আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতিসংঘে শেখ হাসিনা ও বিশ্বশান্তির অগ্রযাত্রা

জাতিসংঘে শেখ হাসিনা ও বিশ্বশান্তির অগ্রযাত্রা ফকির ইলিয়াস ====================================== নিউইয়র্ক এখন নিরাপত্তার চাদরে মোড়া। ৩৪ সড়ক থেকে ৪৮ সড়ক আর এভিনিউগুলো গোয়েন্দাদের দখলে। বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান আর সরকার প্রধানরা এখন নিউইয়র্কে। জাতিসংঘের অধিবেশন চলছে। বিশ্বে সন্ত্রাস ও মৌলবাদ নির্মূলে কী ভূমিকা থাকা দরকার, সে বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন নিউইয়র্কে বক্তব্য রাখছিলেন, ঠিক সেই সময়টিকেই বাংলাদেশের মৌলবাদীরা বেছে নিয়েছিল, তা-বের সময় হিসেবে। হঠাৎ করেই এরা পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ শুরু করে পুরো দেশজুড়েই। ৭১-এর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজ শুরুর পর প্রথমবারের মতো জামাত ও শিবিরকর্মীরা গেলো সোমবার ঢাকা ছাড়াও দেশের অন্তত ১৩টি জেলায় একযোগে ঝটিকা আক্রমণ চালিয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, ঐদিন বিকালে জামাত-শিবির নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন জেলায় একই সময়ে অনেকটা জঙ্গি রূপ ধারণ করেই পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ রূপ মহাজোট সরকারের আড়াই বছরের মধ্যে এটাই প্রথম বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

আক্রমণের পর জামাত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, এটা শুরু মাত্র। আরো বড় ধরনের আক্রমণ করা হবে। বাংলাদেশে মৌলবাদীরা যখন এই নাশকতা চালাচ্ছে, তখন জাতিসংঘে বসে ২১ আগস্টের সেই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার স্মৃতিচারণ করেছেন শেখ হাসিনা। বলেছেন, আমি সন্ত্রাসের প্রত্যক্ষ শিকার। তাই আসুন, আমরা গোটা বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবিরোধী একটি সম্মিলিত প্রয়াস গড়ে তুলি।

চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নামের তালিকাসহ ডাটাবেস তৈরি করে তা সকলের গোচরে আনি। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন আয়োজিত সন্ত্রাসবাদ দমনবিষয়ক একটি সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে ১০ দিনব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফর কর্মসূচি শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক সেমিনারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীও শেখ হাসিনার পাশে বসেন এবং তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস দমনে তার সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন বলেন, বাংলাদেশের প্রকৃত ধার্মিক ইমাম ও মানুষরাই ধর্মীয় মৌলবাদ নিধনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করার কথা বলেন।

এরপর তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গেলো রোববার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই দফায় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন কক্ষে অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ ও বক্তৃতা দেন। গত বছরের মতো, এ বছরও একটি এওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক ‘সাউথ সাউথ’ পুরস্কার গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউইয়র্কে গেলো সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।

‘সাউথ-সাউথ’ নামে এ পুরস্কার তার হাতে তুলে দেন ইউএন এইডস-এর নির্বাহী পরিচালক মিচেল সিদিবে। জাতিসংঘ ইকনোমিক কমিশন ফর আফ্রিকা, জাতিসংঘে এন্টিগুয়া-বারবুডার স্থায়ী মিশন, আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ও সাউথ সাউথ নিউজ যৌথভাবে এই পুরস্কারের আয়োজন করে। এ বছর এ পুরস্কারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডিজিটাল হেলথ ফর ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট’। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের একটি বাণী পড়ে শুনানো হয় এবং অন্যান্যের মধ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বর্তমান সভাপতি নাসির আবদুল আজিজ আল নাসের বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা এতে যোগ দেন।

পুরস্কার গ্রহণ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি বাংলাদেশের জনগণ ও তার সরকারের কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি। তিনি এই পুরস্কার দেশের জনগণকে উৎসর্গ করে বলেন, তার সরকার প্রযুক্তির উৎকর্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আগামী এক দশকের মধ্যে একটি মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। মোবাইল ফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসাপত্র দেয়া হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমিয়ে আনার সাফল্যে গত বছর জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট পুরস্কার গ্রহণের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা মনে করি শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য মায়ের সুস্বাস্থ্য ও যত্ন দরকার।

