আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতীয় গোপাল ভাঁড় ।

রাজসভায় সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়। শিক্ষানীতি, সমরনীতি, কূটনীতি, বাণিজ্যনীতি এগুলো সব শুকনো নিরস বিষয়। কোন মজা নেই। কোন আকর্ষণ নেই। তাই আগেকার আমলে রাজা-রাজরারা রাজসভায় একজন ভাঁড় রাখত বেতন দিয়ে।

সেই ভাঁড়ের কাজ হত আলোচনার পাঞ্চ পয়েন্টগুলোয় ঢুকে পড়ে কিছুটা রসের যোগান দেওয়া। রাজ সভাসদদের কিছুটা হাসানো। সরকারী আলোচনা সব সময়েই নিরস ও শুষ্ক। সেখানে রসের যোজনের প্রয়োজন হয়। মন্ত্রী, নীতিনির্ধারক ও জনগণকে শুষ্ক কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোয় আরও জড়িত করতে বাংলাদেশ সরকারও না হয় জনগণের কিছু টাকা খরচ করে একটি ভাঁড় ভাড়া নিতে পারত।

তার কাজ হত গুরুত্বপূর্ণ কাজ আর ভারি ভারি শব্দের মাঝে রসের যোগান দেওয়া। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন আলাদা ভাঁড় না রেখে নিজেই সেই পদটিতে আসীন হয়েছেন। দেশ যখন রসাতলে যাচ্ছে- গৃহিণীর রান্নাঘর থেকে শুরু করে বিদ্যুৎকেন্দ্র কোথাও গ্যাস নেই, শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে যে সময় লাগে সে সময়ে প্রবাসী শ্রমিক দেশ ছেড়ে কর্মস্থলে পৌঁছে যান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যখন একটি চিড়িয়াখানায় পরিণত হয়েছে যেখানে নাস্তিক মন্ত্রী সকালে ছুটির ঘোষণা বাতিল করে আর বিকালে বিপাকে পড়ে সরকার তা প্রত্যাহার করে, কোটা বিরোধী আন্দোলনে অচল হতে বসেছে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠান, এই সমস্ত গুরু ও ভারি পরিবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনই মাথাব্যাথা নেই। বিদেশ থেকে দেশে পা টা রেখে তিনি প্রথমে বললেন নগর নির্বাচনে ভোট পাননি তাই দেশবাসীকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে শিক্ষা দিতে চান, আর দ্বিতীয়ত ধার মাড়ালেন নারী ও তেতুল সংক্রান্ত বক্তব্যের। সম্প্রতি আল্লামা শফির বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেছেন যে নিজের নেত্রীর পাশে বসেও কি শফি সাহেবের জিভ থেকে পানি ঝরে কিনা।

আ'লীগ আর তার পোষ্য মিডিয়া বাংলাদেশিদের বোকা ভাবলেও তাদের জন্য দুঃখের বিষয় যে বাংলাদেশিরা বোকা নয় (ফাইভ নীলে প্রমাণ হয়েছে, ইনশাল্লাহ সামনে আরও প্রমাণ আসছে), এবং তারা ঠিকই বুঝেছে শফি সাহেবের নেত্রী বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে। রমজান মাসের হিসেবে অনেক অনুচিত কথাবার্তা ইতমধ্যেই বলা হয়ে গেছে। আজকের মত আর না এগোই। শুধু এটা দিয়ে শেষ করা- একান্ত মৌলিক নারী সুলভ ঈর্ষা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেত্রীকে টেনে ঐ অশ্লীল কথাটি এই পবিত্র মাসে না বললেও পারতেন। তিনি নিজেকে যাই ভাবুন, তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

"প্রধানমন্ত্রী" নামক আসনটির যে বদনাম তিনি আজকের শিশু কিশোর আর তরুণ তরুণীর প্রজন্মের কাছে করে দিয়ে যাচ্ছেন, তারা এই জেনে বড় হচ্ছে যে যেন এই পদে যে বসে আজেবাজে কথা বলা আর বিদ্যুৎ বন্ধ করার হুমকি দেয়াই যেন তার কাজ। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.