আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রায়ের বাস্তবায়ন চান মুক্তিযোদ্ধারা

বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধের রায় হয়। বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী বদর বাহিনীর প্রধান মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।  
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সেক্টর কমান্ডার্স  ফোরামের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান কে এম সফিউল্লাহ বলেন, “ফাঁসির আদেশে আমরা সন্তুষ্ট। তবে বয়স বিবেচনায় গোলাম আযমের ফাঁসি না দেওয়ায় আমাদের ক্ষোভ রয়েছে । এখন আর বিলম্ব নয়, দ্রুত বলবো না, ইমেডিয়েটলি অপরাধীদের রায় কার্যকর করা হোক।


রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, “একজন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি। ”
“আশা করছি, দ্রুত রায় কার্যকর করা হবে,” বলেন নাসির উদ্দিনের সহধর্মিনী শিমুল ইউসুফ।
অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, এ রায়ে প্রমাণ হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো যুদ্ধাপরাধে যুক্ত ছিলো। ফাঁসির আদেশে  সন্তুষ্টির কথা জানান তিনি।
শহীদ আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ এ মামলা পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রসিকিউশন, বিচারক, তদন্ত কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান।


তিনি  বলেন, “পুরো জাতি একসাথে  থাকলে এ রায় বাস্তবায়নে কোনো কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। ”
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রসিকিউটর তুরীন আফরোজ  বলেন, “ওরা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে ভেবেছিল, তাদের হত্যা করতে পারলেই সব শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এই রায়ের মাধ্যমে ওই হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি  হলো। ”
মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল হক মামা বলেন,  “আদালতে ঢোকার আগেই আজ ভি চিহ্ন দেখিয়েছিলাম। গোলাম আযমের রায়ের পর হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল।

আজ কিছুটা শান্তি লাগছে। ”
এ সময় যুদ্ধাপরাধীদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়ার জন্য বিএনপিকে  প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেন তিনি।
২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।