আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ময়েসের ওপর ‘ক্ষুব্ধ’ রুনি

রুনির অবস্থা এই মুহূর্তে তথৈবচ। দলও পরিবর্তন করতে পারছেন না, আবার দলে থেকেও খেলতে পারবেন কি না—সেই আশঙ্কা তাঁকে ঘিরে ধরেছে। এ মুহূর্তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ ডেভিড ময়েসের ওপর নাকি বেজায় চটে আছেন ইংলিশ এই ফরোয়ার্ড। খ্যাপার কারণ, ময়েসের সাম্প্রতিক এক বক্তব্য। সেই বক্তব্যে ফুটে উঠেছে আসন্ন মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একাদশ কেমন হবে, সেটি।

সেখানে নাকি রুনিকে ময়েস রবিন ফন পার্সির ‘ব্যাক আপ’ খেলোয়াড় হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। অথচ কিছুদিন আগেই ময়েস বলেছিলেন, নতুন মৌসুমে রুনি ‘বিক্রির জন্য নয়’।
গত মৌসুম থেকেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে রুনির ঠিক বনিবনা হচ্ছে না। বিদায়ী কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন গত মৌসুমে রুনিকে প্রায় সাইড বেঞ্চের খেলোয়াড়েই পরিণত করেছিলেন। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর খেলার সুযোগ হয়নি।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচটি। ওল্ডট্র্যাফোর্ডে নিজের ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কিত রুনি মৌসুমের শেষদিকে নিজে থেকেই ক্লাবকে চিঠি দিয়ে নাকি দল পরিবর্তনের কথা জানিয়েছিলেন।
ময়েস কোচ হওয়ার পর রুনির ভবিষ্যৎ পড়ে যায় আরও শঙ্কার মধ্যে। এভারটনের কোচ থাকা অবস্থায় রুনির সঙ্গে ময়েসের বিবাদ সর্বজনবিদিত। কিন্তু ময়েস রুনিকে তাঁর ভবিষ্যত্ পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে ঘোষণা দিলে হয়তো স্বস্তি ফিরেছিল তাঁর মধ্যে।

তবে, ময়েসের সাম্প্রতিক বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে নতুন মৌসুমে রুনির স্থায়ী ঠিকানা হতে যাচ্ছে ওই সাইড বেঞ্চই।
রুনির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে স্কাই নিউজ এই ক্ষোভের ব্যাপারটি সামনে নিয়ে এসেছে। তিনি নাকি বলেছেন, নয় বছর কোনো খেলোয়াড় একটি দলে খেলার পর যদি এ ধরনের কথা শুনতে হয়, তাহলে তা দুঃখজনকই। ময়েস বলেছিলেন, তিনি রুনিকে ফন পার্সির বদলি হিসেবে ভাবছেন। তাঁর হাতে আছেন ড্যানি ওয়েলবেক ও হাভিয়ের হার্নান্দেজ।

তিনি নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, দলে তাঁর বাছাবাছির তালিকাটা বড় হওয়ায়।
তাহলে রুনি কী ময়েসের গিনিপিগ? শীর্ষ পর্যায়ে নিজেকে প্রমাণের এত বছর পরও গিনিপিগ হতে কার ভালো লাগে, বলুন!।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।