এজন্য দেশের ১১ হাজার কমিউনিটি কিনিককে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ’ তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয় যে আমরা দক্ষিণের বন্ধুদের কাছ থেকে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির কাজের স্বীকৃতি পেয়েছি। এই স্বীকৃতি আমাদেরকে ইপ্সিত লক্ষ্য অর্জনের দিকে নিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাবে। জাতিসংঘে শেখ হাসিনার সফর ও ভাষণ অবশ্যই জাতির জন্য উল্লেখযোগ্য ঘটনা। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি রাষ্ট্রের অর্জন ও প্রত্যাশাগুলো বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছেন।

আর একই সময়ে বাংলাদেশে তা-ব চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। আর এসব মৌলবাদীদের সরাসরি উসকে দিচ্ছে বিএনপি। তেলের দাম বেড়েছে বলে যে হরতাল তারা ডেকেছে, তা মূলত রাজাকার-আলবদরদের বাঁচানোর জন্যই। একটা মওকা তারা খুঁজছিল। এখন মৌলবাদী ক্যাডারদের মাঠে নামিয়ে তারা ফায়দা নিতে তৎপর হয়েছে।

পেছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে, এই মৌলবাদীরা খুব পরিকল্পিতভাবে এই দেশে বেড়ে উঠেছে। বিগত বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ৪৭৩টি স্থানীয় ও ২৫টি বিদেশী এনজিওকে এনজিও ব্যুরোর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এসময় জোট সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী ছিলেন জামাতে ইসলামীর সেক্রেটারি কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুজাহিদ। খালেদা জিয়ার কাছ থেকে চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও কৃষি এবং পরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন মুজাহিদ ও আরেক কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী জামাতের আমির মতিউর রহমান নিজামী। যাদের মূল টার্গেটই ছিল সাধারণ জনগণের পর্যায়ে গিয়ে এনজিওর মাধ্যমে অর্থ প্রদান করে ইসলামি জঙ্গি তৈরি করা এবং তাদের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে দেশের চূড়ান্ত ক্ষমতা দখল করা।

এ সময় খালেদা জিয়ার সরকার ৯০ হাজার কোটি টাকা যা আমেরিকান ১৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশী সাহায্য ১১ হাজার এনজিওর নামে আসে। অর্থ প্রদানকারী দেশসমূহের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, এমনকি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। এসব অর্থের তদারকির জন্য ইসলামিক প-িত, ধর্মীয় রাজনৈতিক নেতা, মাদ্রাসার প্রধান ব্যক্তিরা থাকতেন। ধর্মীয় নেতা বলতে জামাতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। মাদ্রাসার প্রধান বলতে ফজলুল হক আমিনীর নেতৃত্বাধীন কওমি মাদ্রাসার নেতারা।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ থেকে অর্থ আসতো মূলত জাকাত, ফেতরা, ধর্মীয় শিক্ষা ও অরফানেজের নামে। অনাধুনিক ও ধর্মীয় গোঁড়ামির আদলে গড়ে ওঠা কওমি মাদ্রাসার নামে টাকা এনে- কোমলমতি কিশোরদের ধর্মীয় শিক্ষাদানের পাশাপাশি তাদেরকে জেহাদির জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১৯৯১ সালে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর দুর্গতদের জন্য অন্যান্য সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কিছু ইসলামিক এনজিও সাহায্য দেয়ার নামে তাদের কার্যক্রম শুরু করে বলে অনেকেই মনে করেন। এরপরে আন্তর্জাতিক ইসলামি এনজিওগুলো শক্তিশালীভাবে কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রমের মধ্যে ছিল- বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, জনসেবামূলক যেমন: বসতবাড়ি নির্মাণ, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, সেনিটেশন মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইত্যাদি। এরপরেই ইসলামিক এনজিওগুলো শুরু করে তাদের মূল কার্যক্রম অর্থাৎ সন্ত্রাসী জঙ্গি তৈরির মাধ্যমে সন্ত্রাসী কায়দায় ক্ষমতারোহণে।

এজন্য তারা প্রথমেই বেছে নেয় রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো। তারা জঙ্গি তৈরির জন্য সামরিক প্রশিক্ষণের গোপন আস্তানা গড়ে তোলে। এজন্য ব্যবহার করে মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলো। এ সময় রাজশাহীতে আত্মপ্রকাশ করে জামাআ’তুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-সংক্ষেপে জেএমবি। সৌদি আরব-ভিত্তিক ইসলামিক এনজিও আল হারমাইন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সে সময় রাজশাহী অঞ্চলে বিশ কিছু মসজিদের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য সাহায্য প্রদান করে বলেও সেই সময় খবর বের হয়।

