কলিং, আউট অব ক্লাশ অথবা পরিমল বাবুর বেডরুম। ৪. সামরিক খাশিকরণ পদ্ধতিঃ যথেষ্ট যাচাই-বাছাই ও যৌণ নির্যাতনের পর একেকটি ছাগলের বাচ্চা তাদের সামরিক খাশিকরণ প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত করে, অত্যন্ত্ শৃংখ্যলিত এই খাশিকরণ পদ্ধতিটি জাতীয় বাৎসরিক খাশিকরণ প্রক্রিয়ার প্রায় সম্পূর্ণ আর্থিক সুবিধাটুকু আদায় করে থাকে। ডাইনিং হতে পয়ঃনিষ্কাশন পদ্ধতির সম্পূর্ণটুকুর ব্যায়ভারই শিয়াল পন্ডিতেরা এই পদ্ধতির পিছনে ব্যয় করেন।

এই খাশিকরণ প্রক্রিয়ায় একজন ভবিতব্য খাশি শিংকে আরও শাণিতকরণসহ নানাবিদ ছাগীয় ও খাশিও প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত হয়। একজন সামরিক খাশি নেভার ক্যান বি ডিফিটেড মন্ত্রে দিক্ষীত হয় এবং প্রাক্তণ খাশিদের কেটে যাওয়া লিঙ্গ চোষণে নিজেদের ব্যপৃত করে। ইখানকার প্রাক্তণ খাশিরা কড়া-নিয়ম কাণুনে নানান ব্যাজ ও মেডেলধারী ছাগচর্ম পরিধান করে কারখানা পরিচালনা করেন, ইহারা প্রায়শঃই নানান অস্ত্রীয় কর্মকান্ডে নিজেদের শিং প্রদর্শন করেন এবং শিংয়ের গুতাঁয় সমগ্র খাশি সমাজকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন। ইহারাও আজকাল শাখায়িত খাশিকরণ প্রক্রিয়ার আওতায় আসছেন। আখানকার ভাগ্যবান ছাগলের বাচ্চারা উচ্চস্বরে ম্যাঁ ম্যাঁ করতে পারে, ইখানকার প্রাক্তণ খাশিদের শিং অন্যান্য খাশিদের চেয়ে কিছুটা লম্বা ও মোটা হয় তাহাদের নিওরণ কোষের ট্রাফিক জ্যামের কারণে।

৫. বিদেশী খাশিকরণ পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিটি কিছুটা আধুনিকায়িত ও ডিজিটাল। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন শিয়ালের বাচ্চাকে খাশি করা হয়। ইদানিংকার কারখানাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কাম ও মস্তিষ্ক উদ্দীপক যন্ত্রাদি ও ওৗষুধপত্র সেবনের নিয়ম-নীতিও শিখানো হয়। এই প্রক্রিয়াতে একেকটি খাশি একেকটি সম্পূর্ণ খাশি হয়ে বের হয়ে আসে। ইহাদের শিং বলে কিছু থাকে না, কারণ ইহারা তাহাদের শিংকে যৌনাঙ্গে প্রতিস্থাপিত করিয়া থাকে।

এখানকার প্রাক্তণ খাশিরা বিভিন্ন খাশিকরণ প্রক্রিয়া হতে বের হয়ে আসা ক্ষুদে শিয়াল। সামাজিক খাশিকরণঃ কারখানাভিত্তিক খাশিকরণ পদ্ধতির সুবিধাবঞ্চিতরা এই খাশিকরণ প্রক্রিয়ার আওতায় আসে এবং খুব সহজেই এই প্রক্রিয়ার সাথে খাপ খায়িয়ে নিয়ে নিজেদের লেজের বিবর্তন ঘটায় শিয়ালের দিকে আর কানের বিবর্তন গাধার দিকে এবং চর্বিত মূলাসমূহ জাবর কাঁটতে কাঁটতে নগ্ন স্বপ্ন বুকে নিয়ে শিবলিঙ্গের আরাধনায় মাতে। খাশি সমাবর্তন অনুষ্ঠানঃ বিভিন্ন খাশিকরণ প্রক্রিয়া হতে বের হয়ে আসা উৎকৃষ্ট খাশি সম্প্রদায়কে বিভিন্ন খাশিকরণ ট্রেনিং-সেন্টার ও জেরোক্সের লিঙ্গ চুষিয়ে খাশি মোড়কজাতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য বিভিন্ন মোড়ক ও বৈচিত্রতায় বিভিন্ন সেকশনে আনা হয়। খাশিদের নানারকম উৎসবে-আনন্দে মত্ত করে গলায় মালা পড়িয়ে মায়ের ভোগে, ম্যালেরিয়ার ভেগে, ক্যান্সার-এইডসের ভোগে বলিদান করা হয়। এরপর অবশিষ্ট খাশিদের পারস্পরিক গ্লেডিয়েটর প্রতিয়োগীতায় ও শহীদকরণ প্রক্রিয়ায় ত্যাগের পর বাকী খাশিদের থেকে লিঙ্গ চোষক খাশিদের নির্বাচন করা হয়, এই সমস্ত বিশুদ্ধ খাশিরা প্রাক্তণ খাশিদের, কর্পোরেট মহাজনদের লিঙ্গ চোষায় পারদর্শীতা প্রদর্শন করে, চোষক খাশিদের নিয়ে খাশির দেশে একটি সম্মিলিত খাশি পরীক্ষার আয়োজন করা হয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ খাশিদেরকে ভাবিষ্যৎ শিয়াল পন্ডিত হিসেবে তৈরী করা হয়।

যেন তারা রাজ-শাষিত এই বেশ্যাপল্লীতে নিজেদের পায়ুপথটা ভাড়া দিয়ে হলেও খাশিয়ালয়ে যোগ দিয়ে পন্ডিত মাতা ও পিতাদের যৌনাঙ্গ চোষণে নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারে এবং সমগ্র খাশিকরণ প্রক্রিয়াটিকে অব্যাহত রাখে। উপসংহারঃ সবশেষে একটি কৌতুকঃ এক বৃদ্ধা আলাদ্বিনের চেরাগ পেলেন ও ঘষাঁ দিলেন। এবার ইচ্ছাপূরণঃ মহিলাঃ ১. আমাকে তরুনী সুন্দরী রাজকুমারী বানিয়ে দাও। ২. আমাকে মহারানীর মত বিত্তশালী করে দাও। ৩. আমার ছাগলটিকে শাক্তিশালী সুদর্শন যুবক বানিয়ে দাও।

ইচ্ছাপূরণের পরঃ রাজকুমারীঃ হে যুবক এসো আমরা মিলিত হই। যুবকঃ আপনি কি ভুলে গেছেন অনেককাল আগেই আপনি আমাকে খাশি করে দিয়েছিলেন। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।