আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নায়িকা ঋতুপর্ণার বাঁকানো শরীরের পরতে পরতে তার স্পর্শ। সেই রকম।

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি। কিস্তি-৪ রিয়াল... রিয়াল... ডিসি...ডিসি.. টানা আওয়াজটা কানে এসে বাড়ি খাচ্ছে। আমি আর বন্ধু বেলাল (বর্তমানে অস্ট্রিয়া প্রবাসী) দুজন এগিয়ে গেলাম। সিনেমা হল সম্পর্কে বেলালের অভিজ্ঞতা ভালো।

ছোটকাল থেকে সিনেমা দেখে। নোয়াখালি জেলার সোনাইমুড়ি বাজারে ওদের ভিডিও ক্যাসেট বিক্রি ও ভাড়ার দোকান ছিল। অনি ভিডিও নামে। সেখানে রাত করে ভিসিডিতে সিনেমা দেখা হতো। ১৯৯৯ সালের শুরু দিকের কথা , বেলাল ঢাকা এসে পরের দিন আমার মেসে উঠলো।

শুক্রবার দিন বললো চল সিনেমা দেখবো। রাঙা বউ। মোহাম্মদ হোসেনর সিনেমা। বাংলা সিনেমায় অশ্লীলতার সূচনা করা এ সিনেমার গল্পটা দারুন। হিন্দি কোনো একটা সিনেমা থেকে নকল করা।

আমরা ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলে, দুটো ডিসি ক্লাশের টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম। হুমায়ূন ফরিদী কামকলাকে(!) একটা শিল্পে রূপ দিয়েছেন এই সিনেমায়। অনেক সাহসী ভূীমকা তার। নায়িকা ঋতুপর্ণার বাঁকানো শরীরের পরতে পরতে তার স্পর্শ। সেই রকম।

দারুণ উপভোগ্য এক সন্ধ্যায় সিনেমাটি দেখা হয়ে গেলো। এটাই আমার দেখা প্রথম খোলামেলা সিনেমা। অনেক দিন মনে রাখার মত গল্প । সেখান থেকে ঢাকার সিনেমা হলে আমার সিনেমা দেখার শুরু। বেলাল ঢাকায় আসলেই আমরা সিনেমা দেখতে যেতাম ফার্মগেটে।

আনন্দ অথবা ছন্দ হলে সিনেমা দেখা হতো। মাঝে মধ্যে পূর্ণিমাতে। তবে বেলালেল ফেভারেট ছিল আনন্দ সিনেমা। দ্বিতীয়বার ওর সাথে আমার দেখা সিনেমা 'কী'। ইংরেজি সিনেমা এটি।

এডাল্ট রেটিংয়ের এ সিনেমার গল্পটাও ভালো ছিল। সিনেমাটিতে যত রকমের অবৈধ সম্পর্কই থাক না কেন, মানুষ যে একদিন মরে যাবে এবং তার সব কর্ম পেছনে রেখে তাকে পাড়ি দিতে হবে অন্য জগতে, সেটি তুলে ধরা হয়েছে। নায়কের শব যাত্রার দৃশ্যটা দেখে কিছুক্ষন আগে দেখা উত্তেজক দৃশ্যগুলো আমার চোখের সামনে থেকে সরে যেতে থাকে। বোধ করি অন্যদেরও। কোনো এডাল্ট সিনেমা দেখার পর এটা আমার প্রথম অনুভূতি।

মনে হতে থাকে দুনিয়াটা মিথ্যে। এত মউজ মাস্তি ! তার পর সব শেষ। সব কিছু থেকে আমদের দূরে সরে যেতে হবে। দূরে সরে যাচ্ছি আমি ও আমরা। দূরে সরে যাওয়া নিয়ে পরের কিস্তি ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।