এছাড়াও রমজান মাসে মসজিদে ইফতার পার্টির নামেও অর্থ আনয়ন করে। এর নেতৃত্ব দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষক আসাদুল্লাহ গালিব। তথ্য আছে তিনি, ইফতারের জন্য প্রায় ১২ লাখ টাকা খরচ করেন রাজশাহীর বিভিন্ন মসজিদে। পরবর্তীতে খুলনা-সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইসলামিক এনজিওগুলো তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করে। পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামুল মুসলিমাইন।

তিনি এক বছরে প্রায় ১.৫০ কোটি টাকা লেনদেন করেন। পাশাপাশি আল মারকাজুল, রাবিতা আল ইসলামসহ কয়েকটি এনজিও বিপুল অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন খাতে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সাল থেকে ইসলামি এনজিওগুলো মূল টার্গেটে পৌঁছে যায়। অর্থাৎ বিন লাদেনের স্টাইলে অর্থাৎ তালেবানি শাসন কায়েম করার নিমিত্তে সার্ভেন্টস অব সাফারিং হিউমিনিটি ইন্টারন্যাশনাল সংক্ষেপে এসএস এইচআই-এনজিওটি প্রতিষ্ঠা করা হয়- যার অর্থায়ন করেন লাদেন স্বয়ং। এ সময় একটি গোয়েন্দা সংস্থা উল্লিখিত এনজিওটির কার্যক্রম অর্থাৎ জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনাকারী কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।

বিভিন্ন ইসলামি এনজিওগুলোর তৎপরতায় সারাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ আকাশচুম্বী হয়। ১৯৭১ সালের কায়দায় সাধারণ মানুষকে নির্যাতন, হত্যা, বোমা হামলাসহ আতঙ্কিত করে তোলে বাংলাদেশকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা বিশেষ করে ১৭ আগস্ট একযোগে দেশের ৬৩ জেলায় বোমা বিস্ফোরণ করে তারা জানিয়ে দেয়- তাদের ক্ষমতা পাহাড় সমান। সূত্রমতে জঙ্গিদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সহায়তা করে কুয়েতভিত্তিক এনজিও রিভাইভেল অব ইসলামিক হেরিটেজ সোসাইটি এবং যুক্তরাজ্যের একটি মসজিদের ইমাম আতাউর রহমান। এই ইমামের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন জিএমবি নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলাভাই।

জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা দেশের যে সব জায়গায় বৈঠক করে তার মধ্যে ছিল- নওগাঁ, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সাতক্ষীরা ও ঢাকা। এই বৈঠকগুলো তারা করে এপ্রিল থেকে মধ্য আগস্ট পর্যন্ত। তিনি ২০ আগস্ট বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। জামাআ’তুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-জিএমবি ও জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ- জিএমজি বি- শীর্ষে থাকা এই দুটি জঙ্গি সংগঠনের নেতা ১৭ আগস্টের বোমা হামলার খরচকৃত অর্থ উত্তোলনের জন্য ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রাম শাখা ব্যবহার করেন। যুক্তরাজ্যের ঐ জঙ্গি মওলানা আতাউর রহমান বাংলাদেশে অবস্থানকালেই একযোগে বোমা হামলাটি হয়।

ঢাকা থেকে পাঠানো টাকা চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে উত্তোলন করেন মোহাম্মদ নামক এক জঙ্গি। এদিকে মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ তার তিনটি ব্যাংক একাউন্টে প্রায় ৩ কোটি জমাকৃত টাকা থেকে ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করে ১৭ আগস্টের বোমা হামলার নিমিত্তে খরচ করেন- যা গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে আছে। যার ফলে এই সকল মৌলবাদী এনজিওর কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন বারবারই দেশের প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা। খুব ভালো করে বলা যায়, বাংলাদেশকে একটি ‘উপযোগী’ ভূমি মনে করেই অগ্রসর হচ্ছে এই মৌলবাদী চক্র। তাই শেখ হাসিনা বিশ্বশান্তির যে বাণী গণমানুষকে শোনাতে চাইছেন, তা বাস্তবায়নে দেশীয় এই মৌলবাদী চক্রের শেকড় উৎপাটন করা খুব জরুরি।

আর এর জন্য সকল ত্যাগ দেশবাসীকে স্বীকার করতেই হবে। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১১ -------------------------------------------------------------------------- দৈনিক ভোরের কাগজ / ঢাকা/ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১১ শনিবার ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.