আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিশ্বে জাতীয় সঙ্গীতের ইতিহাস + বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত।

বিশ্বটাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্যই এত কথা বলি.. । প্রতিটি রাষ্ট্রের জাতীয় ভাবে নিধার্রিত গান বা সুর সে দেশের জাতীয় সঙ্গীত। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় উপলক্ষে এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে এই গান গাওয়া হয় অথবা এর সঙ্গীত বাজানো হয়। জাতীয় সঙ্গীতে একটি জাতির আশা আকাঙ্খা ও গৌরবের প্রতিফলন ঘটে। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার একটি নির্দিষ্ট রীতি থাকে যা সব সময় একি থাকে এবং যেটির অপমান করা দন্ডনীয় অপারাধ।

ইতিহাস- ১৫৫৮ সাল থেকে ১৫৭২ সালের মধ্যে রচিত ডাচ জাতীয় সঙ্গীত 'ভিলহেলমাসকে' সবচেয়ে পুরাতন জাতীয় সঙ্গীত ধরা হয়ে থাকে। যদিও ১৯৩২ সালে সরকারী ভাবে স্বীকৃতি পায় এই জাতীয় সঙ্গীত। জাপানের জাতীয় সঙ্গীত 'কিমি গা ইয়ো' রচিত হয়েছিল ৭৯৪ সাল থেকে ১১৮৫ সালের মধ্যে। কবিতা ভিত্তিক এই রচনা ১৮৮০ সালের পরে জাপানের জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা পায়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাতীয় সঙ্গীত রচনার ক্ষেত্রে দুর্লভ সম্মানের অধিকারী।

তিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা। সার্ক ভুক্ত দেশ সমূহের জাতীয় সঙ্গীত, লেখক ও সুরকার- ১. বাংলাদেশ- আমার সোনার বাংলা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২. ভুটান- বাজ ড্রাগন রাজ্য- দাশু ইয়াদুন থিনলী- আকু তংমি। ৩. আফগানীস্থান- মিললী সুরোদ- আব্দুল বারী জাহানী- বাবরাক ওয়াছছা ৪. ভারত- "জানাগানামান-অধিনায়ক জয় হে"- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ৫. মালদ্বীপ- গাউমি সালাম-মুহাম্মাদ জামেল দিদি- পন্ডিত ওনাকুওত্তায়াদুগ। ৬. নেপাল- "সায়াউন থুঙ্গা ফোওল কা"- বাইকুল মাইয়া- আম্বর গুরুং।

৭. পাকিস্থান- কোয়ামী তাইরানা- হাফিজ জুলান্দিরি- আহমেদ গুলামআলি চাগলা। ৮. শ্রীলঙ্কা- শ্রীলঙ্কা মাতা-আনান্দ সামারাকুন- আনান্দ সামারাকুন। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত- আমার সোনার বাংলা গানটি রচিত হয়েছিল ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে। যার ২৫ টি লাইন রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহ ও শাহজাদপুরে জমীদার থাকার সময় (১৮৮৯-১৯০১) এই কবিতাটি লেখেন।

এবং ১৯০৫ সালে বঙ্গর্দমন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশ পায়। কুষ্টিয়ার বাউল শিল্পি গগণ হরকরার একটি গানের সুরের অনুকরনে রবীন্দ্রনাথ নিজে এটির সুরারুপ করেন। ১৯০৭ সালে সর্বপ্রথম এটি গাওয়া হয় বঙ্গভঙ্গ বিরোদ্ধী মিছিলে। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ গঠিত হয় স্বাধীন বাংলার কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদ। পরে ৩ মার্চ তারিখে পল্টন ময়দানে ঘোষিত ইশতেহারে এই গানকে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল ১৭ এপ্রিল মুজিব নগরে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে এই গানটি গাওয়া হয়। ১৯৭০ সালে চলচিত্রকার জহীর রায়হান'জীবন থেকে নেয়া' চলচিত্রে এটি ব্যভজার করেন। ১৯৭২ সালে এর প্রথম ১০ লাইন জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার জন্য নির্ধারন করা হয়। এবং প্রথম ৪ লাইন যন্ত্র সঙ্গীতে ব্যবহার করা হয়। অর্জন- ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকের ২০৫ টি দেশের তুলনামূলক বিচারে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ২য় স্থান অর্জন করে।

----তথ্য- সংগ্রহীত। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।